মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পূজার সাজে বৈচিত্র্য

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। এই উত্সবকে ঘিরে থাকে নানা আয়োজন। সাজ পোশাকেও থাকে বিশেষ নজর। পূজার পাঁচ দিন অনেকেই পাঁচ ধরনের পোশাক পরতে পছন্দ করেন। তাই স্বভাবতই ভিন্ন ভিন্ন পোশাকের সঙ্গে সাজের ধরনে আসে ভিন্নতা। যেহেতু পূজায় এক মণ্ডপ থেকে আরেক মণ্ডপে ঘোরাঘুরি করতে হবে, সেজন্য খেয়াল রাখতে হবে যেন সাজ স্নিগ্ধ হয়। সাজ এমন হতে হবে যাতে তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় এবং মুখে কালচে আর ক্লান্তি-ভাব না আসে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক ষষ্ঠী থেকে দশমী প্রতিদিনের সাজ-পোশাক কেমন হওয়া চাই।

ষষ্ঠীতে হালকা সাজ

হালকা সাজ দিয়ে শুরু করুন ষষ্ঠী। তাঁত বা প্রিন্টের সুতি শাড়ি, সালোয়ার কামিজ যে কোনোটাই পরতে পারেন এদিন। কমপ্যাক্ট পাউডার, চোখে কাজল, হালকা লিপস্টিকেই সেরে ফেলতে পারেন ষষ্ঠীর সাজ। চুলটা হালফ্যাশনের সামনের দিকে টুইস্ট করে পেছনে পনিটেইল, খেজুর বেণি করলে গরমে আরাম মিলবে আর ট্রেন্ডি লুকও আসবে।

স্নিগ্ধ থাকুন সপ্তমীতে

সপ্তমীতে অঞ্জলি দিতে যাওয়ার সময় সাজটা হালকা এবং সজীব রাখুন। এদিন সুতি আরামদায়ক পোশাক মানানসই। এমন পোশাকের সঙ্গে বেইজ মেকআপে ত্বকের সঙ্গে মিলিয়ে ট্যান্সলুসেন্ট পাউডার কিংবা বিবি ক্রিম লাগাতে পারেন। ঠোঁটে দিন করোল, হালকা গোলাপি, কমলা লিপস্টিক। সপ্তমীর রাতের সাজে চোখে ব্লু, অ্যাশ আইশ্যাডো লাগিয়ে সাজটাকে রাতের উপযোগী করে তুলুন। খোঁপা করে চুলে বেশি করে ফুল লাগিয়ে সাজে স্নিগ্ধতা আনতে পারেন।

অষ্টমীর সাজ

অষ্টমীতে বেনারসি, সিল্ক কাতানের মতো ভারী শাড়ি পরতে পারেন অনায়াসে। এদিন সাধারণত দিনের হালকা আর রাতে ভারী সাজা হয়। রাতে ভারী সাজের ক্ষেত্রে সাজার আগে মুখ টোনিং করে ওয়াটার বেইজ ফাউন্ডেশন দিন। এরপর ফেস পাউডার ও ব্রাউন ব্লাশন লাগান। চোখের সাজে এখন উজ্জ্বল রং খুব চলছে। পোশাকের বিপরীত রঙের বা রং মিলিয়ে দুই শেডের আইশ্যাডো লাগাতে পারেন। সবশেষে পছন্দমতো লিপস্টিক দিয়ে সাজ সম্পন্ন করুন। হেয়ারস্টাইলে চুল কোঁকড়া করার ধারা এখন জনপ্রিয়। শাড়ির সঙ্গে চুল কোঁকড়া করে খুলে বা খোঁপা করে রাখতে পারেন। আলতা, টিপ আর সিঁদুর পরে সাজে পূর্ণতা আনুন।

জমকালো সাজে নবমী

নবমীর সাজ হবে গর্জিয়াস। অষ্টমীর মতো এদিনও জামদানি, কাতান বা সিল্কের শাড়ি কিংবা সালোয়ার কামিজ পরতে পারেন। এ ধরনের পোশাকের সঙ্গে চোখে কনট্রাস্ট আইশ্যাডো এবং ম্যাচিং করে সোনালি কিংবা রুপালি হাইলাইট ভালো লাগবে।

ঐতিহ্যের সাজে দশমী

পূজার প্রাণ বিজয়াদশমী। দশমীতে সবাই সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠে। দশমীতে লাল শাড়ি, সাদা শাড়ি লাল পাড়ের ঐতিহ্য লক্ষ করা যায়। দশমীর আয়োজনের মতো সাজপোশাকও হয় জমকালো। এদিন চোখজোড়া উজ্জ্বল রঙে কিংবা স্মোকি লুকে সাজাতে পারেন। সঙ্গে মোটা করে কাজল, আইলাইনার, মাশকারা দিতে পারেন। আবার আইলাইনার এড়িয়ে শুধু আইশ্যাডোতে চোখে গর্জিয়াস কিন্তু স্নিগ্ধ লুক আনা যায়। গালে ব্লাশন আর ঠোঁটে গাঢ় রঙের লিপস্টিক দিন। খোঁপা কিংবা খোলা চুলে জড়িয়ে নিন তাজা ফুল।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

