ভারতের উত্তরাখণ্ডে লিভ টুগেদার সম্পর্ককে আইনি বৈধতা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য ‘ইউনিফরর্ম সিভিল কোড’ বা ইউসিসি নামে একটি বিল মঙ্গলবার সকালে রাজ্যটির বিধানসভায় তোলা হয়।
লিভ টুগেদার সম্পর্কে জন্ম নেওয়া শিশুদের আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার কথাও বলা হয় ওই বিলে। তবে বিলটি আইনে পরিণত হয়ে যাওয়ার পর যারা লিভ টুগেদার করছেন বা এমন সম্পর্কে প্রবেশের পরিকল্পনা করছেন তাদের জেলা কর্মকর্তাদের কাছে নিবন্ধিত হতে হবে।
তবে ২১ বছরের কম বয়সী কেউ লিভ টুগেদার করতে চাইলে সেক্ষেত্রে তাদের পিতামাতার সম্মতি থাকতে হবে। যদি উত্তরাখণ্ডের কোনো বাসিন্দা রাজ্যের বাইরে লিভ টুগেটার করেন তাহলে তাদের ক্ষেত্রেও এই আইনে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক হবে।
আজ সব সর্বভারতীয় গণমাধ্যম এ খবর দেয়। তবে শর্ত অনুযায়ী- পার্টনারদের মধ্যে একজন বিবাহিত হলৈ বা অন্য সম্পর্কে জড়িত থাকলে, একজন পার্টনারের বয়স কম হলে, একজন পার্টনার প্রতারণা করলে অথবা ভুলভাবে নিজেকে উপস্থাপন করলে সে ক্ষেত্রে সরকারি নীতি ও নৈতিকতায় লিভ টুগেদার নিবন্ধিত করা যাবে না।
একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, লিভ টুগেদার সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে একটি ওয়েবসাইট প্রস্তুত করা হচ্ছে। এটি জেলা রেজিস্ট্রারের সঙ্গে ভেরিফাই করা হবে। ওই জেলা রেজিস্ট্রার লিভ টুগেদার সম্পর্কের বৈধতা তদন্তের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন। তিনি চাইলে এ সম্পর্কে যুক্ত থাকা যেকোনো পার্টনারকে বা উভয়কেই তলব করতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, যদি নিবন্ধন প্রত্যাখ্যান করা হয় তাহলে রেজিস্ট্রারকে লিখিতভাবে তাদের কারণ জানাতে হবে। লিভ টুগেদার সম্পর্কের ইতি ঘটাতে হলেও একটি লিখিত বক্তব্য দিতে হবে। যদি পুলিশ মনে করে এই সম্পর্কের ইতি ঘটানো হচ্ছে ভুলভাবে বা সন্দেহজনকভাবে তাহলে তারা এ বিষয়ে তদন্ত করতে পারবে। ২১ বছর বয়সের কম পার্টনার লিভ টুগেদারে লিপ্ত থাকলে এবং তারা আলাদা হয়ে যেতে চাইলে তাদের পিতামাতাকে বা অভিভাবকদের জানানো হবে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, লিভ টুগেদার সম্পর্ক ঘোষণা দিতে বা ভুল তথ্য দিলে এবং তা ধরা পড়লে তিন মাসের জেল, ২৫ হাজার রুপি জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হতে পারে। নিবন্ধন ছাড়া কোনো পার্টনার লিভ টুগেদার করলে তাদের ৬ মাসের জেল, ২৫ হাজার রুপি জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হতে পারে। এমনকি এক মাসের কম নিবন্ধনে বিলম্ব হলে সংশ্লিষ্ট যুগলকে তিন মাসের জেল, ১০ হাজার রুপি জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হতে পারে।
তিনি আরও বলেছেন, এসব সম্পর্কের মাধ্যমে যেসব শিশু জন্ম নেবে তাদেরও সমান অধিকার থাকবে। তাদের অবৈধ বলে বর্ণনা করা যাবে না। তাদেরও থাকবে সমান উত্তরাধিকার অধিকার। এক্ষেত্রে ছেলে বা মেয়েকে আলাদা করা হয়নি। যদি কোনো নারীকে তার লিভ টুগেদার পার্টনার ফেলে যান, তাহলে তাকে এই আইনের অধীনে ভরণপোষণ দেওয়ার দাবি করতে পারবেন।

রিপোর্টারের নাম 
























