চলছে বর্ষাকাল! কিন্তু তারপরও নেই ভারী বর্ষণ। চৈত্রের খরায় খাঁখাঁ করছে উত্তরাঞ্চলের প্রকৃতি। প্রখর রোদ ও প্রচন্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে জনজীবন। কোথায় মিলছে না স্বস্তি। মূলত তাপমাত্রা বেশি ও পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ার কারণে এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
গরমের কারণে মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে নানা রোগ। বিশেষ করে বয়স্কদের মাঝে বাড়ছে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি। এছাড়াও ডায়রিয়া আক্রান্ত হচ্ছে শিশু সহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ। রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জেষ্ঠ্যপর্যবেক্ষক আনোয়ারা খাতুন জানান, আজ মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন ২৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন গতকাল সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ২৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেখা গেছে, গতকালের চেয়ে আজকের তাপমাত্রা কিছুটা কম। তবে রাজশাহী অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই বলেও জানান তিনি।
এই দিকে, তীব্র গরমে নাজাহাল শ্রেণি পেশার মানুষ। বিশেষ করে শ্রমজীবি এবং কর্মজীবি মানুষ পড়েছেন বেকায়দায়। তারপরও তীব্র গরমের মধ্যে জীবন-জীবিকার তাগিদে ছুটছে মানুষ। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইর্ন্টান ডাক্তার রাকিব। তিনি জানান, তীব্র গরমে গত কয়েক দিন থেকে ডায়রিয়া এবং হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগির সংখ্যা বেশি দেখা যাচ্ছে। এতে করে সেবা দিতে অনেকটায় কষ্ট হচ্ছে আমাদের।

রাজশাহী প্রতিনিধি 
























