রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘূর্ণিঝড়ের ছবি প্রকাশে ফটোসাংবাদিককে ২০ বছরের কারাদণ্ড

ঘূর্ণিঝড়ের ছবি প্রকাশের জন্য মিয়ানমারের এক ফটোসাংবাদিককে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম মিয়ানমার নাউতে ওই সাংবাদিক কাজ করতেন।মিয়ানমার নাউ জানিয়েছে, পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাখাইন থেকে সাই জাও থাইকে আটক করা হয়। বুধভার একটি সামরিক ট্রাইব্যুনালে শুনানির পর তাকেদোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং সাজা দেওয়া হয়। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, থাইকে প্রাথমিকভাবে বেশ কয়েকটি অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। এগুলোর মধ্যে একটি ছিল রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ। অন্যান্য অভিযোগের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করা, মিথ্যা খবর ছড়ানো এবং সরকারি কর্মচারী বা সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে আন্দোলন করা, যার সর্বোচ্চ সাজা হচ্ছে তিন বছরের কারাদণ্ড। তার বিরুদ্ধে অনলাইন মানহানির অভিযোগও আনা হয়েছে, যার শাস্তি তিন বছরের কারাদণ্ড এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন লঙ্ঘন করার জন্য জনসাধারণের আতঙ্ক সৃষ্টির অভিপ্রায়ে একটি দুর্যোগ সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে আনা হয়েছে। এরর সম্ভাব্য শাস্তি এক বছরের কারাদণ্ড। মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় শহর ইয়াঙ্গুনের ইনসেইন কারাগারের ভিতরে বিচার কার্যক্রম চালানো হয়েছিল। থাইকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে রাখা হয়েছিল। বিচার চলাকালে তার সঙ্গে পরিবারের কোনো সদস্যকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। এমনকি তাকে কোনো আইনি প্রতিনিধিও দেওয়া হয়নি। মায়ানমার নাউ এর এডিটর-ইন-চিফ সুই উইন বলেছেন, ‘তার সাজা আরেকটি ইঙ্গিত যে সামরিক জান্তার শাসনে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সম্পূর্ণভাবে বাতিল করা হয়েছে এবং মিয়ানমারে স্বাধীন সাংবাদিকদের তাদের পেশাগত কাজের জন্য মূল্য দিতে হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ঘূর্ণিঝড়ের ছবি প্রকাশে ফটোসাংবাদিককে ২০ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশিত সময় : ০৫:৩৯:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ঘূর্ণিঝড়ের ছবি প্রকাশের জন্য মিয়ানমারের এক ফটোসাংবাদিককে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম মিয়ানমার নাউতে ওই সাংবাদিক কাজ করতেন।মিয়ানমার নাউ জানিয়েছে, পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাখাইন থেকে সাই জাও থাইকে আটক করা হয়। বুধভার একটি সামরিক ট্রাইব্যুনালে শুনানির পর তাকেদোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং সাজা দেওয়া হয়। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, থাইকে প্রাথমিকভাবে বেশ কয়েকটি অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। এগুলোর মধ্যে একটি ছিল রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ। অন্যান্য অভিযোগের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করা, মিথ্যা খবর ছড়ানো এবং সরকারি কর্মচারী বা সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে আন্দোলন করা, যার সর্বোচ্চ সাজা হচ্ছে তিন বছরের কারাদণ্ড। তার বিরুদ্ধে অনলাইন মানহানির অভিযোগও আনা হয়েছে, যার শাস্তি তিন বছরের কারাদণ্ড এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন লঙ্ঘন করার জন্য জনসাধারণের আতঙ্ক সৃষ্টির অভিপ্রায়ে একটি দুর্যোগ সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে আনা হয়েছে। এরর সম্ভাব্য শাস্তি এক বছরের কারাদণ্ড। মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় শহর ইয়াঙ্গুনের ইনসেইন কারাগারের ভিতরে বিচার কার্যক্রম চালানো হয়েছিল। থাইকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে রাখা হয়েছিল। বিচার চলাকালে তার সঙ্গে পরিবারের কোনো সদস্যকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। এমনকি তাকে কোনো আইনি প্রতিনিধিও দেওয়া হয়নি। মায়ানমার নাউ এর এডিটর-ইন-চিফ সুই উইন বলেছেন, ‘তার সাজা আরেকটি ইঙ্গিত যে সামরিক জান্তার শাসনে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সম্পূর্ণভাবে বাতিল করা হয়েছে এবং মিয়ানমারে স্বাধীন সাংবাদিকদের তাদের পেশাগত কাজের জন্য মূল্য দিতে হবে।