বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘বিজিবি সর্বোচ্চ ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি মোকাবেলার চেষ্টা করছে’

বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাতে সীমান্তে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এতে বিজিবি সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণ করে মানবিক ও আন্তর্জাতিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করে যাচ্ছে।আজ বুধবার ঘুমধুম সীমান্ত পরিদর্শনকালে গণমাধ্যমকর্মীরদের বিজিবির মহাপরিচালক এ কথা বলেন।

বিজিবি মহাপরিচালক বুধবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত এলাকা ও আশেপাশের বিজিবি ফাঁড়ি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে বিজিবি মহাপরিচালক সীমান্তে বিজিবি সদস্যদের খোঁজ-খবর নেন এবং তাদের সঙ্গে কথা বলেন।

এ সময় তিনি দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবাইকে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সীমান্তে উদ্ভূত যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৎপর থাকার নির্দেশ দেন।

পরিদর্শনকালে বিজিবি মহাপরিচালক মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি), সেনাবাহিনী, ইমিগ্রেশন সদস্য, পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার সকল সদস্যদের খোঁজ খবর নেন এবং আহত অবস্থায় চিকিৎসারত বিজিপি সদস্যদের দেখতে যান।

পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বিজিবির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মেনে ধৈর্য ধারণ করে, মানবিক থেকে এবং আন্তর্জাতিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, অবৈধভাবে আর একজনকেও বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয়রতদের বিষয়ে বিজিবি প্রধান বলেন, তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এ ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় মিয়ানমারের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে যাচ্ছে। যারা আশ্রয় নিয়েছেন তাদের সাথে আলাপ করেছি। তারাও দ্রুত ফেরত যেতে আগ্রহী।

সীমান্তে সংঘর্ষের জের ধরে বিচ্ছিন্নভাবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গুলি ও মর্টার শেল এসে পড়ার বিষয়টি উল্লেখ করে- মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, সংঘর্ষে গোলাগুলির ঘটনায় সীমান্ত অতিক্রম করে গুলি ও মর্টার শেল আসা এবং হতাহতের বিষয়টি প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ও মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে প্রতিবাদ জানিয়েছে। আমরা চাই, এপারে যাতে গুলি এসে পড়া শূণ্যের কোটায় এসে পৌঁছায়।

পরিস্থিতি সার্বিক নজরদারি, স্থানীয় প্রশাসনসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলকে অবহিত করা হচ্ছে মন্তব্য করে- বিজিবি প্রধান বলেন, বিজিবি সর্বোচ্চ সজাগ ও ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি মোকাবেলা করে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে সীমান্তে বসবাসকারীদেরও সর্তক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

‘বিজিবি সর্বোচ্চ ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি মোকাবেলার চেষ্টা করছে’

প্রকাশিত সময় : ০৬:২৮:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাতে সীমান্তে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এতে বিজিবি সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণ করে মানবিক ও আন্তর্জাতিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করে যাচ্ছে।আজ বুধবার ঘুমধুম সীমান্ত পরিদর্শনকালে গণমাধ্যমকর্মীরদের বিজিবির মহাপরিচালক এ কথা বলেন।

বিজিবি মহাপরিচালক বুধবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত এলাকা ও আশেপাশের বিজিবি ফাঁড়ি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে বিজিবি মহাপরিচালক সীমান্তে বিজিবি সদস্যদের খোঁজ-খবর নেন এবং তাদের সঙ্গে কথা বলেন।

এ সময় তিনি দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবাইকে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সীমান্তে উদ্ভূত যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৎপর থাকার নির্দেশ দেন।

পরিদর্শনকালে বিজিবি মহাপরিচালক মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি), সেনাবাহিনী, ইমিগ্রেশন সদস্য, পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার সকল সদস্যদের খোঁজ খবর নেন এবং আহত অবস্থায় চিকিৎসারত বিজিপি সদস্যদের দেখতে যান।

পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বিজিবির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মেনে ধৈর্য ধারণ করে, মানবিক থেকে এবং আন্তর্জাতিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, অবৈধভাবে আর একজনকেও বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয়রতদের বিষয়ে বিজিবি প্রধান বলেন, তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এ ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় মিয়ানমারের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে যাচ্ছে। যারা আশ্রয় নিয়েছেন তাদের সাথে আলাপ করেছি। তারাও দ্রুত ফেরত যেতে আগ্রহী।

সীমান্তে সংঘর্ষের জের ধরে বিচ্ছিন্নভাবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গুলি ও মর্টার শেল এসে পড়ার বিষয়টি উল্লেখ করে- মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, সংঘর্ষে গোলাগুলির ঘটনায় সীমান্ত অতিক্রম করে গুলি ও মর্টার শেল আসা এবং হতাহতের বিষয়টি প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ও মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে প্রতিবাদ জানিয়েছে। আমরা চাই, এপারে যাতে গুলি এসে পড়া শূণ্যের কোটায় এসে পৌঁছায়।

পরিস্থিতি সার্বিক নজরদারি, স্থানীয় প্রশাসনসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলকে অবহিত করা হচ্ছে মন্তব্য করে- বিজিবি প্রধান বলেন, বিজিবি সর্বোচ্চ সজাগ ও ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি মোকাবেলা করে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে সীমান্তে বসবাসকারীদেরও সর্তক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।