বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশে কি আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‘মোচা’, যা বলছে আবহাওয়া অফিস

বাংলাদেশে ‘মোচা’ নামের একটি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে। কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইডি গবেষক এবং আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ এ শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে ভিন্ন কথা। তারা বলছে, যেহেতু এটি সৃষ্টিই হয়নি তাই এটির আঘাত হানার শঙ্কাও এখনই তৈরি হয়নি।

গতকাল সোমবার দেওয়া ফেসবুক পোস্টে বাংলাদেশে ‘মোচা’র আঘাত হানার বিষয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন মোস্তফা কামাল পলাশ। তার দাবি অনুয়ায়ী, বঙ্গোপসাগরে ৯ থেকে ১১ মের মধ্যে ‘মোচা’ সৃষ্টি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। ঝড়টি সৃষ্টি হলে এটি বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে ১৩ থেকে ১৬ মের মধ্যে।আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান আবহাওয়ার পূর্বাভাসের উল্লেখ করে তিনি জানান, ৮ থেকে ৯  মের মধ্যে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। লঘুচাপ ১০ মের মধ্যে গভীর নিম্নচাপে ও ১১ মের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।

আমেরিকার আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল গ্লোবাল ফোরকাস্টের সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুসারে, ঘূর্ণিঝড়টি ১৪ মে মধ্যরাত থেকে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় এলাকা দিয়ে সরাসরি স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে স্থলভাগে আঘাত করার সম্ভাবনা রয়েছে। স্থলভাগে আঘাতের সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতি থাকতে পারে ১৪০ থেকে ১৭০ কিলোমিটার।

এ আবহাওয়াবিদ তার ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেছেন, ঘূর্ণিঝড়ের ফলে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে। কারণ ১৪ মে (চাঁদের ৮১ শতাংশ অন্ধকার থাকবে) সন্ধ্যার পর থেকে যদি ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে আঘাত হানা শুরু করে তবে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের চর ও উপকূলীয় এলাকাগুলো কমপক্ষে ১০ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা রয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড়টি ১৭ বা ১৮ মে আঘাত হানে তাহলে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের চর ও উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ১৫ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। কারণ ১৮ মে অমাবস্যার রাত।তবে ঘূর্ণিঝড় ‘মোচা’র বাংলাদেশে আঘাত হানার ব্যাপারে কোনো পূর্বাভাস দেয়নি আবহাওয়া অধিদপ্তর। যোগাযোগ করা হলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান আমাদের সময়কে বলেন, ‘ এই ঘূর্ণিঝড় (মোচা) তৈরিই হয়নি। বাংলাদেশে আসা না আসার প্রশ্ন আসবে কোথায় থেকে?’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশে কি আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‘মোচা’, যা বলছে আবহাওয়া অফিস

প্রকাশিত সময় : ১০:৫৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মে ২০২৩

বাংলাদেশে ‘মোচা’ নামের একটি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে। কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইডি গবেষক এবং আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ এ শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে ভিন্ন কথা। তারা বলছে, যেহেতু এটি সৃষ্টিই হয়নি তাই এটির আঘাত হানার শঙ্কাও এখনই তৈরি হয়নি।

গতকাল সোমবার দেওয়া ফেসবুক পোস্টে বাংলাদেশে ‘মোচা’র আঘাত হানার বিষয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন মোস্তফা কামাল পলাশ। তার দাবি অনুয়ায়ী, বঙ্গোপসাগরে ৯ থেকে ১১ মের মধ্যে ‘মোচা’ সৃষ্টি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। ঝড়টি সৃষ্টি হলে এটি বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে ১৩ থেকে ১৬ মের মধ্যে।আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান আবহাওয়ার পূর্বাভাসের উল্লেখ করে তিনি জানান, ৮ থেকে ৯  মের মধ্যে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। লঘুচাপ ১০ মের মধ্যে গভীর নিম্নচাপে ও ১১ মের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।

আমেরিকার আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল গ্লোবাল ফোরকাস্টের সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুসারে, ঘূর্ণিঝড়টি ১৪ মে মধ্যরাত থেকে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় এলাকা দিয়ে সরাসরি স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে স্থলভাগে আঘাত করার সম্ভাবনা রয়েছে। স্থলভাগে আঘাতের সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতি থাকতে পারে ১৪০ থেকে ১৭০ কিলোমিটার।

এ আবহাওয়াবিদ তার ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেছেন, ঘূর্ণিঝড়ের ফলে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে। কারণ ১৪ মে (চাঁদের ৮১ শতাংশ অন্ধকার থাকবে) সন্ধ্যার পর থেকে যদি ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে আঘাত হানা শুরু করে তবে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের চর ও উপকূলীয় এলাকাগুলো কমপক্ষে ১০ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা রয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড়টি ১৭ বা ১৮ মে আঘাত হানে তাহলে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের চর ও উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ১৫ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। কারণ ১৮ মে অমাবস্যার রাত।তবে ঘূর্ণিঝড় ‘মোচা’র বাংলাদেশে আঘাত হানার ব্যাপারে কোনো পূর্বাভাস দেয়নি আবহাওয়া অধিদপ্তর। যোগাযোগ করা হলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান আমাদের সময়কে বলেন, ‘ এই ঘূর্ণিঝড় (মোচা) তৈরিই হয়নি। বাংলাদেশে আসা না আসার প্রশ্ন আসবে কোথায় থেকে?’