শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইউরোপে সরকারি কর্মীদের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারে হিজাব

সরকারি কর্মচারীদের ধর্মীয় বিশ্বাস বোঝা যায় এমন পোশাক ইউরোপে নিষিদ্ধা করে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর সর্বোচ্চ আদালত এর রায়ে বলা হয়েছে, চাইলে সদস্য দেশগুলো তাদের সরকারি কর্মীদের ওপর এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এর ফলে সরকারি কর্মচারীদের জন্য হিজাব নিষিদ্ধ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

এই ইস্যুতে গত কয়েক বছর ধরে বিভক্ত রয়েছে ইউরোপ। মুসলিম নারীরা মাথা ও কাঁধ ঢেকে রাখতে সাধারণত ‘ইসলামিক হেড স্কার্ফ’, অর্থাৎ হিজাব ব্যবহার করেন। এটা পরার অধিকার নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে ইউরোপে ব্যাপক আলোচনা চলছে।

বেলজিয়ামের পূর্বাঞ্চলের পৌরসভা আন্সের এক কর্মীকে কর্মক্ষেত্রে হিজাব পরতে নিষেধ করে। পৌরসভাটি পরবর্তীতে কর্মীদের নীতিমালাতেও নিরপেক্ষতা বজায় রাখার স্বার্থে কোনো ধরনের ধর্মীয় বা আদর্শিক সঙ্কেত বহন করে এমন পোশাক পরা থেকে বিরত থাকার বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করে।

পরবর্তীতে ইইউর বিচার আদালতে মামলা করেন ওই নারী। নিজের ধর্মীয় স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হয়েছে বলে মনে করায় বিষয়টি আদালতে তুলেছেন বলে জানান তিনি।

বিচার আদালত জানিয়েছে, নিরপেক্ষতা প্রদর্শনের স্বার্থে নেয়া নীতিকে আইনিভাবে গ্রহণ করার সুযোগ রয়েছে। তবে, যদি কোনো কর্তৃপক্ষ সাধারণ এবং নির্বিচারভাবেবিশ্বাসের ইঙ্গিত মেলে এমন কিছু পরার অনুমতি দেয় সেটাও ন্যায়সঙ্গত হবে।

আদালত জানায়, ইইউ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর জনসেবা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার বিষয়টি নিশ্চিতে নিজেদের বিচক্ষণতা প্রয়োগের সুযোগ রয়েছে। তবে, সেটা সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং পদ্ধতিগত হতে হবে এবং এক্ষেত্রে কোনো পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষেত্রে সেটা আসলেই প্রয়োজন কিনা তা-ও বিবেচনায় আনতে হবে। আর এসব মানা হয়েছে কিনা তা যাচাইয়ের দায়িত্ব জাতীয় আদালতের বলেও জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সর্বোচ্চ আদালত।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ইউরোপে সরকারি কর্মীদের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারে হিজাব

প্রকাশিত সময় : ১০:৩৬:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩

সরকারি কর্মচারীদের ধর্মীয় বিশ্বাস বোঝা যায় এমন পোশাক ইউরোপে নিষিদ্ধা করে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর সর্বোচ্চ আদালত এর রায়ে বলা হয়েছে, চাইলে সদস্য দেশগুলো তাদের সরকারি কর্মীদের ওপর এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এর ফলে সরকারি কর্মচারীদের জন্য হিজাব নিষিদ্ধ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

এই ইস্যুতে গত কয়েক বছর ধরে বিভক্ত রয়েছে ইউরোপ। মুসলিম নারীরা মাথা ও কাঁধ ঢেকে রাখতে সাধারণত ‘ইসলামিক হেড স্কার্ফ’, অর্থাৎ হিজাব ব্যবহার করেন। এটা পরার অধিকার নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে ইউরোপে ব্যাপক আলোচনা চলছে।

বেলজিয়ামের পূর্বাঞ্চলের পৌরসভা আন্সের এক কর্মীকে কর্মক্ষেত্রে হিজাব পরতে নিষেধ করে। পৌরসভাটি পরবর্তীতে কর্মীদের নীতিমালাতেও নিরপেক্ষতা বজায় রাখার স্বার্থে কোনো ধরনের ধর্মীয় বা আদর্শিক সঙ্কেত বহন করে এমন পোশাক পরা থেকে বিরত থাকার বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করে।

পরবর্তীতে ইইউর বিচার আদালতে মামলা করেন ওই নারী। নিজের ধর্মীয় স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হয়েছে বলে মনে করায় বিষয়টি আদালতে তুলেছেন বলে জানান তিনি।

বিচার আদালত জানিয়েছে, নিরপেক্ষতা প্রদর্শনের স্বার্থে নেয়া নীতিকে আইনিভাবে গ্রহণ করার সুযোগ রয়েছে। তবে, যদি কোনো কর্তৃপক্ষ সাধারণ এবং নির্বিচারভাবেবিশ্বাসের ইঙ্গিত মেলে এমন কিছু পরার অনুমতি দেয় সেটাও ন্যায়সঙ্গত হবে।

আদালত জানায়, ইইউ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর জনসেবা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার বিষয়টি নিশ্চিতে নিজেদের বিচক্ষণতা প্রয়োগের সুযোগ রয়েছে। তবে, সেটা সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং পদ্ধতিগত হতে হবে এবং এক্ষেত্রে কোনো পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষেত্রে সেটা আসলেই প্রয়োজন কিনা তা-ও বিবেচনায় আনতে হবে। আর এসব মানা হয়েছে কিনা তা যাচাইয়ের দায়িত্ব জাতীয় আদালতের বলেও জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সর্বোচ্চ আদালত।