বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বোচ্চ ৭ কর্মদিবসে মিলছে পুলিশ রিপোর্টসহ পাসপোর্ট 

মাসের পর মাস নয়। ৩ থেকে ৭ কর্মদিবসেই মিলবে পাসপোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ সব পুলিশ ভেরিফিকেশন ও ক্লিয়ারেন্স সেবা। এমন সেবা নিশ্চিতে দেশে এই প্রথম বিশেষ সফটওয়্যার সংযোজন করেছে ঢাকা রেঞ্জ পুলিশ। সেবা দিতে ব্যর্থ হলে বা আবেদনকারীকে হয়রানির অভিযোগের প্রমাণ মিললে নেয়া হচ্ছে ব্যবস্থা।  সম্প্রতি একদিন দুপুরে কেরানীগঞ্জ জিনজিরার হাওলী এলাকায় একুশের টীম। নজর ছিল পাসপোর্ট প্রত্যাশীর পুলিশ ভেরিভিকেশন প্রক্রিয়ার উপর। পুলিশের একজন কমকর্তা তদন্তের জন্য স্বশরীরে সেখানে উপস্থিত।কাছাকাছি সময়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় দেখা হয় পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য আসা আরও দুজনের সঙ্গে।

তাদের একজন জানান, এসআই কামরুজ্জামান নামে একজন ফোনে জানান ফেরিফিকেশন দিয়ে দিব, আপনি আমাদের খরচাপাতিটা মোবাইলে নগদের মাধ্যমে দিয়ে দেন। বললাম, আপনি থানার সামনে ৫ মিনিট দাঁড়ান আমি আসতেছি। পরে বললো আমি তো থানা থেকে বের হয়ে যাব, এসে ডিএসপি অফিসে খবর নিলাম এই নামে এখানে কেউ নাই।

এবার একুশে টিম রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রেঞ্জ পুলিশ সদর দপ্তরে। ভোগান্তি এড়াতে ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতে সংযোজন হওয়া সফটওয়্যারের মাধ্যমে জানা যাবে কি অবস্থা ভেরিভিকশনের? 

প্রতি মাসে ঢাকা রেঞ্জের ১৩ জেলায় হাজার হাজার মানুষ পাচ্ছেন এমন সেবা। এনিয়ে ঢাকা রেঞ্জ পুলিশের প্রধান বলছেন, সেবায় গতি আনতে নেয়া হয়েছে এই ব্যবস্থা। 

ঢাকা রেঞ্জ পুলিশ ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, “প্রতিমাসে ঢাকার জেলার ১৩টি রেঞ্জে প্রায় ২২ হাজার পুলিশ ফেরিফিকেশন দিতে হয়। এর জন্য সফটওয়্যার রয়েছে সে সফটওয়্যারে ৭ সপ্তাহের উপর কোনো অবস্থাতেই লাগবে না। আমরা ৩ দিনের মধ্যে দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি। সকলেই ঘরে বসে সফটওয়্যারে ঢুকে তাদের ডেটাকেগুলো দিয়ে দেয়। এটা সংশ্লিষ্ট ওসির কাছে চলে আসে, ওসি তখন একজন সাব ইন্সপেক্টরকে এনডোর্স করে দেন। সে সাধারণত এক থেকে দেড় দিনের মধ্যে তথ্যগুলো সংগ্রহ করে সফটওয়্যারে এন্ট্রি করে দেন। মূল কপি সংগ্রহের জন্য এসপি অফিসে যাওয়ার দরকার নাই। সার্ভিস গ্রহিতা থানা থেকেই নিতে পারবেন।”

পাশাপাশি এই সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে কোন ব্যতয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের দেয়া হচ্ছেনা ছাড়। 

সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, “ঢাকা রেঞ্জের জেলার ১৩টি জেলায় বিপুল পরিমাণ পাসপোর্ট ইস্যু হয়। আগের পাসপোর্টগুলো শেষ না হলে নতুনগুলো ভেরিফিকেশনের জন্য দেওয়া হয় না। কোনো ধরনের অনিয়ম হলে সেগুলো আমরা মনিটরিং করে থাকি, শাস্তির আওতায় আনা হয়।”

ঢাকা রেঞ্জের সব জেলায় সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় দিনে দিনে উন্নত পুলিশি সেবা পৌঁছে দেবার প্রত্যাশা জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। 

ঢাকা রেঞ্জ পুলিশ ডিআইজি বলেন, “সব পক্ষের স্বচ্ছতার জন্য এই সফটওয়্যারগুলো খুব ভালো কাজ করছে।”

