বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ওয়ার্কশপে হাত হারানো শিশুকে ৩০ লাখ টাকা দেওয়ার নির্দেশ

ওয়ার্কশপে কাজ করতে গিয়ে হাত বিচ্ছিন্ন হওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার ১৩ বছর বয়সী শিশু নাঈম হাসানকে ৩০ লাখ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ সংক্রান্ত বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে এ আদেশ দেন।

এদিন আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও অ্যাডভোকেট মো. বাকির উদ্দিন ভূঁইয়া। ওয়ার্কশপ মালিকের পক্ষে ছিলেন সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।

ব্যারিস্টার অনিক আর হক সাংবাদিকদের জানান, শিশু নাঈম হাসানকে চলতি বছরের এপ্রিল মাসের মধ্যে ওয়ার্কশপের মালিককে ১৫ লাখ টাকা এবং ডিসেম্বর মাসের মধ্যে আরও ১৫ লাখ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করে দিতে বলেছেন আদালত। নাঈম হাসান ১০ বছর পর ডিপোজিটের টাকা উত্তোলন করতে পারবে। একই সঙ্গে শিশুটি এইচএসসি পাস না করা পর্যন্ত তাকে প্রতি মাসে ৭ হাজার টাকা করে দিতে বলেছেন হাইকোর্ট। কিশোরগঞ্জের ভৈরবের নূর ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিক ইকবালকে এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জের ভৈরব শহরের কমলপুর এলাকার নুর ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপে কাজ করার সময় শিশু নাঈমের ডান হাত মেশিনে ঢুকে যায়। এরপর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার হাত কনুই থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ওয়ার্কশপে হাত হারানো শিশুকে ৩০ লাখ টাকা দেওয়ার নির্দেশ

প্রকাশিত সময় : ০৬:১৬:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৪

ওয়ার্কশপে কাজ করতে গিয়ে হাত বিচ্ছিন্ন হওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার ১৩ বছর বয়সী শিশু নাঈম হাসানকে ৩০ লাখ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ সংক্রান্ত বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে এ আদেশ দেন।

এদিন আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও অ্যাডভোকেট মো. বাকির উদ্দিন ভূঁইয়া। ওয়ার্কশপ মালিকের পক্ষে ছিলেন সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।

ব্যারিস্টার অনিক আর হক সাংবাদিকদের জানান, শিশু নাঈম হাসানকে চলতি বছরের এপ্রিল মাসের মধ্যে ওয়ার্কশপের মালিককে ১৫ লাখ টাকা এবং ডিসেম্বর মাসের মধ্যে আরও ১৫ লাখ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করে দিতে বলেছেন আদালত। নাঈম হাসান ১০ বছর পর ডিপোজিটের টাকা উত্তোলন করতে পারবে। একই সঙ্গে শিশুটি এইচএসসি পাস না করা পর্যন্ত তাকে প্রতি মাসে ৭ হাজার টাকা করে দিতে বলেছেন হাইকোর্ট। কিশোরগঞ্জের ভৈরবের নূর ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিক ইকবালকে এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জের ভৈরব শহরের কমলপুর এলাকার নুর ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপে কাজ করার সময় শিশু নাঈমের ডান হাত মেশিনে ঢুকে যায়। এরপর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার হাত কনুই থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়।