সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে

গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন সর্বকালের সর্বোচ্চ পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতি বৈশ্বিক উত্তাপকে ‘অভূতপূর্ব’ স্তরে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছে। বৃহস্পতিবার আর্থ সিস্টেম সায়েন্স ডেটা সাময়িকীতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিজ্ঞানীরা এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ২০১৩ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ‘মানব প্ররোচিত উষ্ণতা অভূতপূর্বভাবে প্রতি দশকে শূন্য দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। একই সময়ের মধ্যে বার্ষিক গড় কার্বন বা এর সমধাঁচের অন্যান্য গ্যাস নির্গমন সর্বকালের সর্বোচ্চ, যা ৫ হাজার ৪০০ কোটি টন। অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ১ হাজার ৭০০ টন কার্বন নির্গমন হচ্ছে। লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিস্টলি সেন্টার ফর ক্লাইমেট ফিউচারের পরিচালক এবং গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক অধ্যাপক পিয়ার্স ফরস্টার বলেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দশক। বর্তমানে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলি তাপমাত্রা কতটা বাড়বে তার উপর প্রভাব ফেলবে এবং এর ফলে আমরা প্রভাবগুলির মাত্রা এবং তীব্রতা দেখতে পাব।’ তিনি আরও বলেন, ‘জলবায়ু ব্যবস্থার অবস্থা সম্পর্কে সর্বশেষ প্রমাণের আলোকে আমাদের নীতি এবং পদ্ধতির পরিবর্তন করতে হবে। সময় আর আমাদের পক্ষে নেই।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

মৌলভীবাজারে দুর্বৃত্তের হামলায় দুই সহোদর খুন

গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে

প্রকাশিত সময় : ০৫:৫৯:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুন ২০২৩

গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন সর্বকালের সর্বোচ্চ পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতি বৈশ্বিক উত্তাপকে ‘অভূতপূর্ব’ স্তরে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছে। বৃহস্পতিবার আর্থ সিস্টেম সায়েন্স ডেটা সাময়িকীতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিজ্ঞানীরা এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ২০১৩ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ‘মানব প্ররোচিত উষ্ণতা অভূতপূর্বভাবে প্রতি দশকে শূন্য দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। একই সময়ের মধ্যে বার্ষিক গড় কার্বন বা এর সমধাঁচের অন্যান্য গ্যাস নির্গমন সর্বকালের সর্বোচ্চ, যা ৫ হাজার ৪০০ কোটি টন। অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ১ হাজার ৭০০ টন কার্বন নির্গমন হচ্ছে। লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিস্টলি সেন্টার ফর ক্লাইমেট ফিউচারের পরিচালক এবং গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক অধ্যাপক পিয়ার্স ফরস্টার বলেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দশক। বর্তমানে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলি তাপমাত্রা কতটা বাড়বে তার উপর প্রভাব ফেলবে এবং এর ফলে আমরা প্রভাবগুলির মাত্রা এবং তীব্রতা দেখতে পাব।’ তিনি আরও বলেন, ‘জলবায়ু ব্যবস্থার অবস্থা সম্পর্কে সর্বশেষ প্রমাণের আলোকে আমাদের নীতি এবং পদ্ধতির পরিবর্তন করতে হবে। সময় আর আমাদের পক্ষে নেই।’