বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নওগাঁয় শিশু ধর্ষণ মামলায় একজনের যাবজ্জীবন

এসময় একই আদালত সদর উপজেলার ১২ বছরের এক মাদরাসাছাত্রীকে অপহরণের দায়ে সুমন হোসেন (২৫) নামে এক যুবককে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেন। সেই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। রায় ঘোষণার সময় দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

দুই মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মকবুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুস সালামের বাড়ি জেলার ধামইরহাট উপজেলার উত্তর দুর্গাপুর গ্রামে। আর সুমন হোসেন সদর উপজেলার চকচাপাই গ্ৰামের আমিনুল ইসলামের ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৫ জুন জেলার ধামইরহাট উপজেলার আট বছরের একটি শিশুকে ঈদের দিন দুপুরে রুটি ও সেমাই খাওয়ানোর কথা বলে নিজের ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন আব্দুস সালাম। এরপর ওই শিশুর বাবা ধামইরহাট থানায় একটি এজাহার দায়ের করলে তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০২২ সালে ৫ জুলাই থেকে চলতি বছরের ১৪ জুন পর্যন্ত মামলাটিতে ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়। শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় মঙ্গলবার এ রায় দেন আদালত।

অন্যদিকে ২০২২ সালের ১৩ আগস্ট সদর উপজেলার ডাসনগর মলংশাহ দ্বিমুখী দাখিল মাদরাসার এক ছাত্রীকে অটোরিকশায় করে অপহরণ করে নিয়ে যান সুমন। পরে ওই ছাত্রীর বড় ভাই থানায় মামলা করলে পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে তার ভাইয়ের জিম্মায় দিয়ে দেয়। তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে সুমনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করলে আদালতে আটজনের সাক্ষ্য নেন। শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় মঙ্গলবার এ রায় দেন আদালত।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

‘প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ায় স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়েছিলাম’

নওগাঁয় শিশু ধর্ষণ মামলায় একজনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত সময় : ০৩:৫৬:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৩

এসময় একই আদালত সদর উপজেলার ১২ বছরের এক মাদরাসাছাত্রীকে অপহরণের দায়ে সুমন হোসেন (২৫) নামে এক যুবককে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেন। সেই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। রায় ঘোষণার সময় দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

দুই মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মকবুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুস সালামের বাড়ি জেলার ধামইরহাট উপজেলার উত্তর দুর্গাপুর গ্রামে। আর সুমন হোসেন সদর উপজেলার চকচাপাই গ্ৰামের আমিনুল ইসলামের ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৫ জুন জেলার ধামইরহাট উপজেলার আট বছরের একটি শিশুকে ঈদের দিন দুপুরে রুটি ও সেমাই খাওয়ানোর কথা বলে নিজের ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন আব্দুস সালাম। এরপর ওই শিশুর বাবা ধামইরহাট থানায় একটি এজাহার দায়ের করলে তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০২২ সালে ৫ জুলাই থেকে চলতি বছরের ১৪ জুন পর্যন্ত মামলাটিতে ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়। শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় মঙ্গলবার এ রায় দেন আদালত।

অন্যদিকে ২০২২ সালের ১৩ আগস্ট সদর উপজেলার ডাসনগর মলংশাহ দ্বিমুখী দাখিল মাদরাসার এক ছাত্রীকে অটোরিকশায় করে অপহরণ করে নিয়ে যান সুমন। পরে ওই ছাত্রীর বড় ভাই থানায় মামলা করলে পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে তার ভাইয়ের জিম্মায় দিয়ে দেয়। তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে সুমনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করলে আদালতে আটজনের সাক্ষ্য নেন। শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় মঙ্গলবার এ রায় দেন আদালত।