পাকিস্তানের ক্ষমতাধর সেনাবাহিনীকে নিয়ে ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান। ‘বিবিসি হার্ডটক’ অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে সামরিক বাহিনী আতঙ্কে। চলতি বছরের শেষ দিকে পাকিস্তানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
পিটিআই প্রধান বলেছেন, পাকিস্তান অঘোষিত সামরিক শাসনের অধীনে এবং ‘ফ্যাসিবাদীরা’ পাকিস্তানকে অন্ধকার যুগে নিয়ে যাচ্ছে।
ক্রিকেটার তারকা থেকে রাজনৈতিক বনে যাওয়া ইমরান খান ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী হন। তবে মেয়াদ শেষ করার আগেই গত বছরের এপ্রিলে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন। এরপর থেকেই ক্ষমতাসীন সরকার ও পাকিস্তানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করে যাচ্ছেন।
পর্যবেক্ষকদের ধারণা, সামরিক বাহিনীর হাত ধরে ক্ষমতায় আসা ইমরান খান তাদের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়েই ক্ষমতা হারান। বিবিসি হার্ডটকের উপস্থাপক স্টিফেন স্যাকুর ইমরান খানকে প্রশ্ন করেছেন, রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ নিয়ে তার সমালোচনা এসট্যাবলিশমেন্টের (সামরিক বাহিনী) সঙ্গে সম্পর্ক শীতল হওয়ার পরেই শুরু হয়েছে।
তবে এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন ইমরান খান। তিনি এ নিয়ে জোর দিয়ে বলেছেন, একমাত্র পিটিআই দল সামরিক স্বৈরশাসকদের হাতে তৈরি হয়নি। এ কারণে দলটি ভেঙে দেওয়ার জন্য ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে।
সাক্ষাতকারে ইমরান বলেন, এসট্যাবলিশমেন্ট আমাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে দলকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করার পরেও সরকার থেকে বেরিয়ে এসে কেমন করে আমরা ৩৭টি উপনির্বাচনের মধ্যে ৩০টিতে জয়ী হলাম?
এ সময় ইমরান খান বলেন, এসট্যাবলিশমেন্ট ধারণা করেছিল তার ক্ষমতাচ্যুতি পিটিআইকে দুর্বল করবে। কিন্তু তা না হয়ে উল্টো হয়েছে। দলের জনপ্রিয়তা আরও বাড়ছে।

গত ৯ মে পাকিস্তানের ইসলামাবাদ হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রেপ্তার হন ইমরান খান। যদিও দুই দিনের মাথায় ইমরান খান জামিনে মুক্তি পান। তবে তার গ্রেপ্তার ঘিরে পাকিস্তানজুড়ে ব্যাপক সহিংসতা শুরু হয়।
ইমরান বলেছেন, তারা দল ভেঙে দেওয়ার সব চেষ্টা করেছে। তারা ১০ হাজার লোককে জেলে ভরেছে। যাদের মধ্যে নারী ও দলের বিক্ষোভকারীরা আছেন।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক /দৈনিক দেশ নিউজ ডটকম 

























