বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উত্তরাঞ্চলে শীতের দাপট, বিপাকে শ্রমজীবী মানুষ

উত্তরাঞ্চলে শীতের দাপট, বিপাকে শ্রমজীবী মানুষ

হঠাৎ করেই কনকনে শীত আর ঘন কুয়াশায় বিপাকে পড়েছে উত্তরাঞ্চলের শ্রমজীবী মানুষ। জেলাগুলোয় অনুভূত হচ্ছে হিম বাতাস।বিশেষ করে কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে। লোকালয়ে হানা দিচ্ছে ঘন কুয়াশা।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ সোমবার সারা দেশে তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে। এছাড়া সকালে রাজধানীসহ প্রায় সারাদেশ ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাওয়ার আভাসও রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের আগে তেমন শীত দেখা যায়নি উত্তরাঞ্চলসহ সারাদেশের অধিকাংশ জায়গায়। তবে মিগজাউমের ফলে হওয়া বৃষ্টি কেটে যাওয়ার পরেই শীত জেঁকে বসেছে এসব এলাকায়। হেমন্ত শেষ হবার আগেই শুরু হয়ে গেছে মাঘের শীত।

প্রচণ্ড শীতের সঙ্গে রয়েছে কুয়াশা। দিনের বেলা অনেকটা সময়ই জুড়েই আকাশ থাকছে মেঘাচ্ছন্ন। কমে এসেছে দিন ও রাতের তাপমাত্রা। হঠাৎ এমন আবহাওয়া পরিবর্তনে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দেখা দিচ্ছে ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন রোগবালাই। হাসাপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগির সংখ্যা। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু ও বয়স্করা।

উত্তরাঞ্চলের এসব এলাকায়, সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে কমতে থাকে তাপমাত্রা। ‘আমাদের কাছে পর্যাপ্ত খাবার মজুদ আছে। আমরা সর্বাত্মকভাবে শীতার্ত মানুষের পাছে আছি। সরকারের সবরকম প্রস্তুতি নেয়া আছে।’

এদিকে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকেই উত্তরাঞ্চলে শৈতপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। দুই-এক দিনের মধ্যেই আরও হ্রাস পেতে পারে রাতের তাপমাত্রাও।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

উত্তরাঞ্চলে শীতের দাপট, বিপাকে শ্রমজীবী মানুষ

প্রকাশিত সময় : ১১:০৮:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩

হঠাৎ করেই কনকনে শীত আর ঘন কুয়াশায় বিপাকে পড়েছে উত্তরাঞ্চলের শ্রমজীবী মানুষ। জেলাগুলোয় অনুভূত হচ্ছে হিম বাতাস।বিশেষ করে কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে। লোকালয়ে হানা দিচ্ছে ঘন কুয়াশা।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ সোমবার সারা দেশে তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে। এছাড়া সকালে রাজধানীসহ প্রায় সারাদেশ ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাওয়ার আভাসও রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের আগে তেমন শীত দেখা যায়নি উত্তরাঞ্চলসহ সারাদেশের অধিকাংশ জায়গায়। তবে মিগজাউমের ফলে হওয়া বৃষ্টি কেটে যাওয়ার পরেই শীত জেঁকে বসেছে এসব এলাকায়। হেমন্ত শেষ হবার আগেই শুরু হয়ে গেছে মাঘের শীত।

প্রচণ্ড শীতের সঙ্গে রয়েছে কুয়াশা। দিনের বেলা অনেকটা সময়ই জুড়েই আকাশ থাকছে মেঘাচ্ছন্ন। কমে এসেছে দিন ও রাতের তাপমাত্রা। হঠাৎ এমন আবহাওয়া পরিবর্তনে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দেখা দিচ্ছে ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন রোগবালাই। হাসাপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগির সংখ্যা। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু ও বয়স্করা।

উত্তরাঞ্চলের এসব এলাকায়, সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে কমতে থাকে তাপমাত্রা। ‘আমাদের কাছে পর্যাপ্ত খাবার মজুদ আছে। আমরা সর্বাত্মকভাবে শীতার্ত মানুষের পাছে আছি। সরকারের সবরকম প্রস্তুতি নেয়া আছে।’

এদিকে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকেই উত্তরাঞ্চলে শৈতপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। দুই-এক দিনের মধ্যেই আরও হ্রাস পেতে পারে রাতের তাপমাত্রাও।