বিয়ে একটি সামাজিক বন্ধন, একটি বৈধ চুক্তি যার মাধ্যমে নারী পুরুষ দুজন দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপন করে। রচনা করে স্বপ্নের সুখী নীড়। গড়ে তোলে পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধন। আর সেই সুখের নীড় ধ্বংস করে দেয় বিবাহবিচ্ছেদ। যা একটি পরিবারকে ধ্বংস করে দেয়।
বিয়ের পর অনেক সময় পারস্পরিক সম্পর্কের কারণে স্বামী-স্ত্রী দমবন্ধ বোধ করতে থাকে। এই প্রতিবেদনে এমন কারণগুলি বলা হয়েছে যা একজনকে ডিভোর্স নিতে বাধ্য করে।
ভালবাসা এবং ঘনিষ্ঠতার অভাব
জার্নাল ফর সেক্স অ্যান্ড ম্যারিটাল থেরাপিতে একটি গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে, যা অনুযায়ী ডিভোর্সের একটি বড় কারণ হল শারীরিক সম্পর্কের অভাব, আলিঙ্গন না করা, না ভালবাসা, সবসময় সঙ্গীর শারীরিক চাহিদাকে উপেক্ষা করা। প্রায় ৪৭ গবেষণায় জড়িত শতকরা শতাংশ এটিকে বিবাহবিচ্ছেদের একটি বড় কারণ বলে মনে করেন।
একে অপরকে সম্মান না করা
একটি সম্পর্কের মধ্যে ভালবাসা যত বেশি গুরুত্বপূর্ণ, সম্মান তত বেশি গুরুত্বপূর্ণ, উভয় চাকাই সম্পর্কের কার্টকে শক্তিশালী করে। স্বামী-স্ত্রীর যত অভিযোগই থাকুক না কেন, একে অপরের সামনে রাখতে হবে। কারও সামনে একে অপরকে অপমান করা সম্পর্কের মধ্যে বিশাল ফাটল সৃষ্টি করে, যা হয়ত কখনও পূরণ হবে না।
যৌতুক ও নির্যাতন
যৌতুক আমাদের দেশের জন্য এক সামাজিক ব্যাধি। যৌতুক নিরোধ আইন ২০১৮ অনুসারে বরপক্ষ বা কনেপক্ষ যেকোন পক্ষের নিকট যৌতুক দাবীই অপরাধ হিসেবে গন্য।
যৌতুকের জন্য স্বামী, স্বামীর পরিবারের সদস্যদের অত্যাচার নিপীড়ন, নির্যাতনের শিকার হয় নারী, কখনো মৃত্যুর মাধ্যমেও যৌতুকের বলী হতে হয় তাকে। এর কারণে ৩৫ বছরের সংসারও ছেড়ে আসতে দেখা যায় নারীকে।
দীর্ঘ নীরবতা
কোনও কোনও স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের মধ্যে বিভেদ ঘটলে নীরবতা পালন করেন। এই কমিউনিকেশন গ্যাপ দীর্ঘস্থায়ী হলে সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে। তাই সময়মত একে অপরের যত্ন নিন। যে কোন সমস্যা আসলে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করে ফেলুন।
বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থাকা
স্বামী বা স্ত্রীর মধ্যে যদি বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থাকে, তবে তা সম্পর্কের ভিত্তি দুর্বল করে দেয়। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অন্য কেউ এলে সম্পর্ক বিপর্যস্ত হতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় স্বামী গোপনে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। সংসার-সন্তান থাকা সত্ত্বেও অনেক সময় স্বামীর বহু বিবাহ মেনে নেওয়া অনেক স্ত্রীর পক্ষে সম্ভব হয়না। ফলে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে।
অতিরিক্ত সীমাবদ্ধতা এবং প্রত্যাশা
প্রত্যাশার বোঝা সম্পর্ককে জটিল করে তোলে। অনেক সময় স্বামী বা স্ত্রী আমাদের কাছে পুতুলের মতো আচরণ আশা করে। কিন্তু এটা সম্ভবও নয়, সঠিকও নয়, প্রত্যেক মানুষেরই জীবনের প্রথম অধিকার রয়েছে। তাই সবাইকে একটু স্বাধীনতা দেওয়া উচিত।
একইভাবে অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা ও বিধিনিষেধও সম্পর্কের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি করে। আপনি যদি একজনকে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি বেঁধে রাখেন তবে সে আপনার কাছ থেকে দূরে যেতে চাইবে।

দৈনিক দেশ নিউজ ডটকম ডেস্ক 

























