দুই বাহিনীর ক্ষমতার দ্বন্দ্বে যুদ্ধ চলছে উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে। ইতোমধ্যে যুদ্ধ কবলিত দেশটিতে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে ফেরানোর কার্যক্রম শুরু করেছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে সুদান থেকে সৌদি নেওয়া হবে বাংলাদেশিদের। এরপর সেখান থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সুদান ফেরতদের বাংলাদেশে পাঠানো হবে বলে সৌদির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আশ্বস্ত করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। বিষয়টি নিয়ে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মক্কা শাখার প্রধান মাজেন বিন হামাদ আল হামালির সঙ্গে বৈঠক করেছেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। সেখানে তিনি এই আশ্বাস দেন। পাশাপাশি সৌদি কর্তৃপক্ষ এক্ষেত্রে কোনো ধরনের সহযোগিতার প্রয়োজন হলে সর্বোচ্চটুকু করার আশ্বাস দিয়েছে। বুধবার (৩ মে) রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাস এই তথ্য জানিয়েছে। এ সময় মাজেন বিন হামাদ আল হামালির সঙ্গে মক্কা অঞ্চলের চিফ অফ প্রোটোকল এবং কনসাল কনস্যুলার উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হোক এবং রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মিশন উপ-প্রধান মো. আবুল হাসান মৃধা উপস্থিত ছিলেন। দূতাবাস থেকে জানানো হয়েছে, বৈঠকে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মক্কা অফিসের প্রধান মাজেন সুদান থেকে বাংলাদেশিদের প্রত্যাবর্তনের জন্য সৌদি পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। সার্বিক ব্যবস্থাপনার সুবিধার্থে জেদ্দা কনস্যুলেটের তত্ত্বাবধানে জেদ্দায় প্রত্যাবাসনকারীদের বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ইংলিশ সেকশনে থাকার ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকে মদিনা থেকে বিমানের ফ্লাইট জেদ্দায় অবতরণের জন্য দ্রুতগতিতে ল্যান্ডিং পারমিট ইস্যু করবে বলে সৌদি কর্তৃপক্ষ নিশ্চয়তা প্রদান করে এবং প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত অন্যান্য ইমার্জেন্সি যেকোনো বিষয়ে সৌদি পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার নিশ্চয়তা দিয়েছেন। রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী এরপর জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ইংলিশ সেকশন পরিদর্শন করেন এবং সুদান থেকে প্রত্যাবর্তনকারী বাংলাদেশিদের সাময়িকভাবে থাকার প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং জেদ্দা মিশনকে দিক নির্দেশনা দেন। এছাড়া রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ বিমানের জেদ্দাস্থ রিজিওনাল ম্যানেজারসহ অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে সুদান থেকে প্রত্যাবর্তনকারী বাংলাদেশিদের সময় মতো দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য বিমানে পর্যাপ্ত আসন বরাদ্দ বিষয়ে আলোচনা করেন ও বিমানের শিডিওল নির্ধারণ করে দেন।