পূজার সাজে বৈচিত্র্য

প্রকাশিত সময় : ১০:৫৬:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ অক্টোবর ২০২৩

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। এই উত্সবকে ঘিরে থাকে নানা আয়োজন। সাজ পোশাকেও থাকে বিশেষ নজর। পূজার পাঁচ দিন অনেকেই পাঁচ ধরনের পোশাক পরতে পছন্দ করেন। তাই স্বভাবতই ভিন্ন ভিন্ন পোশাকের সঙ্গে সাজের ধরনে আসে ভিন্নতা। যেহেতু পূজায় এক মণ্ডপ থেকে আরেক মণ্ডপে ঘোরাঘুরি করতে হবে, সেজন্য খেয়াল রাখতে হবে যেন সাজ স্নিগ্ধ হয়। সাজ এমন হতে হবে যাতে তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় এবং মুখে কালচে আর ক্লান্তি-ভাব না আসে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক ষষ্ঠী থেকে দশমী প্রতিদিনের সাজ-পোশাক কেমন হওয়া চাই।

ষষ্ঠীতে হালকা সাজ

হালকা সাজ দিয়ে শুরু করুন ষষ্ঠী। তাঁত বা প্রিন্টের সুতি শাড়ি, সালোয়ার কামিজ যে কোনোটাই পরতে পারেন এদিন। কমপ্যাক্ট পাউডার, চোখে কাজল, হালকা লিপস্টিকেই সেরে ফেলতে পারেন ষষ্ঠীর সাজ। চুলটা হালফ্যাশনের সামনের দিকে টুইস্ট করে পেছনে পনিটেইল, খেজুর বেণি করলে গরমে আরাম মিলবে আর ট্রেন্ডি লুকও আসবে।

স্নিগ্ধ থাকুন সপ্তমীতে

সপ্তমীতে অঞ্জলি দিতে যাওয়ার সময় সাজটা হালকা এবং সজীব রাখুন। এদিন সুতি আরামদায়ক পোশাক মানানসই। এমন পোশাকের সঙ্গে বেইজ মেকআপে ত্বকের সঙ্গে মিলিয়ে ট্যান্সলুসেন্ট পাউডার কিংবা বিবি ক্রিম লাগাতে পারেন। ঠোঁটে দিন করোল, হালকা গোলাপি, কমলা লিপস্টিক। সপ্তমীর রাতের সাজে চোখে ব্লু, অ্যাশ আইশ্যাডো লাগিয়ে সাজটাকে রাতের উপযোগী করে তুলুন। খোঁপা করে চুলে বেশি করে ফুল লাগিয়ে সাজে স্নিগ্ধতা আনতে পারেন।

অষ্টমীর সাজ

অষ্টমীতে বেনারসি, সিল্ক কাতানের মতো ভারী শাড়ি পরতে পারেন অনায়াসে। এদিন সাধারণত দিনের হালকা আর রাতে ভারী সাজা হয়। রাতে ভারী সাজের ক্ষেত্রে সাজার আগে মুখ টোনিং করে ওয়াটার বেইজ ফাউন্ডেশন দিন। এরপর ফেস পাউডার ও ব্রাউন ব্লাশন লাগান। চোখের সাজে এখন উজ্জ্বল রং খুব চলছে। পোশাকের বিপরীত রঙের বা রং মিলিয়ে দুই শেডের আইশ্যাডো লাগাতে পারেন। সবশেষে পছন্দমতো লিপস্টিক দিয়ে সাজ সম্পন্ন করুন। হেয়ারস্টাইলে চুল কোঁকড়া করার ধারা এখন জনপ্রিয়। শাড়ির সঙ্গে চুল কোঁকড়া করে খুলে বা খোঁপা করে রাখতে পারেন। আলতা, টিপ আর সিঁদুর পরে সাজে পূর্ণতা আনুন।

জমকালো সাজে নবমী

নবমীর সাজ হবে গর্জিয়াস। অষ্টমীর মতো এদিনও জামদানি, কাতান বা সিল্কের শাড়ি কিংবা সালোয়ার কামিজ পরতে পারেন। এ ধরনের পোশাকের সঙ্গে চোখে কনট্রাস্ট আইশ্যাডো এবং ম্যাচিং করে সোনালি কিংবা রুপালি হাইলাইট ভালো লাগবে।

ঐতিহ্যের সাজে দশমী

পূজার প্রাণ বিজয়াদশমী। দশমীতে সবাই সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠে। দশমীতে লাল শাড়ি, সাদা শাড়ি লাল পাড়ের ঐতিহ্য লক্ষ করা যায়। দশমীর আয়োজনের মতো সাজপোশাকও হয় জমকালো। এদিন চোখজোড়া উজ্জ্বল রঙে কিংবা স্মোকি লুকে সাজাতে পারেন। সঙ্গে মোটা করে কাজল, আইলাইনার, মাশকারা দিতে পারেন। আবার আইলাইনার এড়িয়ে শুধু আইশ্যাডোতে চোখে গর্জিয়াস কিন্তু স্নিগ্ধ লুক আনা যায়। গালে ব্লাশন আর ঠোঁটে গাঢ় রঙের লিপস্টিক দিন। খোঁপা কিংবা খোলা চুলে জড়িয়ে নিন তাজা ফুল।