সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভাসানচরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শিশুসহ দগ্ধ ৯

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পে রোহিঙ্গাদের একটি ক্লাস্টার ঘরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নারী ও শিশুসহ ৯ জন দগ্ধ হয়েছেন। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৮১ নম্বর ক্লাস্টার ঘরে দুর্ঘটনাটি ঘটে। দগ্ধ সবাইকে প্রথমে ভাসানচর ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে এবং পরে জেলা শহরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়। এদের মধ্যে ৭ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের (ইএনএইচসিআর) কার্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আহতরা হলেন- রশমিদা (৩), জোবায়দা (১০), মোবাশ্বেরা (৩), মো. রাসেল (৩), মো. সোহেল (৫), মো. রবিউল (৫), সফি আলম (১৫), মো. বশির উল্যাহ (১৬) ও আমেনা খাতুন (২৫)।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে ভাসানচরের ৮১ নম্বর ক্লাস্টারের আবদুর শুক্কুরের পরিবারের রান্না কাজে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ হয়। এক পর্যায়ে সিলিন্ডারটি বিস্ফোরিত হয়। এ সময় ঘরের বাসিন্দা ও আশপাশে থাকা শিশু এবং নারীসহ ৯ জন দগ্ধ

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাওসার আলম ভূঁইয়া বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই স্থানীয় রোহিঙ্গারা আগুন নিভিয়ে ফেলেন। পরে পুলিশ গিয়ে দগ্ধ সবাইকে উদ্ধার করে ভাসনচরের ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যায়। আগুনে ক্লাস্টার ঘরটির আংশিক ক্ষতি হয়েছে। বাতাসের সঙ্গে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় আহত বেশি হয়েছেন।

২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. হাসিনা জাহান বলেন, ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দগ্ধ ৯ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার মধ্যে ছয়জন শিশু। বাকি দুইজন পুরুষ ও একজন মহিলা। পুরুষ দুইজন এই হাসপাতালে ভর্তি আছেন। শিশুদের অবস্থা খুবই খারাপ। এক শিশুর শতভাগ, অন্যদের প্রায় ৬০ শতাংশের ওপরে দগ্ধ হয়েছে। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ বার্ণ ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। এক শিশুর দগ্ধ মাকেও চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে। ভর্তিকৃতদের যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ভাসানচরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শিশুসহ দগ্ধ ৯

প্রকাশিত সময় : ০৬:১৯:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পে রোহিঙ্গাদের একটি ক্লাস্টার ঘরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নারী ও শিশুসহ ৯ জন দগ্ধ হয়েছেন। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৮১ নম্বর ক্লাস্টার ঘরে দুর্ঘটনাটি ঘটে। দগ্ধ সবাইকে প্রথমে ভাসানচর ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে এবং পরে জেলা শহরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়। এদের মধ্যে ৭ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের (ইএনএইচসিআর) কার্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আহতরা হলেন- রশমিদা (৩), জোবায়দা (১০), মোবাশ্বেরা (৩), মো. রাসেল (৩), মো. সোহেল (৫), মো. রবিউল (৫), সফি আলম (১৫), মো. বশির উল্যাহ (১৬) ও আমেনা খাতুন (২৫)।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে ভাসানচরের ৮১ নম্বর ক্লাস্টারের আবদুর শুক্কুরের পরিবারের রান্না কাজে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ হয়। এক পর্যায়ে সিলিন্ডারটি বিস্ফোরিত হয়। এ সময় ঘরের বাসিন্দা ও আশপাশে থাকা শিশু এবং নারীসহ ৯ জন দগ্ধ

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাওসার আলম ভূঁইয়া বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই স্থানীয় রোহিঙ্গারা আগুন নিভিয়ে ফেলেন। পরে পুলিশ গিয়ে দগ্ধ সবাইকে উদ্ধার করে ভাসনচরের ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যায়। আগুনে ক্লাস্টার ঘরটির আংশিক ক্ষতি হয়েছে। বাতাসের সঙ্গে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় আহত বেশি হয়েছেন।

২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. হাসিনা জাহান বলেন, ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দগ্ধ ৯ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার মধ্যে ছয়জন শিশু। বাকি দুইজন পুরুষ ও একজন মহিলা। পুরুষ দুইজন এই হাসপাতালে ভর্তি আছেন। শিশুদের অবস্থা খুবই খারাপ। এক শিশুর শতভাগ, অন্যদের প্রায় ৬০ শতাংশের ওপরে দগ্ধ হয়েছে। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ বার্ণ ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। এক শিশুর দগ্ধ মাকেও চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে। ভর্তিকৃতদের যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।