সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফ্রান্সে পুলিশের গুলিতে কিশোর নিহত

দুই সপ্তাহ আগে ১৯ বছরের এক কিশোরকে গুলি করেছিল ফ্রান্সের পুলিশ। এবার ফের একই ঘটনার সাক্ষী হল রাজধানী প্যারিসের পাশেই অবস্থিত নঁতের অঞ্চল। দ্য জার্নালের খবরে বলা হয়েছে, ট্রাফিক চেকে গাড়ি না থামিয়ে পালানোর চেষ্টা করায় ১৭ বছরের এক কিশোরকে গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ। এ ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয়দের কয়েক দফা বিক্ষোভে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে ওই এলাকা। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের গাড়িসহ বেশ কিছু যানবাহনে আগুন লাগিয়ে দেয়। এদিকে এক নাবালকের প্রতি নিরাপত্তা বাহিনীর এমন সহিংস তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৬ জুন) ওই কিশোর এক ভাড়া করা গাড়ি নিয়ে পশ্চিম প্যারিসের শহরাঞ্চলে নঁতের এলাকা সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময়ই বহু রাস্তায় ট্র্যাফিক আইন ভাঙার অভিযোগে তাকে আটকাতে চায় পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ কর্মকর্তারা গাড়িটিকে থামাতে চেষ্টা করছেন। এক পুলিশ কর্মকর্তা গাড়ির চালকের দিকে অস্ত্র বন্দুক তাক করে আছেন। এরপরই ওই কর্মকর্তা গুলি করেন কিশোরকে। জরুরি বিভাগের লোকজন তড়িঘড়ি করে ঘটনাস্থলে পৌছালেও গুলিবিদ্ধ কিশোর তৎক্ষণাৎ মারা যায়। গাড়িতে কিশোরসহ আরও দুজন ছিলেন। তাদের মধ্যে একজন পালিয়ে গেলেও অপরজনকে আটক করেছে ফ্রান্সের পুলিশ। গুলি চালানোর ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশের কর্মকর্তাকেও হত্যা মামলায় আটক করা হয়েছে। প্যারিসের পুলিশ প্রধান লরেন্ট লুনেজ দাবি করছেন, ওই পুলিশ অফিসারের কাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও সম্ভবত তিনি বিপন্ন বোধ করছিলেন। তবে নিহত কিশোরের আইনজীবীর দাবি, পুলিশ ঠাণ্ডা মাথায় খুন করেছে ওই কিশোরকে। শহরের মেয়র প্যাট্রিক জ্যারি এক বিবৃতিতে এ ঘটনাকে খুবই মর্মান্তিক বলে অভিহিত করেছেন এবং দ্রুত সঠিক তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। ২০২২ সালে ফ্রান্সে গাড়ি না থামানোয় পুলিশের গুলিতে ১৩ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এসব মামলায় পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়। দেশটির এলএফআই পার্টির নেতা ম্যানুয়েল বোম্পার্ড এক টুইটে লিখেছেন, ‘কেউ গাড়ি না থামিয়ে পালিয়ে যেতে থাকলে তাকে হত্যার অধিকার নেই পুলিশের। হ্যাঁ, গাড়ি থামাতে অস্বীকৃতি জানানো আইন বিরুদ্ধে। কিন্তু তা মৃত্যুদণ্ডের মতো দণ্ডবিধিগুলোর একটি নয়।’ সোশ্যালিস্ট পার্টির নেতা অলিভিয়ার ফাউর বলেছেন, ‘গাড়ি থামাতে অস্বীকৃতি জানানো পুলিশকে হত্যার লাইসেন্স প্রদান করে না।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

মৌলভীবাজারে দুর্বৃত্তের হামলায় দুই সহোদর খুন

ফ্রান্সে পুলিশের গুলিতে কিশোর নিহত

প্রকাশিত সময় : ০৩:৫৩:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ জুন ২০২৩

দুই সপ্তাহ আগে ১৯ বছরের এক কিশোরকে গুলি করেছিল ফ্রান্সের পুলিশ। এবার ফের একই ঘটনার সাক্ষী হল রাজধানী প্যারিসের পাশেই অবস্থিত নঁতের অঞ্চল। দ্য জার্নালের খবরে বলা হয়েছে, ট্রাফিক চেকে গাড়ি না থামিয়ে পালানোর চেষ্টা করায় ১৭ বছরের এক কিশোরকে গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ। এ ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয়দের কয়েক দফা বিক্ষোভে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে ওই এলাকা। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের গাড়িসহ বেশ কিছু যানবাহনে আগুন লাগিয়ে দেয়। এদিকে এক নাবালকের প্রতি নিরাপত্তা বাহিনীর এমন সহিংস তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৬ জুন) ওই কিশোর এক ভাড়া করা গাড়ি নিয়ে পশ্চিম প্যারিসের শহরাঞ্চলে নঁতের এলাকা সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময়ই বহু রাস্তায় ট্র্যাফিক আইন ভাঙার অভিযোগে তাকে আটকাতে চায় পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ কর্মকর্তারা গাড়িটিকে থামাতে চেষ্টা করছেন। এক পুলিশ কর্মকর্তা গাড়ির চালকের দিকে অস্ত্র বন্দুক তাক করে আছেন। এরপরই ওই কর্মকর্তা গুলি করেন কিশোরকে। জরুরি বিভাগের লোকজন তড়িঘড়ি করে ঘটনাস্থলে পৌছালেও গুলিবিদ্ধ কিশোর তৎক্ষণাৎ মারা যায়। গাড়িতে কিশোরসহ আরও দুজন ছিলেন। তাদের মধ্যে একজন পালিয়ে গেলেও অপরজনকে আটক করেছে ফ্রান্সের পুলিশ। গুলি চালানোর ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশের কর্মকর্তাকেও হত্যা মামলায় আটক করা হয়েছে। প্যারিসের পুলিশ প্রধান লরেন্ট লুনেজ দাবি করছেন, ওই পুলিশ অফিসারের কাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও সম্ভবত তিনি বিপন্ন বোধ করছিলেন। তবে নিহত কিশোরের আইনজীবীর দাবি, পুলিশ ঠাণ্ডা মাথায় খুন করেছে ওই কিশোরকে। শহরের মেয়র প্যাট্রিক জ্যারি এক বিবৃতিতে এ ঘটনাকে খুবই মর্মান্তিক বলে অভিহিত করেছেন এবং দ্রুত সঠিক তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। ২০২২ সালে ফ্রান্সে গাড়ি না থামানোয় পুলিশের গুলিতে ১৩ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এসব মামলায় পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়। দেশটির এলএফআই পার্টির নেতা ম্যানুয়েল বোম্পার্ড এক টুইটে লিখেছেন, ‘কেউ গাড়ি না থামিয়ে পালিয়ে যেতে থাকলে তাকে হত্যার অধিকার নেই পুলিশের। হ্যাঁ, গাড়ি থামাতে অস্বীকৃতি জানানো আইন বিরুদ্ধে। কিন্তু তা মৃত্যুদণ্ডের মতো দণ্ডবিধিগুলোর একটি নয়।’ সোশ্যালিস্ট পার্টির নেতা অলিভিয়ার ফাউর বলেছেন, ‘গাড়ি থামাতে অস্বীকৃতি জানানো পুলিশকে হত্যার লাইসেন্স প্রদান করে না।’