ঈদুল আজহায় কোরবানির পশু জবাই ও কাটাকাটি নিয়ে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয় রাজধানীবাসীকে। কারণ এই সময়টাতে কসাইদের বেশ সংকট থাকে। এ অবস্থায় ঈদের ছুটিতে অনেকেই যখন বাড়ি ফিরছেন তখন উত্তরাঞ্চলের কসাইরা ভিড় করছেন ঢাকায়। বাস-ট্রেনের পাশাপাশি অনেকে বিমানে করেও ঢাকায় আসছেন তারা। ঈদের দুদিন তারা ঢাকায় অবস্থান করে বিভিন্ন এলাকায় কোরবানির পশু জবাই ও মাংস কাটার কাজ করবেন। যারা ঢাকায় যাচ্ছেন তারা মূলত চুক্তিভিত্তিক। এই দুদিনে তাদের প্রতিজনের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে ন্যূনতম ৩০ থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত।কসাইরা জানান, এবার প্রতি হাজারে পশু জবাই ও মাংস কাটার রেট ধরা হয়েছে ২০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা। অর্থাৎ যদি পশুর দাম এক হাজার টাকা হয় তাহলে তাদের দিতে হবে ২০০-২৫০ টাকা। এতে এক লাখ টাকার পশুর জন্য কসাইকে দিতে হবে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। একইসঙ্গে ওই দুদিনে তাদের থাকা-খাওয়াও দিতে হবে। আর যারা বিমানে করে ঢাকায় যায় তাদের বিমান ভাড়ার অর্ধেক দিয়ে দেয় চুক্তিকারীরাই।জানা যায়, দিনাজপুর থেকে যারা এই সময়টাতে ঢাকা যান তাদের বাড়তি চাপ নিতে হয় না। বরং কম খরচেই তারা ঢাকায় যেতে পারেন। এই সময়টাতে ঢাকা যাওয়ার জন্য বাস ও ট্রেনেও চাপ নেই। বিমানেও একই অবস্থা। ফলে কম মূল্যেই পাওয়া যায় টিকিট। এই দুদিনে তাদের যে বাড়তি উপার্জন হয় তা দিয়েই আগামী দেড় থেকে দুই মাস চলতে পারেন তারা।কসাই সহরত আলী বলেন, প্রতি বছরই এই সময়ে আমাদের একটি বাড়তি উপার্জন আসে পশু জবাই ও মাংস কাটার কাজ থেকে। এর মধ্যে ঢাকা থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং অনেকেই রওনাও দিয়েছেন। বিমানে করেও অনেকে যাচ্ছেন। আমি নিজেও ঢাকায় যাচ্ছি। কসাই আজাহার আলী বলেন, এ পর্যন্ত চারবার বিমানে ঢাকায় গিয়েছি। এবারো তাই। সেখানে কাজ হাজারে ২০০ টাকা আর দিনাজপুরে ৫০ টাকা মাত্র। এ জ ন্য আমরা ঢাকায় যাই।মাংস বাজার কমিটির নির্বাহী সদস্য আবু সাঈদ বলেন, এখানে একটি গরু তৈরি করে দিলে পাঁচ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা। আর ঢাকায় একটা গরু তৈরি করে দিলে কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। এ জন্য অনেকেই ঢাকায় যাচ্ছেন।ডেইলি-বাংলাদেশ
শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
বিমানে ঢাকায় ছুটছেন কসাইরা
-
রিপোর্টারের নাম - প্রকাশিত সময় : ০৩:৫৯:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ জুন ২০২৩
- ১৩১
Tag :
সর্বাধিক পঠিত






















