শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রেমের টানে এবার সাভারে সাইপ্রাসের তরুণী

প্রেমের টানে এবার বাংলাদেশি যুবককে বিয়ে করেছেন আন্থি তেলেবান্থু নামে সাইপ্রাসের এক তরুণী। গত ৩০ নভেম্বর শামীম আহমেদ নামে সাভারের এক যুবককে বিয়ে করেন তিনি। গতকাল শুক্রবার তাদের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এর আগে গত ৩০ নভেম্বর ঢাকা জজকোর্টে বিয়ে করেন আন্থি ও শামীম। তারও আগে গত ২৭ নভেম্বর আশুলিয়ায় শামীমের বাড়িতে আসেন আন্থি তেলেবান্থু।

জানা যায়, ২০১৫ সালে স্টুডেন্ট ভিসায় সাইপ্রাসে যান শামীম। সেখানে পড়ালেখার পাশাপাশি একটি প্রতিষ্ঠানে পার্টটাইম চাকরি নেন। একই প্রতিষ্ঠানে কাজের সুবাদে আন্থির সঙ্গে পরিচয় হয় শামীমের। এক সময় দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

শামীম আহমেদ বলেন, ‘সাইপ্রাসের লিমাসোল শহরে আন্থির বাসায় আমার আসা-যাওয়া ছিল। একপর্যায়ে ওর পরিবারের সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়। পরে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে আসলে আমি দেশে ফিরে আসি। তারপরও আন্থি ও আমার মধ্যে অনলাইনে যোগাযোগ হতো। আমার পরিবারের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলত। গত ২৭ নভেম্বর সে বাংলাদেশে চলে আসে। এরপর উভয় পরিবারের সম্মতিতে আমরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হই।’

সাইপ্রাসের তরুণী আন্থি তেলেবান্থু বলেন, ‘আমরা দুজন একসঙ্গে কাজ করেছি, তারপর বন্ধু হয়েছি। তাকে ব্যক্তিগতভাবে একজন ভালো মানুষ হিসেবে জানি। সে অসহায় মানুষদের সাহায্য করতে পছন্দ করে। এসব কারণে আস্তে আস্তে তার প্রেমে পড়ে যাই। আমার পরিবারও শামীমকে অনেক পছন্দ করে। তারাও আমাদের এই সম্পর্ককে মেনে নিয়েছে।’

শামীমের চাচা ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘বিদেশি মেয়ে হলেও ওর সঙ্গে আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক হয়ে গেছে। পুত্রবধূকে নিয়ে খুব আনন্দে আছি।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

প্রেমের টানে এবার সাভারে সাইপ্রাসের তরুণী

প্রকাশিত সময় : ১১:১৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৩

প্রেমের টানে এবার বাংলাদেশি যুবককে বিয়ে করেছেন আন্থি তেলেবান্থু নামে সাইপ্রাসের এক তরুণী। গত ৩০ নভেম্বর শামীম আহমেদ নামে সাভারের এক যুবককে বিয়ে করেন তিনি। গতকাল শুক্রবার তাদের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এর আগে গত ৩০ নভেম্বর ঢাকা জজকোর্টে বিয়ে করেন আন্থি ও শামীম। তারও আগে গত ২৭ নভেম্বর আশুলিয়ায় শামীমের বাড়িতে আসেন আন্থি তেলেবান্থু।

জানা যায়, ২০১৫ সালে স্টুডেন্ট ভিসায় সাইপ্রাসে যান শামীম। সেখানে পড়ালেখার পাশাপাশি একটি প্রতিষ্ঠানে পার্টটাইম চাকরি নেন। একই প্রতিষ্ঠানে কাজের সুবাদে আন্থির সঙ্গে পরিচয় হয় শামীমের। এক সময় দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

শামীম আহমেদ বলেন, ‘সাইপ্রাসের লিমাসোল শহরে আন্থির বাসায় আমার আসা-যাওয়া ছিল। একপর্যায়ে ওর পরিবারের সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়। পরে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে আসলে আমি দেশে ফিরে আসি। তারপরও আন্থি ও আমার মধ্যে অনলাইনে যোগাযোগ হতো। আমার পরিবারের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলত। গত ২৭ নভেম্বর সে বাংলাদেশে চলে আসে। এরপর উভয় পরিবারের সম্মতিতে আমরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হই।’

সাইপ্রাসের তরুণী আন্থি তেলেবান্থু বলেন, ‘আমরা দুজন একসঙ্গে কাজ করেছি, তারপর বন্ধু হয়েছি। তাকে ব্যক্তিগতভাবে একজন ভালো মানুষ হিসেবে জানি। সে অসহায় মানুষদের সাহায্য করতে পছন্দ করে। এসব কারণে আস্তে আস্তে তার প্রেমে পড়ে যাই। আমার পরিবারও শামীমকে অনেক পছন্দ করে। তারাও আমাদের এই সম্পর্ককে মেনে নিয়েছে।’

শামীমের চাচা ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘বিদেশি মেয়ে হলেও ওর সঙ্গে আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক হয়ে গেছে। পুত্রবধূকে নিয়ে খুব আনন্দে আছি।’