মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বুদ্ধিমতি নারীরা যে কাজগুলো করে না

একটি প্রেম বা বৈবাহিক সম্পর্ক চালিয়ে নিতে চাইলে অনেকরকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এটি সব সময় সরলভাবে নাও চলতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানুষ কিছু অপরিণত আচরণও করে ফেলতে পারে। তবে কিছু বিষয় থাকে, যেগুলো এড়িয়ে চললে সুখী সম্পর্ক ধরে রাখা সম্ভব। বুদ্ধিমতি এবং পরিণত নারীরা সম্পর্ক সুন্দর রাখতে কিছু কাজ করে না।

আজ আমরা তা-ই জনবো। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই কাজগুলো কী কী-

অন্য সম্পর্ক বিসর্জন দেয় না: অনেক মানুষ সম্পর্কের সময় তাদের বন্ধুদের থেকে দূরে সরে যায়। ভালোবাসার সম্পর্ক মানে অবশ্যই বিশেষ কিছু, তবে এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে আপনার বন্ধু এবং পরিবার আপনার সঙ্গীর চেয়ে অনেক বেশি সময় ধরে আপনার জীবনে রয়েছে। বুদ্ধিমতি নারীরা তাদের সমস্ত প্রিয়জনের মধ্যে সুখী ভারসাম্য বজায় রাখে।

সঙ্গীকে ধন্যবাদ জানাতে ভুল করে না: সম্পর্ক খানিকটা পুরোনো হলেই মানুষ আর তার আলাদাভাবে যত্ন নেয় না। তখন প্রিয় মানুষটি তার জন্য ছোট ছোট যেসব কাজ করে, সেজন্য আলাদা করে ধন্যবাদও দেয় না অনেকেই। কিন্তু বুদ্ধিমতি নারীরা এক্ষেত্রে ভিন্ন। তারা বুঝতে পারে যে কারো সঙ্গে জীবন ভাগ করাটাই একটি উপহার, তাই তারা সঙ্গীকে ধন্যবাদ জানাতে ভুল করে না

আর্থিক স্বাধীনতা ত্যাগ করে না: সঙ্গীর আর্থিক অবস্থা যতই ভালো থাকুক না কেন, সম্পূর্ণরূপে নিজের আর্থিক স্বাধীনতা ত্যাগ করার অর্থ আসলে স্বাধীনতা ত্যাগ করা হতে পারে। পরিণত ও বুদ্ধিমতি নারীর সবকিছুর জন্য তাদের সঙ্গীর কাছে জিজ্ঞাসা করার দরকার হয় না। তারা অনেককিছু নিজের অর্থ দিয়ে কিনতে পেরে গর্বিত এবং আনন্দিত বোধ করে।

সঙ্গীর খারাপ বৈশিষ্ট্যগুলোতে ফোকাস করে না: পরিণত নারীরা নেতিবাচক বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তে তাদের সঙ্গীর সেরা বৈশিষ্ট্যগুলোতে ফোকাস করার চেষ্টা করে। তারা তাদের সঙ্গী যা করে এবং বলে সেগুলোর ভালো দিকগুলোতে ফোকাস করে। তারা সঙ্গীর ত্রুটির জন্য তাকে বিচার করার পরিবর্তে বুঝতে পারে যে তাদের নিজেরও ত্রুটি রয়েছে।

স্বপ্ন ছেড়ে দেয় না: পরিণত নারীরা বুঝতে পারে যে, একটি দুর্দান্ত সম্পর্ক কখনো কাউকে নিচে টেনে আনে না। এর পরিবর্তে সেরাটি নিয়ে আসে। একটি ভালো সম্পর্ক আপনাকে আপনার স্বপ্নগুলো পূরণ করতে উৎসাহিত করবে। কোনো নারী যদি তার স্বপ্নগুলো পূরণ করা বন্ধ করে দেয় তবে সম্পর্কটি সুখী হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়

আত্মসম্মান ত্যাগ করে না: সম্পর্কের সময় কিছুটা পরিবর্তন হওয়া স্বাভাবিক, তবে পরিণত নারীরা সম্পর্কের কারণে তাদের আত্মসম্মান বিসর্জন দেয় না। সঙ্গী অসম্মানজনক কথা বললে তারা সহ্য করে না। তারা আশা করে যে সঙ্গী সব সময় সম্মান দিয়ে কথা বলবে। এবং তারা নিজেরাও সেই চেষ্টা করে।

ভালোবাসাকে হালকাভাবে নেয় না: পরিণত বুদ্ধিমতি নারীরা আমি তোমাকে ভালোবাসি- এই তিনটি শব্দের গুরুত্ব বোঝে, তাই তারা তাদের সঙ্গীর সঙ্গে যতদিনই থাকুন না কেন শব্দগুলোকে বিশেষ রাখতে কঠোর পরিশ্রম করে। তারা প্রতিটি কথোপকথনের শেষে ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’ বলে না – এর পরিবর্তে তারা সঠিক মুহুর্তে এটি বলে, তাদের সঙ্গীকে দেখানোর জন্য যে তারা তাদের কতটা প্রশংসা করে।-ডেইলি-বাংলাদেশ

