শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লড়াই তীব্র হচ্ছে মিয়ানমারে, দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে তরুণ-তরুণীরা

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নাফ নদীর ওপার থেকে এখনো মাঝে মধ্যেই ভেসে আসছে গুলির আওয়াজ। জান্তাবাহিনীর কাছ থেকে মংডু শহর দখলে নিতে যুদ্ধ শুরু করছে আরাকান আর্মি। এলাকা ছাড়ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেনাবাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক করায়  দেশ ছাড়ছেন তরুণ-তরুণীরা।

বিদ্রোহীদের কাছে একের পর এক এলাকা হাতছাড়া হওয়ার পর চরম সেনা সংকটে পড়েছে মিয়ানমার জান্তা বাহিনী। এমন অবস্থায় সেনাবাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক ঘোষণা করে তারা। এর ফলে দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে হাজারো তরুণ-তরুণী। ভবিষ্যৎ নিয়েও শঙ্কায় রয়েছেন অনেকে। এমন অবস্থায় দেশটির অভ্যন্তরে সংকট আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

মিয়ানমারের থাই দূতাবাসে ভিড় জমান হাজারো তরুণ-তরুণী। যেকোনো মূল্যে তারা দেশ ছাড়তে চান। শুক্রবার ২ হাজারের বেশি তরুণ থাই দূতাবাসে ভিসার জন্য আবেদন জানান। যাদের বেশিরভাগের চোখে মুখে ছিল আতঙ্কের ছাপ। এক তরুণ বলেন, আমি জান্তা সরকারের এমন আইনে সত্যি উদ্বেগে রয়েছি। এই আইন আমাদের ভবিষৎ শেষ করে দেবে। জান্তার টার্গেট এখন তরুণরা, তাই এই মহূর্তে আমরা কী করবো বুঝে উঠতে পারছি না।
জান্তা সরকার তরুণ-তরুণীদের বাধ্যতামূলক সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার যে আইন করেছে, এতে প্রতিমাসে কমপক্ষে ৫ হাজার তরুণ-তরুণীকে যুক্ত করার খসড়া শুরু করছে। এ হিসাবে প্রতিবছর সেখানে সামরিক প্রশিক্ষণ নিতে হবে প্রায় ৬০ হাজার তরুণ-তরুণীকে।

এরই মাঝে মালেশিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ কয়েকটি দেশে মিয়ানমারের বেশ কিছু তরুণ তরুণীকে আটক করা হয়েছে। আর জান্তার এমন আইনে অনেক দেশেই প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, এই মহূর্তে জান্তার টার্গেট তরুণরা। এমন পরিস্থিতিতে তারা ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত। তারা যেকোনোভাবে দেশ ছাড়তে চাইবে, আর এতে সংকট ভয়াবহ হবে।বিশ্লেষকরা আরও বলেন, শুধু এই সংকট মিয়ানমারের নয় প্রভাব পড়বে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশে।

এদিকে শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ এলাকা দিয়ে ডিঙ্গি নৌকা করে গুলিবিদ্ধ নারীসহ ৫ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করে। পরে বিজিবি তাদের অনুপ্রবেশ চেষ্টা প্রতিহত করে। নাফ নদীতে টহল জোরদার করেছে কোস্টগার্ড। সর্বোচ্চ সতর্ক রাখা হয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবিকেও।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

লড়াই তীব্র হচ্ছে মিয়ানমারে, দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে তরুণ-তরুণীরা

প্রকাশিত সময় : ১১:২৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নাফ নদীর ওপার থেকে এখনো মাঝে মধ্যেই ভেসে আসছে গুলির আওয়াজ। জান্তাবাহিনীর কাছ থেকে মংডু শহর দখলে নিতে যুদ্ধ শুরু করছে আরাকান আর্মি। এলাকা ছাড়ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেনাবাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক করায়  দেশ ছাড়ছেন তরুণ-তরুণীরা।

বিদ্রোহীদের কাছে একের পর এক এলাকা হাতছাড়া হওয়ার পর চরম সেনা সংকটে পড়েছে মিয়ানমার জান্তা বাহিনী। এমন অবস্থায় সেনাবাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক ঘোষণা করে তারা। এর ফলে দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে হাজারো তরুণ-তরুণী। ভবিষ্যৎ নিয়েও শঙ্কায় রয়েছেন অনেকে। এমন অবস্থায় দেশটির অভ্যন্তরে সংকট আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

মিয়ানমারের থাই দূতাবাসে ভিড় জমান হাজারো তরুণ-তরুণী। যেকোনো মূল্যে তারা দেশ ছাড়তে চান। শুক্রবার ২ হাজারের বেশি তরুণ থাই দূতাবাসে ভিসার জন্য আবেদন জানান। যাদের বেশিরভাগের চোখে মুখে ছিল আতঙ্কের ছাপ। এক তরুণ বলেন, আমি জান্তা সরকারের এমন আইনে সত্যি উদ্বেগে রয়েছি। এই আইন আমাদের ভবিষৎ শেষ করে দেবে। জান্তার টার্গেট এখন তরুণরা, তাই এই মহূর্তে আমরা কী করবো বুঝে উঠতে পারছি না।
জান্তা সরকার তরুণ-তরুণীদের বাধ্যতামূলক সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার যে আইন করেছে, এতে প্রতিমাসে কমপক্ষে ৫ হাজার তরুণ-তরুণীকে যুক্ত করার খসড়া শুরু করছে। এ হিসাবে প্রতিবছর সেখানে সামরিক প্রশিক্ষণ নিতে হবে প্রায় ৬০ হাজার তরুণ-তরুণীকে।

এরই মাঝে মালেশিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ কয়েকটি দেশে মিয়ানমারের বেশ কিছু তরুণ তরুণীকে আটক করা হয়েছে। আর জান্তার এমন আইনে অনেক দেশেই প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, এই মহূর্তে জান্তার টার্গেট তরুণরা। এমন পরিস্থিতিতে তারা ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত। তারা যেকোনোভাবে দেশ ছাড়তে চাইবে, আর এতে সংকট ভয়াবহ হবে।বিশ্লেষকরা আরও বলেন, শুধু এই সংকট মিয়ানমারের নয় প্রভাব পড়বে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশে।

এদিকে শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ এলাকা দিয়ে ডিঙ্গি নৌকা করে গুলিবিদ্ধ নারীসহ ৫ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করে। পরে বিজিবি তাদের অনুপ্রবেশ চেষ্টা প্রতিহত করে। নাফ নদীতে টহল জোরদার করেছে কোস্টগার্ড। সর্বোচ্চ সতর্ক রাখা হয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবিকেও।