সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি : ৫৭ জনের মরদেহ উদ্ধার

লিবিয়ার পশ্চিমের দুটি শহরের উপকূলে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী দুটি নৌকা ডুবে অন্তত ৫৭ জন মারা গেছে। বুধবার (২৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। নিহতদের বেশিরভাগই পাকিস্তান, সিরিয়া, তিউনিশিয়া ও মিশরের নাগরিক। খবর বার্তা সংস্থা এপির। আরও মরদেহ ভেসে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নৌকা থেকে জীবিত উদ্ধার হওয়া মিশরীয় এক অভিবাসনপ্রত্যাশী জানান, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত দুইটায় তারা ইউরোপের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। প্রতিটি নৌকায় অন্তত ৮০ জন করে যাত্রী ছিল। কোস্ট গার্ড কর্মকর্তা ফাতি আল-জায়ানি জানান, পূর্ব ত্রিপোলির কারাবুল্লি থেকে ১ শিশুসহ ১১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, অভিবাসন প্রত্যাশীরা পাকিস্তান, সিরিয়া, তিউনিসিয়া ও মিশর থেকে এসেছিলেন। পশ্চিম ত্রিপোলির সাবরাথায় অবস্থানরত রেড ক্রিসেন্টের এক ত্রাণকর্মী জানান, তারা গত ৬ দিনে সমুদ্রতট থেকে ৪৬টি মরদেহ উদ্ধার করেছেন। মৃতদের সবাই একই নৌকার যাত্রী ও অবৈধ অভিবাসন প্রত্যাশী। আগামী দিনগুলোতে আরো মরদেহ ভেসে আসতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন এই ত্রাণকর্মী। সম্প্রতি তিউনিসিয়া থেকে ইতালীয় উপকূল অভিমুখে অভিবাসী ঢল বেড়ে গেছে। এ বছরের এখন পর্যন্ত তিউনিসিয়া উপকূলে ৪৪১ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা সবাই আফ্রিকার নাগরিক বলেও জানানো হয়। তবে প্রাণহানির সংখ্যা আরও বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি : ৫৭ জনের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত সময় : ১১:৩৬:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৩

লিবিয়ার পশ্চিমের দুটি শহরের উপকূলে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী দুটি নৌকা ডুবে অন্তত ৫৭ জন মারা গেছে। বুধবার (২৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। নিহতদের বেশিরভাগই পাকিস্তান, সিরিয়া, তিউনিশিয়া ও মিশরের নাগরিক। খবর বার্তা সংস্থা এপির। আরও মরদেহ ভেসে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নৌকা থেকে জীবিত উদ্ধার হওয়া মিশরীয় এক অভিবাসনপ্রত্যাশী জানান, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত দুইটায় তারা ইউরোপের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। প্রতিটি নৌকায় অন্তত ৮০ জন করে যাত্রী ছিল। কোস্ট গার্ড কর্মকর্তা ফাতি আল-জায়ানি জানান, পূর্ব ত্রিপোলির কারাবুল্লি থেকে ১ শিশুসহ ১১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, অভিবাসন প্রত্যাশীরা পাকিস্তান, সিরিয়া, তিউনিসিয়া ও মিশর থেকে এসেছিলেন। পশ্চিম ত্রিপোলির সাবরাথায় অবস্থানরত রেড ক্রিসেন্টের এক ত্রাণকর্মী জানান, তারা গত ৬ দিনে সমুদ্রতট থেকে ৪৬টি মরদেহ উদ্ধার করেছেন। মৃতদের সবাই একই নৌকার যাত্রী ও অবৈধ অভিবাসন প্রত্যাশী। আগামী দিনগুলোতে আরো মরদেহ ভেসে আসতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন এই ত্রাণকর্মী। সম্প্রতি তিউনিসিয়া থেকে ইতালীয় উপকূল অভিমুখে অভিবাসী ঢল বেড়ে গেছে। এ বছরের এখন পর্যন্ত তিউনিসিয়া উপকূলে ৪৪১ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা সবাই আফ্রিকার নাগরিক বলেও জানানো হয়। তবে প্রাণহানির সংখ্যা আরও বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে।