শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানে ভোটগ্রহণ শুরু, সারাদেশে মোবাইল পরিষেবা বন্ধ

পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল ৮টা (বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টা) থেকে এই ভোটগ্রহণ শুরু হয় এবং একটানা তা চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

এদিকে ভোটগ্রহণ উপলক্ষ্যে পাকিস্তানজুড়ে মোবাইল পরিবেষা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার

বৃহস্পতিবার পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন এবং দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘড়ির কাঁটা আজ সকাল ৮টা বেজে যাওয়ার সাথে সাথে দেশব্যাপী ভোট কেন্দ্রগুলো ভোটারদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে এবং ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কোনও ধরনের বিরতি ছাড়াই আজ বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে।

১৬তম এই সাধারণ নির্বাচনে পাকিস্তান জুড়ে নাগরিকরা ৯০ হাজার ৬৭৫টি ভোট কেন্দ্রে তাদের ভোট দিচ্ছেন। জাতীয় পরিষদের ২৬৬টি আসনে মোট ৫ হাজার ১২১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এসব প্রার্থীদের মধ্যে মাত্র ৩১৩ জন নারী।

 

পাকিস্তানের এবারের নির্বাচনে প্রায় ১২ কোটি ৮০ লাখ ভোটার তাদের ভোট দেওয়ার জন্য নিবন্ধিত হয়েছেন। যার প্রায় অর্ধেক ৩৫ বছরের কম বয়সী।

এদিকে সারাদেশে ‘সাময়িকভাবে’ মোবাইল পরিষেবা স্থগিত করা হবে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ‘নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির’ আলোকে ‘সাময়িকভাবে সারা দেশে মোবাইল পরিষেবা স্থগিত করার’ এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও মন্ত্রণালয়টি জানিয়েছে।

এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয়টি বলেছে, ‘সাম্প্রতিক সময়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির এবং প্রাণহানির ফলে দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আর এই কারণে নিরাপত্তা হুমকির বিরুদ্ধে সুরক্ষার ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।’

 

এর আগে জিও নিউজ জানিয়েছিল, করাচি, লাহোর এবং পেশোয়ারসহ পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি জায়গায় মোবাইল ফোন পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে।

 

পাকিস্তানে সর্বশেষ ভোট ২০১৮ সালের জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিল যাতে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন লাভ করে এবং ইমরান খানের নেতৃত্বে কেন্দ্রে সরকার গঠন করে।

 

পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, মোট ৯০ হাজার ৬৭৫টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৪৬ হাজার ৬৫টিকে সংবেদনশীল এবং ১৮ হাজার ৪৩৭টিকে অত্যন্ত সংবেদনশীল হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

পাকিস্তানে ভোটগ্রহণ শুরু, সারাদেশে মোবাইল পরিষেবা বন্ধ

প্রকাশিত সময় : ১০:৫২:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল ৮টা (বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টা) থেকে এই ভোটগ্রহণ শুরু হয় এবং একটানা তা চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

এদিকে ভোটগ্রহণ উপলক্ষ্যে পাকিস্তানজুড়ে মোবাইল পরিবেষা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার

বৃহস্পতিবার পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন এবং দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘড়ির কাঁটা আজ সকাল ৮টা বেজে যাওয়ার সাথে সাথে দেশব্যাপী ভোট কেন্দ্রগুলো ভোটারদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে এবং ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কোনও ধরনের বিরতি ছাড়াই আজ বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে।

১৬তম এই সাধারণ নির্বাচনে পাকিস্তান জুড়ে নাগরিকরা ৯০ হাজার ৬৭৫টি ভোট কেন্দ্রে তাদের ভোট দিচ্ছেন। জাতীয় পরিষদের ২৬৬টি আসনে মোট ৫ হাজার ১২১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এসব প্রার্থীদের মধ্যে মাত্র ৩১৩ জন নারী।

 

পাকিস্তানের এবারের নির্বাচনে প্রায় ১২ কোটি ৮০ লাখ ভোটার তাদের ভোট দেওয়ার জন্য নিবন্ধিত হয়েছেন। যার প্রায় অর্ধেক ৩৫ বছরের কম বয়সী।

এদিকে সারাদেশে ‘সাময়িকভাবে’ মোবাইল পরিষেবা স্থগিত করা হবে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ‘নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির’ আলোকে ‘সাময়িকভাবে সারা দেশে মোবাইল পরিষেবা স্থগিত করার’ এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও মন্ত্রণালয়টি জানিয়েছে।

এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয়টি বলেছে, ‘সাম্প্রতিক সময়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির এবং প্রাণহানির ফলে দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আর এই কারণে নিরাপত্তা হুমকির বিরুদ্ধে সুরক্ষার ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।’

 

এর আগে জিও নিউজ জানিয়েছিল, করাচি, লাহোর এবং পেশোয়ারসহ পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি জায়গায় মোবাইল ফোন পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে।

 

পাকিস্তানে সর্বশেষ ভোট ২০১৮ সালের জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিল যাতে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন লাভ করে এবং ইমরান খানের নেতৃত্বে কেন্দ্রে সরকার গঠন করে।

 

পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, মোট ৯০ হাজার ৬৭৫টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৪৬ হাজার ৬৫টিকে সংবেদনশীল এবং ১৮ হাজার ৪৩৭টিকে অত্যন্ত সংবেদনশীল হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।