ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় খড়মপুর কল্লা শহীদ (র.) ওরশে এসে তিতাস নদীতে রেলসেতু পারাপারের সময় ট্রেনের ধাক্কায় চারজন নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে আখাউড়া-সিলেট বাইপাস রেলপথের খরমপুর মাজার শরীফ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে দুইজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন নরসিংদীর মাধবী থানার নোয়াকান্দি গ্রামের বাসিন্দা নাম শুকুর মিয়া (৬০) এবং নরসিংদীর পলাশের মোজাম্মেল (২০)। বাকি দুইজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রেলসেতু দিয়ে মাজারের দিকে যাওয়ার সময় সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেন ধাক্কা দিলে চারজন মারা যান।

আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন খন্দকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মাজার শরীফে আসা লোকজন পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা করে রেলসেতু পারাপার হচ্ছিল। এ সময় ঢাকাগামী পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেন আসার সময় হলে দুই পাশে থাকা কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা হুইসেল বাজিয়ে ট্রেন আসার সংকেত দেয়। লোকজন রেলসেতু পারাপার হতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় সেতু থেকে নদীতে ছিটকে পড়ে নিহত হয়। খবর পেয়ে আখাউড়া ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট প্রায় একঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত দুই ব্যক্তির নাম ও পরিচয় পাওয়া গেছে। শুক্রবার ভোরে আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আরেকজনের মরদেহ নদীতে ভেসে উঠেছে। দুইজনের লাশ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আখাউড়া থানার ওসি মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, অজ্ঞাত একজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার থেকে আখাউড়া খরমপুর মাজার শরীফে সপ্তাহব্যাপী বার্ষিক ওরশ শুরু হয়েছে। ৭ দিন ব্যাপী ওরশ চলবে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত।