শুক্রবারের আগে গাজায় কার্যকর হচ্ছে না যুদ্ধবিরতি চুক্তি। স্থানীয় সময় বুধবার রাতে ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জাকি হানেগবি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে দেরি হওয়ার সুস্পষ্ট কোনো কারণ জানাননি তিনি। এদিকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর না হওয়ায় বন্ধ হচ্ছে না ইসরায়েলী হামলা। বুধবারও নিহত হয় শতাধিক ফিলিস্তিনি। গাজায় গেল সাত সপ্তাহ ধরে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান সংঘাতে বিরতি শুরুর কথা ছিল আজ বৃহস্পতিবার থেকেই। একদিন আগে বন্দি বিনিময়ের শর্তে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে একমত হয় হামাস ও ইসরায়েল। চুক্তি অনুমোদনও করে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা। তবে বুধবার গভীর রাতে ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জাকি হানেগবি এক বিবৃতিতে জানান, হামাস জিম্মিদের মুক্তি দিতে না পারায় শুক্রবারের আগে কার্যকর হচ্ছে না যুদ্ধবিরতি চুক্তি। এ নিয়ে এখনও হামাসের বক্তব্য জানা যায়নি। চুক্তি অনুযায়ী, চার দিনের যুদ্ধবিরতিতে ৫০ জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস, বিনিময়ে দেড়শ’ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের তথ্য বলছে, এরইমধ্যে মুক্তির জন্য কারাগারে বন্দি ৩শ’ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুর নাম প্রকাশ করেছে ইসরায়েল।
এদিকে চুক্তি কার্যকর না হওয়ায় গাজায় বন্ধ হয়নি ইসরায়েলী হামলা। বুধবার রাতেও জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা অব্যাহত রাখে ইসরায়েল। প্রাণ হারিয়েছে শতাধিক ফিলিস্তিনি। এরমধ্যে একটি পরিবারেই নিহত হয় অন্তত ৫০ জন।
এ নিয়ে গেল সাত সপ্তাহে গাজায় ইসরায়েলী হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪ হাজার ছাড়িয়েছে। এরমধ্যে শিশুর সংখ্যাই সাড়ে ৫ হাজারের বেশি।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক /দৈনিক দেশ নিউজ ডটকম 

