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

সর্বোচ্চ ৭ কর্মদিবসে মিলছে পুলিশ রিপোর্টসহ পাসপোর্ট 

প্রকাশিত সময় : ১১:০৩:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ মে ২০২৩

মাসের পর মাস নয়। ৩ থেকে ৭ কর্মদিবসেই মিলবে পাসপোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ সব পুলিশ ভেরিফিকেশন ও ক্লিয়ারেন্স সেবা। এমন সেবা নিশ্চিতে দেশে এই প্রথম বিশেষ সফটওয়্যার সংযোজন করেছে ঢাকা রেঞ্জ পুলিশ। সেবা দিতে ব্যর্থ হলে বা আবেদনকারীকে হয়রানির অভিযোগের প্রমাণ মিললে নেয়া হচ্ছে ব্যবস্থা।  সম্প্রতি একদিন দুপুরে কেরানীগঞ্জ জিনজিরার হাওলী এলাকায় একুশের টীম। নজর ছিল পাসপোর্ট প্রত্যাশীর পুলিশ ভেরিভিকেশন প্রক্রিয়ার উপর। পুলিশের একজন কমকর্তা তদন্তের জন্য স্বশরীরে সেখানে উপস্থিত।কাছাকাছি সময়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় দেখা হয় পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য আসা আরও দুজনের সঙ্গে।

তাদের একজন জানান, এসআই কামরুজ্জামান নামে একজন ফোনে জানান ফেরিফিকেশন দিয়ে দিব, আপনি আমাদের খরচাপাতিটা মোবাইলে নগদের মাধ্যমে দিয়ে দেন। বললাম, আপনি থানার সামনে ৫ মিনিট দাঁড়ান আমি আসতেছি। পরে বললো আমি তো থানা থেকে বের হয়ে যাব, এসে ডিএসপি অফিসে খবর নিলাম এই নামে এখানে কেউ নাই।

এবার একুশে টিম রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রেঞ্জ পুলিশ সদর দপ্তরে। ভোগান্তি এড়াতে ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতে সংযোজন হওয়া সফটওয়্যারের মাধ্যমে জানা যাবে কি অবস্থা ভেরিভিকশনের? 

প্রতি মাসে ঢাকা রেঞ্জের ১৩ জেলায় হাজার হাজার মানুষ পাচ্ছেন এমন সেবা। এনিয়ে ঢাকা রেঞ্জ পুলিশের প্রধান বলছেন, সেবায় গতি আনতে নেয়া হয়েছে এই ব্যবস্থা। 

ঢাকা রেঞ্জ পুলিশ ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, “প্রতিমাসে ঢাকার জেলার ১৩টি রেঞ্জে প্রায় ২২ হাজার পুলিশ ফেরিফিকেশন দিতে হয়। এর জন্য সফটওয়্যার রয়েছে সে সফটওয়্যারে ৭ সপ্তাহের উপর কোনো অবস্থাতেই লাগবে না। আমরা ৩ দিনের মধ্যে দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি। সকলেই ঘরে বসে সফটওয়্যারে ঢুকে তাদের ডেটাকেগুলো দিয়ে দেয়। এটা সংশ্লিষ্ট ওসির কাছে চলে আসে, ওসি তখন একজন সাব ইন্সপেক্টরকে এনডোর্স করে দেন। সে সাধারণত এক থেকে দেড় দিনের মধ্যে তথ্যগুলো সংগ্রহ করে সফটওয়্যারে এন্ট্রি করে দেন। মূল কপি সংগ্রহের জন্য এসপি অফিসে যাওয়ার দরকার নাই। সার্ভিস গ্রহিতা থানা থেকেই নিতে পারবেন।”

পাশাপাশি এই সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে কোন ব্যতয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের দেয়া হচ্ছেনা ছাড়। 

সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, “ঢাকা রেঞ্জের জেলার ১৩টি জেলায় বিপুল পরিমাণ পাসপোর্ট ইস্যু হয়। আগের পাসপোর্টগুলো শেষ না হলে নতুনগুলো ভেরিফিকেশনের জন্য দেওয়া হয় না। কোনো ধরনের অনিয়ম হলে সেগুলো আমরা মনিটরিং করে থাকি, শাস্তির আওতায় আনা হয়।”

ঢাকা রেঞ্জের সব জেলায় সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় দিনে দিনে উন্নত পুলিশি সেবা পৌঁছে দেবার প্রত্যাশা জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। 

ঢাকা রেঞ্জ পুলিশ ডিআইজি বলেন, “সব পক্ষের স্বচ্ছতার জন্য এই সফটওয়্যারগুলো খুব ভালো কাজ করছে।”