শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শরণখোলায় ঘূর্ণিঝড় মিধিলা’র প্রভাবে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা

নইন আবু নাঈম তালুকদার, শরণখোলা (বাগেরহাট)ঃ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি ঘূর্ণিঝড় মিধিলা’র প্রভাবে উপকুলীয় অঞ্চল বাগেরহাটের শরণখোলায় আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতিসহ খেসারি ও সবজিতে কৃষকরা লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হবে। গত ১৭ নভেম্বর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি ঘূর্ণিঝড় মিধিলা’র প্রভাবে সারাদেশে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিসহ দমকা বাতাস সৃষ্টি হওয়ায় ফসলের মাঠ হাটু পরিমাণ পানিতে নিমজ্জিত হয়।

এছাড়া কোথাও কোথাও গাছপালা ভেঙে বাড়ি ঘরের ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। শরণখোলা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নের ৯ হাজার ১৭০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়। এরমধ্যে ৪৬০ হেক্টর জমির ধান বাতাসে শুয়ে পড়ে এবং হাটু পরিমাণ পানিতে নিমজ্জিত আছে।

এছাড়া ৫ হাজার ৩০ হেক্টর জমিতে খেসারি রপন করা হলেও তার মধ্যে ৪৩০ হেক্টর পানিতে তলিয়ে যায়, ৩০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ করা হলেও দুদিনের বৃষ্টিতে তার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে অন্যদিকে ১০ হেক্টর জমিতে পানের বর চাষ করা হলেও তারও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান। তবে ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়বে কিনা ২/১ দিনের মধ্যে জানা যাবে।

উপজেলা রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা কৃষক কেষব হাওলাদার, জব্বার হাওলাদার, সাউথখালী গ্রামে কৃষক দুলাল হাওলাদার, বকুলতলা গ্রামের কৃষক তৈয়ব আলী বলেন, এবছর যথা সময় বৃষ্টি ঠিকমতো হওয়ায় আমনের বাম্পার ফলন হয়েছিল কিন্তু দুর্ভাগ্য ঘূর্ণিঝড় মিথিলার আঘাতে ধান শুয়ে পড়ায় প্রচুর পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।

সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন রাজিব, খোন্তাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন বলেন, এবছর আমনের বাম্পার ফলন হয়েছিল কিন্তু ঘূর্ণিঝড় মিধিলা’র প্রভাবে বৃষ্টি ও বাতাসে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হওয়া সম্ভাবনা রয়েছে।

এছাড়া উপজেলার সাউথখালী আশার আলো মসজিদ সংলগ্ন এলাকায়, বগি, চালিতাবুনিয়া এলাকায় গাছ পড়ে কিছু ঘরের ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন তিনি চারটি ইউনিয়নের বিভিন্ন ধানক্ষেতের মাঠ পরিদর্শন করেছেন তার ধারণা এবছর আশাতীত ফসল হওয়া সম্ভাবনা ছিল।

কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কৃষকের আমন ধান, খেসারি ও সবজির ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, ঘুর্ণিঝড় মিধিলা’র প্রভাবে প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় আমনের ক্ষতি হয়েছে। তবে বাড়ি ঘর ও মাছের ঘেরের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

শরণখোলায় ঘূর্ণিঝড় মিধিলা’র প্রভাবে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা

প্রকাশিত সময় : ০৭:০৬:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩

নইন আবু নাঈম তালুকদার, শরণখোলা (বাগেরহাট)ঃ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি ঘূর্ণিঝড় মিধিলা’র প্রভাবে উপকুলীয় অঞ্চল বাগেরহাটের শরণখোলায় আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতিসহ খেসারি ও সবজিতে কৃষকরা লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হবে। গত ১৭ নভেম্বর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি ঘূর্ণিঝড় মিধিলা’র প্রভাবে সারাদেশে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিসহ দমকা বাতাস সৃষ্টি হওয়ায় ফসলের মাঠ হাটু পরিমাণ পানিতে নিমজ্জিত হয়।

এছাড়া কোথাও কোথাও গাছপালা ভেঙে বাড়ি ঘরের ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। শরণখোলা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নের ৯ হাজার ১৭০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়। এরমধ্যে ৪৬০ হেক্টর জমির ধান বাতাসে শুয়ে পড়ে এবং হাটু পরিমাণ পানিতে নিমজ্জিত আছে।

এছাড়া ৫ হাজার ৩০ হেক্টর জমিতে খেসারি রপন করা হলেও তার মধ্যে ৪৩০ হেক্টর পানিতে তলিয়ে যায়, ৩০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ করা হলেও দুদিনের বৃষ্টিতে তার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে অন্যদিকে ১০ হেক্টর জমিতে পানের বর চাষ করা হলেও তারও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান। তবে ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়বে কিনা ২/১ দিনের মধ্যে জানা যাবে।

উপজেলা রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা কৃষক কেষব হাওলাদার, জব্বার হাওলাদার, সাউথখালী গ্রামে কৃষক দুলাল হাওলাদার, বকুলতলা গ্রামের কৃষক তৈয়ব আলী বলেন, এবছর যথা সময় বৃষ্টি ঠিকমতো হওয়ায় আমনের বাম্পার ফলন হয়েছিল কিন্তু দুর্ভাগ্য ঘূর্ণিঝড় মিথিলার আঘাতে ধান শুয়ে পড়ায় প্রচুর পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।

সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন রাজিব, খোন্তাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন বলেন, এবছর আমনের বাম্পার ফলন হয়েছিল কিন্তু ঘূর্ণিঝড় মিধিলা’র প্রভাবে বৃষ্টি ও বাতাসে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হওয়া সম্ভাবনা রয়েছে।

এছাড়া উপজেলার সাউথখালী আশার আলো মসজিদ সংলগ্ন এলাকায়, বগি, চালিতাবুনিয়া এলাকায় গাছ পড়ে কিছু ঘরের ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন তিনি চারটি ইউনিয়নের বিভিন্ন ধানক্ষেতের মাঠ পরিদর্শন করেছেন তার ধারণা এবছর আশাতীত ফসল হওয়া সম্ভাবনা ছিল।

কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কৃষকের আমন ধান, খেসারি ও সবজির ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, ঘুর্ণিঝড় মিধিলা’র প্রভাবে প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় আমনের ক্ষতি হয়েছে। তবে বাড়ি ঘর ও মাছের ঘেরের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি।