রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লিবিয়ায় বন্যায় ৩ হাজার মানুষের মৃত্যু

লিবিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত পূর্বাঞ্চলে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে তিন হাজারে পৌঁছেছে। এর মধ্যে একটি শহরেই মারা গেছে এক হাজারের বেশি মানুষ। মঙ্গলবার স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে আল-জাজিরা অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে। সোমবার ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল পূর্ব লিবিয়ায় আঘাত হানে। এর ফলে ওয়াদি দেরনা নদীর দুটি বাঁধ ফেটে যায় এবং দেরনা অঞ্চল প্লাবিত হয়। প্রবল পানির তোড়ে অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকগুলি আংশিকভাবে ধসে গেছে এবং সমুদ্রের পাশের একটি সেতু ভেসে গেছে। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে কতজন লোক নিখোঁজ রয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে এই সংখ্যা পাঁচ থেকে ১০ হাজার হতে পারে। আল-জাজিরার স্থানীয় সংবাদদাতা জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ দেরনায় পৌঁছাতে হিমশিম খাচ্ছে। কারণ শহরের দিকে যাওয়ার রাস্তাগুলো বন্যার কারণে ধ্বংস হয়ে গেছে বা কেটে গেছে। তবে দেরনার বাইরের মানুষের কাছে সাহায্য পৌঁছানো শুরু হয়েছে। ঝড়ের কারণে শহরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এর ফলে হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির তথ্য সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। পূর্বাঞ্চলীয় প্রধানমন্ত্রী ওসামা হামাদ প্রথমে জানিয়েছিলেন, প্রায় দুই হাজার মানুষ মারা গেছে এবং হাজার হাজার নিখোঁজ রয়েছে। পরে মৃতের সংখ্যা তিন হাজার বলে জানানো হয়। বেনগাজির বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী হিচেম চকিউয়াত মঙ্গলবার রয়টার্সকে বলেছেন, ‘সমুদ্রে, উপত্যকায়, ভবনের নিচে মৃতদেহ সর্বত্র পড়ে আছে। শহরের ২৫ শতাংশ বিলীন হয়েছে বললে অত্যুক্তি হবে না।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

লিবিয়ায় বন্যায় ৩ হাজার মানুষের মৃত্যু

প্রকাশিত সময় : ০৬:০০:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

লিবিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত পূর্বাঞ্চলে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে তিন হাজারে পৌঁছেছে। এর মধ্যে একটি শহরেই মারা গেছে এক হাজারের বেশি মানুষ। মঙ্গলবার স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে আল-জাজিরা অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে। সোমবার ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল পূর্ব লিবিয়ায় আঘাত হানে। এর ফলে ওয়াদি দেরনা নদীর দুটি বাঁধ ফেটে যায় এবং দেরনা অঞ্চল প্লাবিত হয়। প্রবল পানির তোড়ে অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকগুলি আংশিকভাবে ধসে গেছে এবং সমুদ্রের পাশের একটি সেতু ভেসে গেছে। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে কতজন লোক নিখোঁজ রয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে এই সংখ্যা পাঁচ থেকে ১০ হাজার হতে পারে। আল-জাজিরার স্থানীয় সংবাদদাতা জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ দেরনায় পৌঁছাতে হিমশিম খাচ্ছে। কারণ শহরের দিকে যাওয়ার রাস্তাগুলো বন্যার কারণে ধ্বংস হয়ে গেছে বা কেটে গেছে। তবে দেরনার বাইরের মানুষের কাছে সাহায্য পৌঁছানো শুরু হয়েছে। ঝড়ের কারণে শহরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এর ফলে হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির তথ্য সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। পূর্বাঞ্চলীয় প্রধানমন্ত্রী ওসামা হামাদ প্রথমে জানিয়েছিলেন, প্রায় দুই হাজার মানুষ মারা গেছে এবং হাজার হাজার নিখোঁজ রয়েছে। পরে মৃতের সংখ্যা তিন হাজার বলে জানানো হয়। বেনগাজির বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী হিচেম চকিউয়াত মঙ্গলবার রয়টার্সকে বলেছেন, ‘সমুদ্রে, উপত্যকায়, ভবনের নিচে মৃতদেহ সর্বত্র পড়ে আছে। শহরের ২৫ শতাংশ বিলীন হয়েছে বললে অত্যুক্তি হবে না।’