ইকুয়েডরের কয়েকটি কারাগারের ভেতর ৫০ কারারক্ষী ও ৭ পুলিশ সদস্যকে জিম্মি করেছে কারাবন্দিরা। কুয়েনকা কারাগারের এসব কারাবন্দি মূলত সংঘটিত গ্যাংয়ের সদস্য। দেশটির কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।

শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সহিংসতা বন্ধে বুধবার (৩১ আগস্ট) দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির রাজধানী কুইতোর ৫৫ মাইল দক্ষিণের লাতাকুং্গার কতোপাক্সি কারাগারে পুলিশের কয়েক শ কর্মকর্তা ও সেনারা অবৈধ অস্ত্র ও বিস্ফোরকের খোঁজে উদ্ধার অভিযান চালায়। কারাগারের ভেতর আটক গ্যাং সদস্যদের কাছে থাকা অস্ত্র ও অবৈধ জিনিসপত্র উদ্ধারে কয়েকদিন ধরে এ অভিযান চালাচ্ছেন দেশটির আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এমন সময়ই কারারক্ষীদের জিম্মি করার ঘটনা ঘটল।

এসময় দেশটির কারা কর্তৃপক্ষকে(এসএনএআই) লক্ষবস্তু করে রাজধানী কুইতোতে দুটি গাড়ি বোমাও বিস্ফোরিত হয়। তবে এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ইকুয়েডরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জুয়ান জাপাতা বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, এ ঘটনার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানান নি তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘আমরা আমাদের কর্মকর্তাদের নিয়ে উদ্বিগ্ন।’

কারাগারে এমন অভিযান চলার সময় কুইতো শহরে দুটি গাড়ি বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ধারণা করা হচ্ছে, বুধবারের ওই অভিযানের বদলা নিতেই গ্যাংয়ের ওই সদস্যরা এ বোমা হামলা চালিয়েছে।

গাড়ি বোমা হামলার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট গুইলারমো লাসসো বলেছেন, ‘বিভিন্ন হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড চলছে। গত রাতে কুইতোতে দুটি গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। পরিষ্কারভাবে এটি আমাদের অভিযানের বদলা নিতে করা হয়েছে। কারাগারে আইন প্রতিষ্ঠার চেষ্টার কারণে, এসব ভয় দেখানো কর্মকাণ্ড (চালানো হচ্ছে)।’

এদিকে স্থানীয় সাংবাদিক ক্রিস্টিয়ান সাঞ্চেজ মেন্দিয়েতা জানিয়েছেন, কারাবন্দিরা বৃহস্পতিবার কারাগারের ছাদে উঠে পড়ে।