বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীতে হিমেল হাওয়ায় জবুথবু জনজীবন

রাজশাহীতে গত কয়েকদিন থেকে বইছে হিমেল হাওয়া। তাষে আছে ঘন কুয়াশাও। ফলে কনকনে শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে এই জনপদেও জনজীবন। ঘন কুয়াশায় জেলার সড়ক পথে চলাচল ব্যবস্থাও ব্যাহত হচ্ছে। ফলে দিনের বেলাও সড়ক পথে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহনগুলো। বুধবার রাজশাহীতে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায়।

এর আগে রাজশাহীতে গত ১৭ ডিসেম্বর তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলিসিয়াস। এরপর থেকে তাপমাত্রা আর নামেনি। রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন জানান, বুধবার ভোর পাঁচটায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর সর্বোচ্চ ছিল ২০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর সর্বোচ্চ ছিল। রোববার তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিসের হিসেবে, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নামলে তা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।

এ ছাড়া ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচের তাপমাত্রাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। সে অনুযায়ী রাজশাহীতে শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তবে এখন শৈত্যপ্রবাহ বলছে না আবহাওয়া অফিস। এই তাপমাত্রা ১০ এর নিচে নামলে তারা শৈত্যপ্রবাহ ধরবে। এরকম আবহাওয়া আরও এক সপ্তাহ থাকবে বলে জানিয়েছেন পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন।

তিনি বলেন, সোমবার ১০টার পরে সূর্যের দেখা মিলেছে। মঙ্গলবার সাড়ে ১২টার দিকে সূর্য দেখা গেছে। বুধবার সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলেনি। বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা কিছু কমবে বলে জানান তিনি। এই হিমেল বাতাসে রাজশাহীতে বেশ শীত অনুভূত হচ্ছে। ছিন্নমূল নিম্নআয়ের মানুষ রাস্তার পাশে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। বুধবার সূর্যের দেখা মিললেও উষ্ণতা না থাকায় নগরীর মানুষের চলাচলও কিছুটা কমে আসে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

রাজশাহীতে হিমেল হাওয়ায় জবুথবু জনজীবন

প্রকাশিত সময় : ১১:৩৫:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৪

রাজশাহীতে গত কয়েকদিন থেকে বইছে হিমেল হাওয়া। তাষে আছে ঘন কুয়াশাও। ফলে কনকনে শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে এই জনপদেও জনজীবন। ঘন কুয়াশায় জেলার সড়ক পথে চলাচল ব্যবস্থাও ব্যাহত হচ্ছে। ফলে দিনের বেলাও সড়ক পথে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহনগুলো। বুধবার রাজশাহীতে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায়।

এর আগে রাজশাহীতে গত ১৭ ডিসেম্বর তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলিসিয়াস। এরপর থেকে তাপমাত্রা আর নামেনি। রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন জানান, বুধবার ভোর পাঁচটায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর সর্বোচ্চ ছিল ২০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর সর্বোচ্চ ছিল। রোববার তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিসের হিসেবে, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নামলে তা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।

এ ছাড়া ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচের তাপমাত্রাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। সে অনুযায়ী রাজশাহীতে শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তবে এখন শৈত্যপ্রবাহ বলছে না আবহাওয়া অফিস। এই তাপমাত্রা ১০ এর নিচে নামলে তারা শৈত্যপ্রবাহ ধরবে। এরকম আবহাওয়া আরও এক সপ্তাহ থাকবে বলে জানিয়েছেন পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন।

তিনি বলেন, সোমবার ১০টার পরে সূর্যের দেখা মিলেছে। মঙ্গলবার সাড়ে ১২টার দিকে সূর্য দেখা গেছে। বুধবার সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলেনি। বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা কিছু কমবে বলে জানান তিনি। এই হিমেল বাতাসে রাজশাহীতে বেশ শীত অনুভূত হচ্ছে। ছিন্নমূল নিম্নআয়ের মানুষ রাস্তার পাশে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। বুধবার সূর্যের দেখা মিললেও উষ্ণতা না থাকায় নগরীর মানুষের চলাচলও কিছুটা কমে আসে।