বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জামায়াত-শিবিরের ৬ নেতাকর্মীর কারাদণ্ড

নাশকতার অভিযোগে ১০ বছর আগে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা মামলায় জামায়াত-শিবিরের ছয় নেতাকর্মীকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর পাশাপাশি প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও তিন মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।  সোমবার (২১ আগস্ট) দ্রুত বিচার আদালত-২ এর বিচারক সাইফুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—দিদার হোসেন সজিব, ইসহাক, ইউসুফ আলী, মোজাহিদুল ইসলাম, আওরঙ্গজেব ও সুলতান মাহমুদ। আসামিদের মধ্যে ইসহাক ও আওরঙ্গজেব জামিনে ছিলেন। এদিন তারা আদালতে হাজির হন। তবে, রায় ঘোষণার আগেই আদালত থেকে চলে যান তারা। পরে আদালত তাদের জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাসহ সাজা পরোয়ানা জারি করেন। অপর চার আসামি শুরু থেকেই পলাতক। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান সাজার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ২০১৩ সালের ১৮ অক্টোবর বিএনপি-জামায়াতসহ ১৮ দলের ডাকা হরতাল চলাকালে জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির লক্ষ্যে জামায়াত-শিবিরের ২০-২৫ জন নেতাকর্মী একটি মিছিল বের করেন। তেজগাঁওয়ের শহিদ তাজউদ্দিন সরণীতে তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় তেজগাঁও থানার এএসআই আব্দুল মালেক দ্রুত বিচার আইনে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার সাব-ইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলাম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করা হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১০ সাক্ষীর মধ্যে ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

‘প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ায় স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়েছিলাম’

জামায়াত-শিবিরের ৬ নেতাকর্মীর কারাদণ্ড

প্রকাশিত সময় : ০২:৩১:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অগাস্ট ২০২৩

নাশকতার অভিযোগে ১০ বছর আগে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা মামলায় জামায়াত-শিবিরের ছয় নেতাকর্মীকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর পাশাপাশি প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও তিন মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।  সোমবার (২১ আগস্ট) দ্রুত বিচার আদালত-২ এর বিচারক সাইফুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—দিদার হোসেন সজিব, ইসহাক, ইউসুফ আলী, মোজাহিদুল ইসলাম, আওরঙ্গজেব ও সুলতান মাহমুদ। আসামিদের মধ্যে ইসহাক ও আওরঙ্গজেব জামিনে ছিলেন। এদিন তারা আদালতে হাজির হন। তবে, রায় ঘোষণার আগেই আদালত থেকে চলে যান তারা। পরে আদালত তাদের জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাসহ সাজা পরোয়ানা জারি করেন। অপর চার আসামি শুরু থেকেই পলাতক। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান সাজার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ২০১৩ সালের ১৮ অক্টোবর বিএনপি-জামায়াতসহ ১৮ দলের ডাকা হরতাল চলাকালে জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির লক্ষ্যে জামায়াত-শিবিরের ২০-২৫ জন নেতাকর্মী একটি মিছিল বের করেন। তেজগাঁওয়ের শহিদ তাজউদ্দিন সরণীতে তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় তেজগাঁও থানার এএসআই আব্দুল মালেক দ্রুত বিচার আইনে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার সাব-ইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলাম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করা হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১০ সাক্ষীর মধ্যে ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।