শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ড. ইউনূসের কারাদণ্ডের ইস্যুতে যা জানালো যুক্তরাষ্ট্র

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তার কারাদণ্ডের বিষয়টি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে বলা হয়, ড. ইউনূস বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। এছাড়া বাংলাদেশ সরকারকে ন্যায্য ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি এই সংক্রান্ত পরবর্তী ঘটনাগুলোও ঘনিষ্ঠভাবে নজরে রাখার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

স্থানীয় সময় বুধবার (৩ জানুয়ারি) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

এদিনের ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক বলেন, শান্তিতে নোবেল বিজয়ী এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম প্রাপ্ত ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে নববর্ষের প্রথম দিনে বাংলাদেশের শ্রম আদালত যে কারাদণ্ড দিয়েছে সে বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া জানতে চাচ্ছি। বাংলাদেশে আইনের শাসন এবং বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতা- এই দুই ক্ষেত্রে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ যে পর্যায়ে এসে ঠেকেছে সে বিষয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের উপলব্ধি কী? বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে এবং অসংখ্য বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী, গণমাধ্যম এবং মানবাধিকার কর্মীরা একই ধরনের মামলায় অনেকটা একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন, ক্ষেত্র বিশেষে অনেকের ক্ষেত্রে সেই দুর্দশার মাত্রাটা আরও খারাপ।

উত্তরে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তার এই অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কারসহ মর্যাদাপূর্ণ অসংখ্য আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। আমরা তার বিরুদ্ধে মামলাটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি। আমরা অবশ্যই রায়ের পর ব্যাপক আন্তর্জাতিক সমালোচনাও দেখেছি। আমাদের পক্ষ থেকে আমরা বাংলাদেশ সরকারকে একটি ন্যায্য ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য উৎসাহিত করেছি এবং এই বিষয়ে পরবর্তী যেকোনও ঘটনা আমরা ঘনিষ্ঠভাবে নজরে রাখব।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ড. ইউনূসের কারাদণ্ডের ইস্যুতে যা জানালো যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত সময় : ১০:৫৪:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৪

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তার কারাদণ্ডের বিষয়টি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে বলা হয়, ড. ইউনূস বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। এছাড়া বাংলাদেশ সরকারকে ন্যায্য ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি এই সংক্রান্ত পরবর্তী ঘটনাগুলোও ঘনিষ্ঠভাবে নজরে রাখার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

স্থানীয় সময় বুধবার (৩ জানুয়ারি) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

এদিনের ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক বলেন, শান্তিতে নোবেল বিজয়ী এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম প্রাপ্ত ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে নববর্ষের প্রথম দিনে বাংলাদেশের শ্রম আদালত যে কারাদণ্ড দিয়েছে সে বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া জানতে চাচ্ছি। বাংলাদেশে আইনের শাসন এবং বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতা- এই দুই ক্ষেত্রে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ যে পর্যায়ে এসে ঠেকেছে সে বিষয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের উপলব্ধি কী? বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে এবং অসংখ্য বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী, গণমাধ্যম এবং মানবাধিকার কর্মীরা একই ধরনের মামলায় অনেকটা একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন, ক্ষেত্র বিশেষে অনেকের ক্ষেত্রে সেই দুর্দশার মাত্রাটা আরও খারাপ।

উত্তরে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তার এই অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কারসহ মর্যাদাপূর্ণ অসংখ্য আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। আমরা তার বিরুদ্ধে মামলাটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি। আমরা অবশ্যই রায়ের পর ব্যাপক আন্তর্জাতিক সমালোচনাও দেখেছি। আমাদের পক্ষ থেকে আমরা বাংলাদেশ সরকারকে একটি ন্যায্য ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য উৎসাহিত করেছি এবং এই বিষয়ে পরবর্তী যেকোনও ঘটনা আমরা ঘনিষ্ঠভাবে নজরে রাখব।