সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছড়িয়ে পড়েছে দাবানল, আলবার্টায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা

দাবানলের কারণে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে কানাডার আলবার্টা প্রদেশ। উত্তর আমেরিকার এই দেশটির পশ্চিমাঞ্চলজুড়ে দাবানল ছড়িয়ে পড়ার পর স্থানীয় সময় শনিবার (৬ মে) এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষ। এছাড়া এই পরিস্থিতিকে ‘অভূতপূর্ব’ বলেও অভিহিত করেছে কর্তৃপক্ষ। রোববার (৭ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানাডার পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশজুড়ে দাবানল ছড়িয়ে পড়ার পরে আলবার্টা জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। এছাড়া দাবানলের কারণে প্রায় ২৫ হাজার মানুষকে তাদের বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিবিসি বলছে, ১০০টিরও বেশি দাবানলের মুখোমুখি হয়েছে আলবার্টা। আর এই পরিস্থিতিকে ‘অভূতপূর্ব’ বলে অভিহিত করেছেন আলবার্টার প্রাদেশিক সরকারের প্রধান ড্যানিয়েল স্মিথ। এছাড়া দাবানল এতোটাই ভয়াবহ রূপ নিয়েছে যে, প্রদেশটির এডসন শহরের বাসিন্দাদের অবিলম্বে শহর ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছে। শহরটিতে আট হাজারেরও বেশি মানুষ বাসবাস করে থাকে। ড্যানিয়েল স্মিথ বলছেন, উষ্ণ ও শুষ্ক আবহাওয়া দাবনলে ‘জ্বালানির’ মতো কাজ করছে এবং এখন পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ২২ হাজার হেক্টর (৩ লাখ ১ হাজার একর) জমি পুড়ে গেছে। এছাড়া প্রবল বাতাসের কারণে অনেক এলাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে। বিবিসি বলছে, ছড়িয়ে পড়া দাবানলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোর মধ্যে রয়েছে ড্রেটন ভ্যালি ও ফক্স লেক। প্রাদেশিক রাজধানী এডমন্টন থেকে প্রায় ১৪০ কিলোমিটার (৮৭ মাইল) পশ্চিমে ড্রেটন ভ্যালি এবং রাজধানী শহরের প্রায় ৫৫০ কিলোমিটার উত্তরে ফক্স লেক অবস্থিত। সেখানে ২০টি বাড়ি আগুনে পুড়ে গেছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় অগ্নিনির্বাপক হেলিকপ্টার ও এয়ার ট্যাংকার আনা হয়েছে এবং কানাডার কেন্দ্রীয় সরকার অটোয়া থেকে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে। এছাড়া এডমন্টন এক্সপো সেন্টারে এক হাজারেরও বেশি উদ্বাস্তুকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে এবং হাই লেভেল শহরে একটি কার্লিং রিঙ্ককে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে পরিণত করা হচ্ছে। আলবার্টা কানাডার একটি প্রধান তেল উৎপাদনকারী অঞ্চল। কিন্তু দাবানল ছড়িয়ে পড়ার পর এখন পর্যন্ত সেখানকার তেল অবকাঠামোগুলো তাৎক্ষণিকভাবে কোনও বিপদের মুখে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ছড়িয়ে পড়েছে দাবানল, আলবার্টায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা

প্রকাশিত সময় : ০৫:৩৫:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ মে ২০২৩

দাবানলের কারণে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে কানাডার আলবার্টা প্রদেশ। উত্তর আমেরিকার এই দেশটির পশ্চিমাঞ্চলজুড়ে দাবানল ছড়িয়ে পড়ার পর স্থানীয় সময় শনিবার (৬ মে) এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষ। এছাড়া এই পরিস্থিতিকে ‘অভূতপূর্ব’ বলেও অভিহিত করেছে কর্তৃপক্ষ। রোববার (৭ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানাডার পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশজুড়ে দাবানল ছড়িয়ে পড়ার পরে আলবার্টা জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। এছাড়া দাবানলের কারণে প্রায় ২৫ হাজার মানুষকে তাদের বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিবিসি বলছে, ১০০টিরও বেশি দাবানলের মুখোমুখি হয়েছে আলবার্টা। আর এই পরিস্থিতিকে ‘অভূতপূর্ব’ বলে অভিহিত করেছেন আলবার্টার প্রাদেশিক সরকারের প্রধান ড্যানিয়েল স্মিথ। এছাড়া দাবানল এতোটাই ভয়াবহ রূপ নিয়েছে যে, প্রদেশটির এডসন শহরের বাসিন্দাদের অবিলম্বে শহর ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছে। শহরটিতে আট হাজারেরও বেশি মানুষ বাসবাস করে থাকে। ড্যানিয়েল স্মিথ বলছেন, উষ্ণ ও শুষ্ক আবহাওয়া দাবনলে ‘জ্বালানির’ মতো কাজ করছে এবং এখন পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ২২ হাজার হেক্টর (৩ লাখ ১ হাজার একর) জমি পুড়ে গেছে। এছাড়া প্রবল বাতাসের কারণে অনেক এলাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে। বিবিসি বলছে, ছড়িয়ে পড়া দাবানলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোর মধ্যে রয়েছে ড্রেটন ভ্যালি ও ফক্স লেক। প্রাদেশিক রাজধানী এডমন্টন থেকে প্রায় ১৪০ কিলোমিটার (৮৭ মাইল) পশ্চিমে ড্রেটন ভ্যালি এবং রাজধানী শহরের প্রায় ৫৫০ কিলোমিটার উত্তরে ফক্স লেক অবস্থিত। সেখানে ২০টি বাড়ি আগুনে পুড়ে গেছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় অগ্নিনির্বাপক হেলিকপ্টার ও এয়ার ট্যাংকার আনা হয়েছে এবং কানাডার কেন্দ্রীয় সরকার অটোয়া থেকে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে। এছাড়া এডমন্টন এক্সপো সেন্টারে এক হাজারেরও বেশি উদ্বাস্তুকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে এবং হাই লেভেল শহরে একটি কার্লিং রিঙ্ককে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে পরিণত করা হচ্ছে। আলবার্টা কানাডার একটি প্রধান তেল উৎপাদনকারী অঞ্চল। কিন্তু দাবানল ছড়িয়ে পড়ার পর এখন পর্যন্ত সেখানকার তেল অবকাঠামোগুলো তাৎক্ষণিকভাবে কোনও বিপদের মুখে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে না।