শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লিবিয়ায় গণকবর, মিলল ৬৫ লাশ

লিবিয়ায় অন্তত ৬৫ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর লাশে ভরা একটি গণকবর খুঁজে পাওয়া গেছে। গণকবরটি পাওয়া গেছে দক্ষিণ-পশ্চিম লিবিয়ায়। লিবিয়া উপকূল থেকে রাবারের ডিঙি নৌকায় যাত্রা করা অন্তত ৬০ অভিবাসনপ্রত্যাশী ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা যাওয়ার ঘটনার পর এই গণকবরের খোঁজ পাওয়া গেছে।

এ গণকবর আবিস্কারের ঘটনায় অন্তত বিস্মিত জানিয়ে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংগঠন (আইওএম) বলেছে, কি পরিস্থিতিতে তাদের মৃত্যু হয়েছে এবং তারা কোন দেশের নাগরিক তা এখনও জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, মরুভূমির মধ্য দিয়ে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে পাচার হওয়ার সময় তারা মারা যায়। লিবিয়া বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।

আইওএম লিবিয়া কর্তৃপক্ষ এবং অন্যান্য জাতিসংঘ সংস্থাগুলোকে লাশ উদ্ধার করা, পরিচয় বের করা এবং দেহাবষেশ পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। আইওএম এর মুখপাত্র বলেছেন, প্রতিটি নিখোঁজ এবং প্রাণহানির ঘটনাতেই শোকার্ত স্বজনরা তাদের প্রিয়জনের খোঁজ করে। তাদের বিষয়ে জানতে চায় কিংবা ক্ষতি স্বীকার করে নেয়। এই মর্মান্তিক ঘটনা অভিবাসনপ্রত্যাশী পাচারের বিরুদ্ধে সমন্বিত ব্যবস্থা নেয়া এবং অভিবাসনের বৈধ পথের দিকে নজর দেয়ার প্রয়োজনীয়তাকে সামনে নিয়ে এসেছে।

আইওএম এর আগে এ মাসের শুরুর দিকে বলেছিল, এক দশক আগে শরণার্থী নিহতের রেকর্ড রাখা ‍শুরু হওয়ার পর থেকে ২০২৩ সালেই সবচেয়ে বেশি অভিবাসপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন রুটে যাত্রাপথে অভিবাসনপ্রত্যাশী নিহত হয়েছে অন্তত ৮ হাজার ৫৬৫ জন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

লিবিয়ায় গণকবর, মিলল ৬৫ লাশ

প্রকাশিত সময় : ১২:০৯:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪

লিবিয়ায় অন্তত ৬৫ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর লাশে ভরা একটি গণকবর খুঁজে পাওয়া গেছে। গণকবরটি পাওয়া গেছে দক্ষিণ-পশ্চিম লিবিয়ায়। লিবিয়া উপকূল থেকে রাবারের ডিঙি নৌকায় যাত্রা করা অন্তত ৬০ অভিবাসনপ্রত্যাশী ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা যাওয়ার ঘটনার পর এই গণকবরের খোঁজ পাওয়া গেছে।

এ গণকবর আবিস্কারের ঘটনায় অন্তত বিস্মিত জানিয়ে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংগঠন (আইওএম) বলেছে, কি পরিস্থিতিতে তাদের মৃত্যু হয়েছে এবং তারা কোন দেশের নাগরিক তা এখনও জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, মরুভূমির মধ্য দিয়ে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে পাচার হওয়ার সময় তারা মারা যায়। লিবিয়া বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।

আইওএম লিবিয়া কর্তৃপক্ষ এবং অন্যান্য জাতিসংঘ সংস্থাগুলোকে লাশ উদ্ধার করা, পরিচয় বের করা এবং দেহাবষেশ পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। আইওএম এর মুখপাত্র বলেছেন, প্রতিটি নিখোঁজ এবং প্রাণহানির ঘটনাতেই শোকার্ত স্বজনরা তাদের প্রিয়জনের খোঁজ করে। তাদের বিষয়ে জানতে চায় কিংবা ক্ষতি স্বীকার করে নেয়। এই মর্মান্তিক ঘটনা অভিবাসনপ্রত্যাশী পাচারের বিরুদ্ধে সমন্বিত ব্যবস্থা নেয়া এবং অভিবাসনের বৈধ পথের দিকে নজর দেয়ার প্রয়োজনীয়তাকে সামনে নিয়ে এসেছে।

আইওএম এর আগে এ মাসের শুরুর দিকে বলেছিল, এক দশক আগে শরণার্থী নিহতের রেকর্ড রাখা ‍শুরু হওয়ার পর থেকে ২০২৩ সালেই সবচেয়ে বেশি অভিবাসপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন রুটে যাত্রাপথে অভিবাসনপ্রত্যাশী নিহত হয়েছে অন্তত ৮ হাজার ৫৬৫ জন।