শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম যাত্রী প্রধানমন্ত্রী

দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম যাত্রী হিসেবে রাজধানীর কাওলা থেকে রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে আছেন তার ছোট বোন শেখ রেহানা।

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টা ৪৪ মিনিটে রাজধানীর কাওলা থেকে এক্সপ্রেসওয়েতে যাত্রা শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন সংযোজন ‘এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে’ উদ্বোধন করেন তিনি।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশের টোল ৮০ থেকে ৪০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

মাঝারি ট্রাকের জন্য (ছয় চাকা পর্যন্ত) যেকোনো পয়েন্ট থেকে রুট পার হওয়ার জন্য টোল রেট ক্যাটাগরি-২ এর অধীনে ৩২০ টাকা। ক্যাটাগরি ৩-এর অধীনে যেকোনো পয়েন্ট থেকে রুট পার হওয়ার জন্য ট্রাকের (ছয় চাকার বেশি) টোল রেট ৪০০ টাকা। যেকোনো পয়েন্ট থেকে রুট পার হওয়ার জন্য যেকোনো বাসের (১৬ সিট বা তার বেশি) টোল রেট ক্যাটাগরির-৪ এর অধীনে ১৬০ টাকা।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাওলা, কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।

প্রাথমিকভাবে এক্সপ্রেসওয়েতে গতিসীমা হবে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার এবং এইচএসআইএ থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে যানবাহনের সময় লাগবে ১০ মিনিট। ১১.৫ কিলোমিটার মেইন লাইন এবং ১১ কিলোমিটার র‌্যাম্পসহ অংশটির দৈর্ঘ্য হবে ২২.৫ কিলোমিটার। প্রাথমিকভাবে এই অংশের ১৫টির মধ্যে ১৩টি র‌্যাম্প খোলা হবে। বনানী ও মহাখালীর র‌্যাম্প নির্মাণ শেষ হলেই খুলে দেওয়া হবে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। এতে ভায়াবিলিটি গ্যাপ ফান্ডিং (ভিজিএফ) তহবিল ২ হাজার ৪১৩ কোটি টাকা, যা বাংলাদেশ সরকার দেবে।

আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর দেশের যোগাযোগ, পরিবহন ও বিদ্যুৎ অবকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে বেশকিছু স্মারক উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা ঢাকা মেট্রোরেল আংশিক চালু করেছে এবং পদ্মা বহুমুখী সেতুসহ অন্যান্য মেগা প্রকল্প উদ্বোধন করেছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম যাত্রী প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত সময় : ০৯:১৪:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম যাত্রী হিসেবে রাজধানীর কাওলা থেকে রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে আছেন তার ছোট বোন শেখ রেহানা।

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টা ৪৪ মিনিটে রাজধানীর কাওলা থেকে এক্সপ্রেসওয়েতে যাত্রা শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন সংযোজন ‘এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে’ উদ্বোধন করেন তিনি।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশের টোল ৮০ থেকে ৪০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

মাঝারি ট্রাকের জন্য (ছয় চাকা পর্যন্ত) যেকোনো পয়েন্ট থেকে রুট পার হওয়ার জন্য টোল রেট ক্যাটাগরি-২ এর অধীনে ৩২০ টাকা। ক্যাটাগরি ৩-এর অধীনে যেকোনো পয়েন্ট থেকে রুট পার হওয়ার জন্য ট্রাকের (ছয় চাকার বেশি) টোল রেট ৪০০ টাকা। যেকোনো পয়েন্ট থেকে রুট পার হওয়ার জন্য যেকোনো বাসের (১৬ সিট বা তার বেশি) টোল রেট ক্যাটাগরির-৪ এর অধীনে ১৬০ টাকা।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাওলা, কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।

প্রাথমিকভাবে এক্সপ্রেসওয়েতে গতিসীমা হবে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার এবং এইচএসআইএ থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে যানবাহনের সময় লাগবে ১০ মিনিট। ১১.৫ কিলোমিটার মেইন লাইন এবং ১১ কিলোমিটার র‌্যাম্পসহ অংশটির দৈর্ঘ্য হবে ২২.৫ কিলোমিটার। প্রাথমিকভাবে এই অংশের ১৫টির মধ্যে ১৩টি র‌্যাম্প খোলা হবে। বনানী ও মহাখালীর র‌্যাম্প নির্মাণ শেষ হলেই খুলে দেওয়া হবে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। এতে ভায়াবিলিটি গ্যাপ ফান্ডিং (ভিজিএফ) তহবিল ২ হাজার ৪১৩ কোটি টাকা, যা বাংলাদেশ সরকার দেবে।

আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর দেশের যোগাযোগ, পরিবহন ও বিদ্যুৎ অবকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে বেশকিছু স্মারক উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা ঢাকা মেট্রোরেল আংশিক চালু করেছে এবং পদ্মা বহুমুখী সেতুসহ অন্যান্য মেগা প্রকল্প উদ্বোধন করেছে।