বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অবসরের ৩ বছর পর নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বৈধতা, রায় আজ

সরকারি চাকরি থেকে অবসরের তিন বছর আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) এমন বিধানের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলের ওপর রায় ঘোষণা করা হবে সোমবার (৪ ডিসেম্বর)।

রায়ের জন্য রিট আবেদনগুলো বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে সোমবারের কার্যতালিকার ৭ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে।

এর আগে চলতি বছর এ বিষয়ে পৃথক চারটি রিটে জারি করা রুলের ওপর গত ২৯ নভেম্বর শুনানি শেষে হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণা অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী তানিয়া আমীর, প্রবীর নিয়োগী ও মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ রাজা। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।

গত ৭ নভেম্বর এ রুলের ওপর শুনানি শুরু হয়।ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. শামীম কামাল, মো. আব্দুল মান্নান, আতাউর রহমান প্রধান ও রতন চন্দ্র পণ্ডিত নামে চার ব্যক্তি চলতি বছরে পৃথক রিট করেন। ওই রিটে জারি করা চারটি রুলের শুনানি একইসঙ্গে শুরু হয়।

রিটে আইন সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, স্থানীয় সরকার সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, জনপ্রশাসন সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।

নির্বাচনে সরকারি চাকরিজীবীদের অযোগ্যতার বিষয়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-১৯৭২ এর ১২ (১) (চ) ধারায় বলা হয়, প্রজাতন্ত্রের বা সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের বা প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগের কোনো চাকরি থেকে পদত্যাগ করেছেন বা অবসরে গেছেন এবং এ পদত্যাগ বা অবসরে যাওয়ার পর তিন বছর অতিবাহিত না হয়ে থাকে তাহলে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। তিন বছরের এমন বিধান বাতিল চান রিটকারীরা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

অবসরের ৩ বছর পর নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বৈধতা, রায় আজ

প্রকাশিত সময় : ১০:২৫:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৩

সরকারি চাকরি থেকে অবসরের তিন বছর আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) এমন বিধানের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলের ওপর রায় ঘোষণা করা হবে সোমবার (৪ ডিসেম্বর)।

রায়ের জন্য রিট আবেদনগুলো বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে সোমবারের কার্যতালিকার ৭ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে।

এর আগে চলতি বছর এ বিষয়ে পৃথক চারটি রিটে জারি করা রুলের ওপর গত ২৯ নভেম্বর শুনানি শেষে হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণা অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী তানিয়া আমীর, প্রবীর নিয়োগী ও মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ রাজা। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।

গত ৭ নভেম্বর এ রুলের ওপর শুনানি শুরু হয়।ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. শামীম কামাল, মো. আব্দুল মান্নান, আতাউর রহমান প্রধান ও রতন চন্দ্র পণ্ডিত নামে চার ব্যক্তি চলতি বছরে পৃথক রিট করেন। ওই রিটে জারি করা চারটি রুলের শুনানি একইসঙ্গে শুরু হয়।

রিটে আইন সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, স্থানীয় সরকার সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, জনপ্রশাসন সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।

নির্বাচনে সরকারি চাকরিজীবীদের অযোগ্যতার বিষয়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-১৯৭২ এর ১২ (১) (চ) ধারায় বলা হয়, প্রজাতন্ত্রের বা সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের বা প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগের কোনো চাকরি থেকে পদত্যাগ করেছেন বা অবসরে গেছেন এবং এ পদত্যাগ বা অবসরে যাওয়ার পর তিন বছর অতিবাহিত না হয়ে থাকে তাহলে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। তিন বছরের এমন বিধান বাতিল চান রিটকারীরা।