বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ে ১০.৩ ডিগ্রি

আজ সারা দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ে ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে বেড়েছে ঠান্ডার প্রকোপ।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলার তেঁতুলিয়ায় রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে একই দিন ভোর সকাল ৬টায় রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এতে কুয়াশার পরিমাণ কম থাকলেও ঠান্ডার কারণে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জনজীবন। দুর্ভোগে পড়ছে নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ। সময় মতো অনেকেই বাড়ি থেকে বের হলেও কাজের উদ্দেশ্যে যেতে দেখা যায়নি। একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে মানুষের উপস্থিতি কম লক্ষ্য করা গেছে।

 

পঞ্চগড়ের ধাক্কামারা এলাকার বৃদ্ধ বাবুল হোসেন বলেন, ঠান্ডার কারণে আমাদের খুব সমস্যা হচ্ছে। আগুন ছাড়া থাকা যায় না, বয়স হলেও এই ঠান্ডায় পেটের জন্য বাড়ি থেকে বের হতে হয়েছে। গরম কাপড় না থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।আনিছুর রহমান  বলেন, সকাল থেকে বেলা বাড়া পর্যন্ত মানুষের উপস্থিতি অনেক কম দেখা যায়।

পান দোকান ব্যবসায়ী আইবুল হক বলেন, গত দুদিন ধরে কুয়াশা কম থাকলেও মানুষের উপস্থিতি একেবারে নেই। এতে বেচা বিক্রি অনেক কমে গেছে।

তেঁতুলিয়া আবহওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, গত মঙ্গলবার তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ১১ দশিক ৮ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়। বুধবার ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি হলেও আজ বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা কমে সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। পর্যায় ক্রমে তাপমাত্রা কমে শীতের তীব্রতা আগামীতে আরও বাড়বে।

পঞ্চগড়ে সকালে রোদ উঠলেও বেড়েছে শীতের দাপট। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় এই এলাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোর ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এটি।

তাপমাত্রার পারদ কমে আসায় অনুভূত হচ্ছে হাড়কাঁপানো কনকনে শীত। সকালে আবহাওয়ার এ তথ্যটি জানিয়েছেন প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।

বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, ভোরে হালকা কুয়াশা ভেদ করে জেগে উঠেছে সূর্য। সূর্যের কিরণ ছড়ালেও রাত থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত অনুভূত হচ্ছে বরফগলা শীত। গ্রামীণ জনপদে নিম্নআয়ের মানুষরা শীত নিবারণ করছে খড়কুটো জ্বালিয়ে। জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই সকাল সাড়ে ৭টা থেকে কাজে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় এ অঞ্চলে পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, দিনমজুর থেকে নিম্ন আয়ের বিভিন্নপেশাজীবী মানুষদের।

বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, ভোরে হালকা কুয়াশা ভেদ করে জেগে উঠেছে সূর্য। সূর্যের কিরণ ছড়ালেও রাত থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত অনুভূত হচ্ছে বরফগলা শীত। গ্রামীণ জনপদে নিম্নআয়ের মানুষরা শীত নিবারণ করছে খড়কুটো জ্বালিয়ে। জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই সকাল সাড়ে ৭টা থেকে কাজে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় এ অঞ্চলে পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, দিনমজুর থেকে নিম্ন আয়ের বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষদের।

গ্রামীণ নারীরা বলছেন, কুয়াশা না থাকলেও খুব ঠান্ডা পড়ছে। ঘরের মেঝে থেকে শুরু করে আসবাপত্র ও বিছানা পর্যন্ত বরফ হয়ে ওঠে। সকালে গৃহস্থালীর কাজ করতে গিয়ে কনকনে ঠান্ডায় হাত-পা অবশ হয়ে আসে।

চা শ্রমিক ও পাথর শ্রমিকরা বলেন, কুয়াশা নেই। তবে কনকনে শীত। ভোরে প্রচণ্ড হিমশীতের মধ্যেই আমরা চা বাগানে পাতা তুলি। এসে হাত-পা অবশ হয়ে আসে। কিন্তু কী করব, জীবিকার তাগিদে কাজ করতে হচ্ছে। একই কথা বলেন নদীতে পাথর তুলতে যাওয়া শ্রমিকদের।

এদিকে শীতের কারণে বাড়তে শুরু করে বিভিন্ন শীতজনিত রোগ ব্যাধি। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগী বাড়তে শুরু করেছে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ বলেন, গতদিনের থেকে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে এসেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি পঞ্চগড়ের মৌসুমের সর্বনিম্ন। বিশেষ করে এ অঞ্চলটি হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতের নিকটস্থ হওয়ায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। সামনে তাপমাত্রা আরও কমে আসবে বলে তিনি জানান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ে ১০.৩ ডিগ্রি

প্রকাশিত সময় : ০৩:৩২:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩

আজ সারা দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ে ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে বেড়েছে ঠান্ডার প্রকোপ।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলার তেঁতুলিয়ায় রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে একই দিন ভোর সকাল ৬টায় রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এতে কুয়াশার পরিমাণ কম থাকলেও ঠান্ডার কারণে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জনজীবন। দুর্ভোগে পড়ছে নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ। সময় মতো অনেকেই বাড়ি থেকে বের হলেও কাজের উদ্দেশ্যে যেতে দেখা যায়নি। একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে মানুষের উপস্থিতি কম লক্ষ্য করা গেছে।

 

পঞ্চগড়ের ধাক্কামারা এলাকার বৃদ্ধ বাবুল হোসেন বলেন, ঠান্ডার কারণে আমাদের খুব সমস্যা হচ্ছে। আগুন ছাড়া থাকা যায় না, বয়স হলেও এই ঠান্ডায় পেটের জন্য বাড়ি থেকে বের হতে হয়েছে। গরম কাপড় না থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।আনিছুর রহমান  বলেন, সকাল থেকে বেলা বাড়া পর্যন্ত মানুষের উপস্থিতি অনেক কম দেখা যায়।

পান দোকান ব্যবসায়ী আইবুল হক বলেন, গত দুদিন ধরে কুয়াশা কম থাকলেও মানুষের উপস্থিতি একেবারে নেই। এতে বেচা বিক্রি অনেক কমে গেছে।

তেঁতুলিয়া আবহওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, গত মঙ্গলবার তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ১১ দশিক ৮ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়। বুধবার ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি হলেও আজ বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা কমে সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। পর্যায় ক্রমে তাপমাত্রা কমে শীতের তীব্রতা আগামীতে আরও বাড়বে।

পঞ্চগড়ে সকালে রোদ উঠলেও বেড়েছে শীতের দাপট। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় এই এলাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোর ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এটি।

তাপমাত্রার পারদ কমে আসায় অনুভূত হচ্ছে হাড়কাঁপানো কনকনে শীত। সকালে আবহাওয়ার এ তথ্যটি জানিয়েছেন প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।

বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, ভোরে হালকা কুয়াশা ভেদ করে জেগে উঠেছে সূর্য। সূর্যের কিরণ ছড়ালেও রাত থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত অনুভূত হচ্ছে বরফগলা শীত। গ্রামীণ জনপদে নিম্নআয়ের মানুষরা শীত নিবারণ করছে খড়কুটো জ্বালিয়ে। জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই সকাল সাড়ে ৭টা থেকে কাজে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় এ অঞ্চলে পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, দিনমজুর থেকে নিম্ন আয়ের বিভিন্নপেশাজীবী মানুষদের।

বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, ভোরে হালকা কুয়াশা ভেদ করে জেগে উঠেছে সূর্য। সূর্যের কিরণ ছড়ালেও রাত থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত অনুভূত হচ্ছে বরফগলা শীত। গ্রামীণ জনপদে নিম্নআয়ের মানুষরা শীত নিবারণ করছে খড়কুটো জ্বালিয়ে। জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই সকাল সাড়ে ৭টা থেকে কাজে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় এ অঞ্চলে পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, দিনমজুর থেকে নিম্ন আয়ের বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষদের।

গ্রামীণ নারীরা বলছেন, কুয়াশা না থাকলেও খুব ঠান্ডা পড়ছে। ঘরের মেঝে থেকে শুরু করে আসবাপত্র ও বিছানা পর্যন্ত বরফ হয়ে ওঠে। সকালে গৃহস্থালীর কাজ করতে গিয়ে কনকনে ঠান্ডায় হাত-পা অবশ হয়ে আসে।

চা শ্রমিক ও পাথর শ্রমিকরা বলেন, কুয়াশা নেই। তবে কনকনে শীত। ভোরে প্রচণ্ড হিমশীতের মধ্যেই আমরা চা বাগানে পাতা তুলি। এসে হাত-পা অবশ হয়ে আসে। কিন্তু কী করব, জীবিকার তাগিদে কাজ করতে হচ্ছে। একই কথা বলেন নদীতে পাথর তুলতে যাওয়া শ্রমিকদের।

এদিকে শীতের কারণে বাড়তে শুরু করে বিভিন্ন শীতজনিত রোগ ব্যাধি। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগী বাড়তে শুরু করেছে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ বলেন, গতদিনের থেকে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে এসেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি পঞ্চগড়ের মৌসুমের সর্বনিম্ন। বিশেষ করে এ অঞ্চলটি হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতের নিকটস্থ হওয়ায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। সামনে তাপমাত্রা আরও কমে আসবে বলে তিনি জানান।