বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সম্মাননা পেল সেরা ১০ মন্ত্রণালয় ও বিভাগ

২০২১-২২ অর্থবছরে বার্ষিক কর্ম-সম্পাদন চুক্তি (এপিএ) বাস্তবায়নে সেরা ১০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। এহুলো হলো- জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ। বুধবার ‘বার্ষিক কর্ম-সম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর এবং এপিএ ও শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান-২০২৩’ এর মাধ্যমে এ সম্মাননা দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এপিএ ও শুদ্ধাচার পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি এবং গতিশীলতা আনতে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ‘বার্ষিক কর্ম-সম্পাদন চুক্তি’ বা এপিএ প্রবর্তন করে বর্তমান সরকার। প্রতি বছর মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে সিনিয়র সচিব ও সচিবের মধ্যে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এপিএ চুক্তিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের কৌশলগত উদ্দেশ্য, গৃহীত কার্যক্রম ও লক্ষ্যমাত্রা এবং এসব কার্যক্রমের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পরিমাপের জন্য কর্ম-সম্পাদন সূচক বিধৃত রয়েছে। মন্ত্রণালয় বা বিভাগের বার্ষিক ও মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এপিএর আওতায় বিভিন্ন কার্যক্রমের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। ২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে সব মন্ত্রণালয় বা বিভাগ এপিএ স্বাক্ষর করছে। পরবর্তীতে ২০১৫-১৬ অর্থবছর ও ২০১৭-১৮ অর্থবছরে উপজেলা পর্যায়ের অফিসগুলো এপিএ সম্প্রসারিত করে যাচ্ছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এপিএ প্রণয়নে রূপকল্প-২০৪১, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-২০৩০, ডেল্টা প্ল্যান-২১০০, মন্ত্রিসভা বৈঠকের সিদ্ধান্ত, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি এবং এডিপি বাস্তবায়নকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর নিজস্ব পরিকল্পনা এবং এলোকেশন অব বিজনেস অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট কার্যক্রম এপিএতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া এ বছরের এপিএতে সব সরকারি অফিসের শূন্যপদ পূরণের লক্ষ্যমাত্রা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এপিএ স্বাক্ষর এবং এপিএ ও শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে মন্ত্রিসভার সদস্য, উপদেষ্টা, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সিনিয়র সচিব ও সচিব, এপিএ স্বাক্ষরকারী মন্ত্রণালয় ও বিভাগ, এপিএ টিম লিডার ও ফোকাল পয়েন্টরা এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

সম্মাননা পেল সেরা ১০ মন্ত্রণালয় ও বিভাগ

প্রকাশিত সময় : ১১:৪৬:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুলাই ২০২৩

২০২১-২২ অর্থবছরে বার্ষিক কর্ম-সম্পাদন চুক্তি (এপিএ) বাস্তবায়নে সেরা ১০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। এহুলো হলো- জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ। বুধবার ‘বার্ষিক কর্ম-সম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর এবং এপিএ ও শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান-২০২৩’ এর মাধ্যমে এ সম্মাননা দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এপিএ ও শুদ্ধাচার পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি এবং গতিশীলতা আনতে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ‘বার্ষিক কর্ম-সম্পাদন চুক্তি’ বা এপিএ প্রবর্তন করে বর্তমান সরকার। প্রতি বছর মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে সিনিয়র সচিব ও সচিবের মধ্যে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এপিএ চুক্তিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের কৌশলগত উদ্দেশ্য, গৃহীত কার্যক্রম ও লক্ষ্যমাত্রা এবং এসব কার্যক্রমের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পরিমাপের জন্য কর্ম-সম্পাদন সূচক বিধৃত রয়েছে। মন্ত্রণালয় বা বিভাগের বার্ষিক ও মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এপিএর আওতায় বিভিন্ন কার্যক্রমের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। ২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে সব মন্ত্রণালয় বা বিভাগ এপিএ স্বাক্ষর করছে। পরবর্তীতে ২০১৫-১৬ অর্থবছর ও ২০১৭-১৮ অর্থবছরে উপজেলা পর্যায়ের অফিসগুলো এপিএ সম্প্রসারিত করে যাচ্ছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এপিএ প্রণয়নে রূপকল্প-২০৪১, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-২০৩০, ডেল্টা প্ল্যান-২১০০, মন্ত্রিসভা বৈঠকের সিদ্ধান্ত, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি এবং এডিপি বাস্তবায়নকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর নিজস্ব পরিকল্পনা এবং এলোকেশন অব বিজনেস অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট কার্যক্রম এপিএতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া এ বছরের এপিএতে সব সরকারি অফিসের শূন্যপদ পূরণের লক্ষ্যমাত্রা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এপিএ স্বাক্ষর এবং এপিএ ও শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে মন্ত্রিসভার সদস্য, উপদেষ্টা, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সিনিয়র সচিব ও সচিব, এপিএ স্বাক্ষরকারী মন্ত্রণালয় ও বিভাগ, এপিএ টিম লিডার ও ফোকাল পয়েন্টরা এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।