এবার সহিংসতায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে ভারতের হরিয়ানা রাজ্য। গতকাল সোমবার রাজ্যের গুরুগ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুইজন নিরাপত্তারক্ষীও আছেন। এতে আহত হয়েছেন পুলিশসহ আরও ২০ জন। খবর এনডিটিভির।
ঘটনার সূত্রপাত হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুরুগ্রাম–সংলগ্ন নুহ এলাকায় একটি ধর্মীয় শোভাযাত্রা চলাকালে সংঘর্ষ বাধে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ব্রিজ মন্ডল জালাভিষেক যাত্রা নামে শোভাযাত্রা বের করে। এই শোভাযাত্রা গুরুগ্রাম–আলওয়ার জাতীয় মহাসড়কে পৌঁছা মাত্রই একদল তরুণ শোভাযাত্রা থামিয়ে দেন। এরপর তারা পাথর ছুড়তে শুরু করেন।
সহিংসতার তীব্রতা বাড়তে থাকলে সরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন বেশ কয়েকটি গাড়ি উন্মত্ত জনতার রোষের মুখে পড়ে। সন্ধ্যা নাগাদ এই সহিংসতা গুরুগ্রাম-সোহনা হাইওয়ে পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। সেইসময় বেশকয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শোভাযাত্রায় আসা অন্তত দুই হাজার ৫০০ মানুষ এতে মন্দিরের ভেতর আটকা পড়ে। পরবর্তীতে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে। পালওয়াল ও গুরুগ্রামের বিভিন্ন অংশেও পাথর নিক্ষেপ ও অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে। এরপর নুহ, গুরুগ্রাম, পালওয়াল এবং ফরিদাবাদে বড় ধরনের জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
নুহতে আগামীকাল পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে। গুরুগ্রাম ও ফরিদাবাদ জেলায় আজকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল, কলেজ এবং সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক /দৈনিক দেশ নিউজ ডটকম 

























