রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতের আগামী নির্বাচনে ফের জিতবেন মোদি

উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি ও বেকারত্বের কারণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপর অসন্তুষ্ট ভারতীয় ভোটাররা। কিন্তু তিনি এখনও ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তার কারণে পরের বছর নির্বাচনে তৃতীয় মেয়াদে স্বাচ্ছন্দ্যে জয়ী হওয়ার পথে রয়েছেন। শুক্রবার ভারতীয় সাময়িকী ইন্ডিয়া টুডের একটি সমীক্ষায় এই তথ্য জানানো হয়েছে। সাময়িকীটির ‘মুড অব দ্য নেশন’ সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রধান বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধীর জনপ্রিয়তা বেড়েছে এবং ‘ইন্ডিয়া’ নামে গঠিত ২৬ দলীয় বিরোধী জোট ভালো করবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভারতের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত প্রার্থী হিসেবে মোদি অবশ্য গান্ধীর চেয়ে ৩৬ পয়েন্ট বেশি এগিয়ে আছেন। নির্বাচন হলে তার ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের ৩৪২ আসনের মধ্যে ২৮৭টি জিততে পারে। আগামী বছরের মে মাসে ভারতের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অবশ্য বিধি অনুযায়ী কয়েকটি রাজ্যে এর আগেই নির্বাচন হয়ে যাওয়ার কথা। পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোদি ২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসেছিলেন। তিনি কল্যাণমূলক অর্থনীতির মাধ্যমে তার ক্ষমতায় থাকাকে সুসংহত করেছেন। এর পাশাপাশি অবকাঠামো উন্নয়ন এবং আক্রমনাত্মক হিন্দু জাতীয়তাবাদের বিকাশের ওপর জোর দিয়েছিল তার সরকার। বিরোধীরা জানিয়েছেন, নির্বাচনের আগেই সরকার মূলধারার সংবাদপত্র, টেলিভিশন নিউজ চ্যানেল এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিজেপির আধিপত্য নিশ্চিত করেছে। এই সংবাদমাধ্যমগুলোর মাধ্যমে প্রায়ই সমালোচনামূলক কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করে দিচ্ছে সরকার। ভারতের খুচরা মুদ্রাস্ফীতি জুলাই মাসে ছিল ৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ, যা ১৫ মাসের সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। খাদ্যমূল্যস্ফীতি ১১ দশমিক ৫ শতাংশে পৌঁছেছে, যা সাড়ে তিন বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ। সাম্প্রতিক মাসগুলিতে দেশটিতে বেকারত্বের হার ৮ শতাংশের কাছাকাছি রয়ে গেছে, যা সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ভারতের আগামী নির্বাচনে ফের জিতবেন মোদি

প্রকাশিত সময় : ০১:৪০:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩

উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি ও বেকারত্বের কারণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপর অসন্তুষ্ট ভারতীয় ভোটাররা। কিন্তু তিনি এখনও ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তার কারণে পরের বছর নির্বাচনে তৃতীয় মেয়াদে স্বাচ্ছন্দ্যে জয়ী হওয়ার পথে রয়েছেন। শুক্রবার ভারতীয় সাময়িকী ইন্ডিয়া টুডের একটি সমীক্ষায় এই তথ্য জানানো হয়েছে। সাময়িকীটির ‘মুড অব দ্য নেশন’ সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রধান বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধীর জনপ্রিয়তা বেড়েছে এবং ‘ইন্ডিয়া’ নামে গঠিত ২৬ দলীয় বিরোধী জোট ভালো করবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভারতের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত প্রার্থী হিসেবে মোদি অবশ্য গান্ধীর চেয়ে ৩৬ পয়েন্ট বেশি এগিয়ে আছেন। নির্বাচন হলে তার ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের ৩৪২ আসনের মধ্যে ২৮৭টি জিততে পারে। আগামী বছরের মে মাসে ভারতের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অবশ্য বিধি অনুযায়ী কয়েকটি রাজ্যে এর আগেই নির্বাচন হয়ে যাওয়ার কথা। পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোদি ২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসেছিলেন। তিনি কল্যাণমূলক অর্থনীতির মাধ্যমে তার ক্ষমতায় থাকাকে সুসংহত করেছেন। এর পাশাপাশি অবকাঠামো উন্নয়ন এবং আক্রমনাত্মক হিন্দু জাতীয়তাবাদের বিকাশের ওপর জোর দিয়েছিল তার সরকার। বিরোধীরা জানিয়েছেন, নির্বাচনের আগেই সরকার মূলধারার সংবাদপত্র, টেলিভিশন নিউজ চ্যানেল এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিজেপির আধিপত্য নিশ্চিত করেছে। এই সংবাদমাধ্যমগুলোর মাধ্যমে প্রায়ই সমালোচনামূলক কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করে দিচ্ছে সরকার। ভারতের খুচরা মুদ্রাস্ফীতি জুলাই মাসে ছিল ৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ, যা ১৫ মাসের সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। খাদ্যমূল্যস্ফীতি ১১ দশমিক ৫ শতাংশে পৌঁছেছে, যা সাড়ে তিন বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ। সাম্প্রতিক মাসগুলিতে দেশটিতে বেকারত্বের হার ৮ শতাংশের কাছাকাছি রয়ে গেছে, যা সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে।