শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বন্দিবিনিময়ের নতুন প্রস্তাব ইসরায়েলের

হামাসের সঙ্গে বন্দিবিনিময়ের নতুন প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েলের। আজ বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে মধ্যস্থতাকারী কাতারের কাছে এই প্রস্তাব পাঠিয়েছে তারা। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলা চালায় মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এতে ১৪০০ ইসরায়েলি নাগরিক প্রাণ হারায়। জবাবে গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। বিমান হামলা ও স্থল অভিযানে ১৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ২৫ হাজারেরও বেশি। হতাহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। সামরিক হতাহত এড়াতে বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হচ্ছিল।

২২ নভেম্বর মধ্যস্থতাকারী কাতার জানায়, বেশ কিছু শর্ত মেনে দুই পক্ষ রাজি হয়। দুই দফায় বাড়া সেই যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর থেকেই গাজায় হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলের পক্ষ থেকে প্রস্তাবে বলা হয়, গাজা উপত্যকার ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেবে তারা। এরপর সেখানে ত্রাণ সরবরাহের পথ সুগম করে দেবে তারা।এরপর ইসরায়েল জানায়, বন্দি বিনিময়ের আওতায় হামাসকে ইসরায়েলের নারী মুক্তি দিতে হবে। এমনকি তাদের হাতে থাকা ইসরায়েলি নারী সেনা ও বন্দিদের মরদেহ ফেরত দিতে হবে। এসব শর্ত মানলে ইসরায়েল এসব এলাকা থেকে সেনাদের সরিয়ে নেবে।

তবে হামাস এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে বলে জানা গেছে। তাদের দাবি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ছাড়া তারা কোনো প্রস্তাব গ্রহণ করবে না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

বন্দিবিনিময়ের নতুন প্রস্তাব ইসরায়েলের

প্রকাশিত সময় : ০৪:১৫:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩

হামাসের সঙ্গে বন্দিবিনিময়ের নতুন প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েলের। আজ বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে মধ্যস্থতাকারী কাতারের কাছে এই প্রস্তাব পাঠিয়েছে তারা। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলা চালায় মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এতে ১৪০০ ইসরায়েলি নাগরিক প্রাণ হারায়। জবাবে গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। বিমান হামলা ও স্থল অভিযানে ১৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ২৫ হাজারেরও বেশি। হতাহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। সামরিক হতাহত এড়াতে বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হচ্ছিল।

২২ নভেম্বর মধ্যস্থতাকারী কাতার জানায়, বেশ কিছু শর্ত মেনে দুই পক্ষ রাজি হয়। দুই দফায় বাড়া সেই যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর থেকেই গাজায় হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলের পক্ষ থেকে প্রস্তাবে বলা হয়, গাজা উপত্যকার ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেবে তারা। এরপর সেখানে ত্রাণ সরবরাহের পথ সুগম করে দেবে তারা।এরপর ইসরায়েল জানায়, বন্দি বিনিময়ের আওতায় হামাসকে ইসরায়েলের নারী মুক্তি দিতে হবে। এমনকি তাদের হাতে থাকা ইসরায়েলি নারী সেনা ও বন্দিদের মরদেহ ফেরত দিতে হবে। এসব শর্ত মানলে ইসরায়েল এসব এলাকা থেকে সেনাদের সরিয়ে নেবে।

তবে হামাস এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে বলে জানা গেছে। তাদের দাবি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ছাড়া তারা কোনো প্রস্তাব গ্রহণ করবে না।