শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জায়েদা খাতুনের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় মামলা

গাজীপুরে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ মে) রাতেই জায়েদা খাতুনের গাড়িচালক সায়ের মাহমুদ বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় দুজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা হলেন- রবিউল ইসলাম ওরফে পাইলট (৪৩) ও খান সুমন (৩০)। তারা দুজনই টঙ্গী এলাকার বাসিন্দা। মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকায় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের টেবিলঘড়ি প্রতীকে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিলেন তারা। এ সময় প্রার্থী ও প্রার্থীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম একাধিক নেতা-কর্মীসহ টঙ্গী পূর্ব থানার গোপালপুর এলাকায় পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা ১৫ থেকে ২০ জন লোক অতর্কিতভাবে তাদের ওপর হামলা চালান। তারা প্রার্থী ও প্রার্থীর ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে লাঠিসোঁটা, রড ও ইট নিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করেন। এতে প্রার্থীর ব্যবহৃত গাড়ির চারপাশের কাচ ভেঙে যায়। মারধরে সুলতান, আশরাফুলসহ কয়েকজন বুকে, পিঠেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত পান। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাদের রক্ষা করেন। আহত ব্যক্তিরা শহীদ আহসান উল্লা মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরবর্তীকালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আসামি রবিউল ইসলাম ও খান সুমন হামলার ঘটনায় জড়িত ছিলেন। টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের গাড়িচালক বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় দুজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

জায়েদা খাতুনের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় মামলা

প্রকাশিত সময় : ১০:২৫:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ মে ২০২৩

গাজীপুরে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ মে) রাতেই জায়েদা খাতুনের গাড়িচালক সায়ের মাহমুদ বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় দুজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা হলেন- রবিউল ইসলাম ওরফে পাইলট (৪৩) ও খান সুমন (৩০)। তারা দুজনই টঙ্গী এলাকার বাসিন্দা। মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকায় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের টেবিলঘড়ি প্রতীকে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিলেন তারা। এ সময় প্রার্থী ও প্রার্থীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম একাধিক নেতা-কর্মীসহ টঙ্গী পূর্ব থানার গোপালপুর এলাকায় পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা ১৫ থেকে ২০ জন লোক অতর্কিতভাবে তাদের ওপর হামলা চালান। তারা প্রার্থী ও প্রার্থীর ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে লাঠিসোঁটা, রড ও ইট নিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করেন। এতে প্রার্থীর ব্যবহৃত গাড়ির চারপাশের কাচ ভেঙে যায়। মারধরে সুলতান, আশরাফুলসহ কয়েকজন বুকে, পিঠেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত পান। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাদের রক্ষা করেন। আহত ব্যক্তিরা শহীদ আহসান উল্লা মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরবর্তীকালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আসামি রবিউল ইসলাম ও খান সুমন হামলার ঘটনায় জড়িত ছিলেন। টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের গাড়িচালক বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় দুজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।’