সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় যে ৫ দেশ

বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হতে বাধা দিলে ভিসায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন। বুধবার (২৪ মে) এক টুইট বার্তায় প্রথমে এ ঘোষণা দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এরপরই দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

সম্প্রতি নির্বাচনে ‘অনিয়ম’করার দায়ে বেশ কিছু দেশ মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে। এসব দেশের মধ্যে প্রথমেই আসে নাইজেরিয়ার কথা।

পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিতে গত ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন । এ নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে নাইজেরিয়ার কয়েকজন নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মার্কিন প্রশাসন। তবে গত ১৬ মে যাদের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, তাদের পরিচয় প্রকাশ করেনি তারা।

এদিকে ২০২১ সালে উগান্ডার কয়েকজন সরকারি কর্মকতার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয় মার্কিন প্রশাসন। ওই বছরের জানুয়ারিতে পূর্ব আফ্রিকার দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ওই নির্বাচন ‘অবাধ ও সুষ্ঠু না হওয়ার’ কথা জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

২০২০ সালে বেলারুশের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মার্কিন প্রশাসন। পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে ওই বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে কারচুপি ও নির্বাচন পরবর্তী বিক্ষোভে দমন-নিপীড়নের অভিযোগ এনে ৮ বেলারুশিয়ানের ওপর ওই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

এর পরের বছরই মধ্য আমেরিকার দেশ নিকারাগুয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মার্কিন প্রশাসন। ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কারচুপি এবং এতে সহায়তা করার অভিযোগ আনে যুক্তরাষ্ট্র। এ অভিযোগে নিকারাগুয়ার বিচারক, সরকারি কৌঁসুলি, সংসদ সদস্য এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

অন্যদিকে ২০২২ সালে পূর্ব আফ্রিকার আরেক দেশ সোমালিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। হয়। তখন দেশটির সরকারি কর্মকর্তা এবং রাজনীতিবিদদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয় মার্কিন প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, যাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় তাদের পরিবারের নিকটতম সদস্যরাও এর আওতায় পড়েন। এ নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্তরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য ভিসা পান না। এমনকি ভিসা দেওয়া থাকলেও সেটি বাতিল করে দেওয়া হয়। নির্বাচনে কারচুপি করা ছাড়াও অন্য কারণেও ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় যে ৫ দেশ

প্রকাশিত সময় : ০৮:১৬:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩

বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হতে বাধা দিলে ভিসায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন। বুধবার (২৪ মে) এক টুইট বার্তায় প্রথমে এ ঘোষণা দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এরপরই দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

সম্প্রতি নির্বাচনে ‘অনিয়ম’করার দায়ে বেশ কিছু দেশ মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে। এসব দেশের মধ্যে প্রথমেই আসে নাইজেরিয়ার কথা।

পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিতে গত ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন । এ নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে নাইজেরিয়ার কয়েকজন নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মার্কিন প্রশাসন। তবে গত ১৬ মে যাদের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, তাদের পরিচয় প্রকাশ করেনি তারা।

এদিকে ২০২১ সালে উগান্ডার কয়েকজন সরকারি কর্মকতার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয় মার্কিন প্রশাসন। ওই বছরের জানুয়ারিতে পূর্ব আফ্রিকার দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ওই নির্বাচন ‘অবাধ ও সুষ্ঠু না হওয়ার’ কথা জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

২০২০ সালে বেলারুশের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মার্কিন প্রশাসন। পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে ওই বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে কারচুপি ও নির্বাচন পরবর্তী বিক্ষোভে দমন-নিপীড়নের অভিযোগ এনে ৮ বেলারুশিয়ানের ওপর ওই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

এর পরের বছরই মধ্য আমেরিকার দেশ নিকারাগুয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মার্কিন প্রশাসন। ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কারচুপি এবং এতে সহায়তা করার অভিযোগ আনে যুক্তরাষ্ট্র। এ অভিযোগে নিকারাগুয়ার বিচারক, সরকারি কৌঁসুলি, সংসদ সদস্য এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

অন্যদিকে ২০২২ সালে পূর্ব আফ্রিকার আরেক দেশ সোমালিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। হয়। তখন দেশটির সরকারি কর্মকর্তা এবং রাজনীতিবিদদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয় মার্কিন প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, যাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় তাদের পরিবারের নিকটতম সদস্যরাও এর আওতায় পড়েন। এ নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্তরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য ভিসা পান না। এমনকি ভিসা দেওয়া থাকলেও সেটি বাতিল করে দেওয়া হয়। নির্বাচনে কারচুপি করা ছাড়াও অন্য কারণেও ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র।