শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাত সকালেই হেমায়েতপুরে বাসে আগুন

বিএনপি-জামায়াত ঘোষিত দেশজুড়ে অবরোধের দ্বিতীয় দিন আজ। এদিন সাভারের হেমায়েতপুরের মধুমতিতে রিমি ট্রাভেলসের একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। বুধবার (১ নভেম্বর) সকাল ৬ টার দিকে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে আগুন দিয়ে চলে যায় তারা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে মিছিল নিয়ে বের হয় অবরোধের পক্ষের আন্দোলনকারীরা। মিছিলের এক পর্যায়ে হেমায়েতপুরের মধুমতির কাছে এক জায়গায় গণপরিবহন আটকে স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে তাদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে পার্কিং-এ দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। স্থানীরা এসে পরবর্তীতে বাসের আগুন নেভায়।

এদিকে রাজধানীতে গতকালের থেকে বাসের সংখ্যা বাড়লেও তবে অবরোধ আতঙ্কে বাস টার্মিনাল থেকে ছাড়ছে না কোনো দূরপাল্লার বাস।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভোর থেকেই স্বাভাবিক গতিতে চলাচল করছে গণপরিবহন। যাত্রীরা স্বাভাবিক দিনের মতোই বাসে চড়তে পারছেন। তবে যাত্রীর সংখ্যার তুলনায় বাসের সংখ্যা কম হওয়া দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে অফিসগামী মানুষদের। এছাড়া মহাসড়কে সিএনজি, লেগুনা ও মাইক্রোবাস চলাচল করতে দেখা গেছে।

অভ্যন্তরীণ বাস চললেও গাবতলী থেকে ছেড়ে যাচ্ছে না কোনো দূরপাল্লার বাস। অধিকাংশ বাসের টিকিট কাউন্টার বন্ধ। যাত্রীর সংখ্যাও হাতে গোনা দু-একজন। বাস সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অবরোধ আতঙ্কেই ছাড়া হচ্ছে না কোনো বাস। একই কারণে যাত্রীদের সংখ্যাও অনেক কম।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

সাত সকালেই হেমায়েতপুরে বাসে আগুন

প্রকাশিত সময় : ১০:৫০:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০২৩

বিএনপি-জামায়াত ঘোষিত দেশজুড়ে অবরোধের দ্বিতীয় দিন আজ। এদিন সাভারের হেমায়েতপুরের মধুমতিতে রিমি ট্রাভেলসের একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। বুধবার (১ নভেম্বর) সকাল ৬ টার দিকে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে আগুন দিয়ে চলে যায় তারা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে মিছিল নিয়ে বের হয় অবরোধের পক্ষের আন্দোলনকারীরা। মিছিলের এক পর্যায়ে হেমায়েতপুরের মধুমতির কাছে এক জায়গায় গণপরিবহন আটকে স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে তাদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে পার্কিং-এ দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। স্থানীরা এসে পরবর্তীতে বাসের আগুন নেভায়।

এদিকে রাজধানীতে গতকালের থেকে বাসের সংখ্যা বাড়লেও তবে অবরোধ আতঙ্কে বাস টার্মিনাল থেকে ছাড়ছে না কোনো দূরপাল্লার বাস।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভোর থেকেই স্বাভাবিক গতিতে চলাচল করছে গণপরিবহন। যাত্রীরা স্বাভাবিক দিনের মতোই বাসে চড়তে পারছেন। তবে যাত্রীর সংখ্যার তুলনায় বাসের সংখ্যা কম হওয়া দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে অফিসগামী মানুষদের। এছাড়া মহাসড়কে সিএনজি, লেগুনা ও মাইক্রোবাস চলাচল করতে দেখা গেছে।

অভ্যন্তরীণ বাস চললেও গাবতলী থেকে ছেড়ে যাচ্ছে না কোনো দূরপাল্লার বাস। অধিকাংশ বাসের টিকিট কাউন্টার বন্ধ। যাত্রীর সংখ্যাও হাতে গোনা দু-একজন। বাস সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অবরোধ আতঙ্কেই ছাড়া হচ্ছে না কোনো বাস। একই কারণে যাত্রীদের সংখ্যাও অনেক কম।