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

বুদ্ধিমতি নারীরা যে কাজগুলো করে না

প্রকাশিত সময় : ০৬:৪০:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

একটি প্রেম বা বৈবাহিক সম্পর্ক চালিয়ে নিতে চাইলে অনেকরকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এটি সব সময় সরলভাবে নাও চলতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানুষ কিছু অপরিণত আচরণও করে ফেলতে পারে। তবে কিছু বিষয় থাকে, যেগুলো এড়িয়ে চললে সুখী সম্পর্ক ধরে রাখা সম্ভব। বুদ্ধিমতি এবং পরিণত নারীরা সম্পর্ক সুন্দর রাখতে কিছু কাজ করে না।

আজ আমরা তা-ই জনবো। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই কাজগুলো কী কী-

অন্য সম্পর্ক বিসর্জন দেয় না: অনেক মানুষ সম্পর্কের সময় তাদের বন্ধুদের থেকে দূরে সরে যায়। ভালোবাসার সম্পর্ক মানে অবশ্যই বিশেষ কিছু, তবে এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে আপনার বন্ধু এবং পরিবার আপনার সঙ্গীর চেয়ে অনেক বেশি সময় ধরে আপনার জীবনে রয়েছে। বুদ্ধিমতি নারীরা তাদের সমস্ত প্রিয়জনের মধ্যে সুখী ভারসাম্য বজায় রাখে।

সঙ্গীকে ধন্যবাদ জানাতে ভুল করে না: সম্পর্ক খানিকটা পুরোনো হলেই মানুষ আর তার আলাদাভাবে যত্ন নেয় না। তখন প্রিয় মানুষটি তার জন্য ছোট ছোট যেসব কাজ করে, সেজন্য আলাদা করে ধন্যবাদও দেয় না অনেকেই। কিন্তু বুদ্ধিমতি নারীরা এক্ষেত্রে ভিন্ন। তারা বুঝতে পারে যে কারো সঙ্গে জীবন ভাগ করাটাই একটি উপহার, তাই তারা সঙ্গীকে ধন্যবাদ জানাতে ভুল করে না

আর্থিক স্বাধীনতা ত্যাগ করে না: সঙ্গীর আর্থিক অবস্থা যতই ভালো থাকুক না কেন, সম্পূর্ণরূপে নিজের আর্থিক স্বাধীনতা ত্যাগ করার অর্থ আসলে স্বাধীনতা ত্যাগ করা হতে পারে। পরিণত ও বুদ্ধিমতি নারীর সবকিছুর জন্য তাদের সঙ্গীর কাছে জিজ্ঞাসা করার দরকার হয় না। তারা অনেককিছু নিজের অর্থ দিয়ে কিনতে পেরে গর্বিত এবং আনন্দিত বোধ করে।

সঙ্গীর খারাপ বৈশিষ্ট্যগুলোতে ফোকাস করে না: পরিণত নারীরা নেতিবাচক বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তে তাদের সঙ্গীর সেরা বৈশিষ্ট্যগুলোতে ফোকাস করার চেষ্টা করে। তারা তাদের সঙ্গী যা করে এবং বলে সেগুলোর ভালো দিকগুলোতে ফোকাস করে। তারা সঙ্গীর ত্রুটির জন্য তাকে বিচার করার পরিবর্তে বুঝতে পারে যে তাদের নিজেরও ত্রুটি রয়েছে।

স্বপ্ন ছেড়ে দেয় না: পরিণত নারীরা বুঝতে পারে যে, একটি দুর্দান্ত সম্পর্ক কখনো কাউকে নিচে টেনে আনে না। এর পরিবর্তে সেরাটি নিয়ে আসে। একটি ভালো সম্পর্ক আপনাকে আপনার স্বপ্নগুলো পূরণ করতে উৎসাহিত করবে। কোনো নারী যদি তার স্বপ্নগুলো পূরণ করা বন্ধ করে দেয় তবে সম্পর্কটি সুখী হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়

আত্মসম্মান ত্যাগ করে না: সম্পর্কের সময় কিছুটা পরিবর্তন হওয়া স্বাভাবিক, তবে পরিণত নারীরা সম্পর্কের কারণে তাদের আত্মসম্মান বিসর্জন দেয় না। সঙ্গী অসম্মানজনক কথা বললে তারা সহ্য করে না। তারা আশা করে যে সঙ্গী সব সময় সম্মান দিয়ে কথা বলবে। এবং তারা নিজেরাও সেই চেষ্টা করে।

ভালোবাসাকে হালকাভাবে নেয় না: পরিণত বুদ্ধিমতি নারীরা আমি তোমাকে ভালোবাসি- এই তিনটি শব্দের গুরুত্ব বোঝে, তাই তারা তাদের সঙ্গীর সঙ্গে যতদিনই থাকুন না কেন শব্দগুলোকে বিশেষ রাখতে কঠোর পরিশ্রম করে। তারা প্রতিটি কথোপকথনের শেষে ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’ বলে না – এর পরিবর্তে তারা সঠিক মুহুর্তে এটি বলে, তাদের সঙ্গীকে দেখানোর জন্য যে তারা তাদের কতটা প্রশংসা করে।-ডেইলি-বাংলাদেশ