সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হোলি উৎসব আজ, রঙের খেলায় মাতবে দেশ

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশেষ ধর্মীয় উৎসব দোল পূর্ণিমা। দিনটি হোলি উৎসব বা দোলযাত্রা নামেও বেশ পরিচিত। সোমবার (২৫ মার্চ) দোলযাত্রা ও গৌর পূর্ণিমা উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বিভিন্ন মন্দিরে পূজা, হোম যজ্ঞ, প্রসাদ বিতরণসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। সকাল থেকে শুরু হয়ে বিকাল পর্যন্ত এ উৎসব চলবে দেশব্যাপী। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পরস্পরকে আবির মাখিয়ে এ উৎসব উদযাপন করবে। মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে দোল উৎসব ও কীর্তনের আয়োজন করা হয়েছে। সকালে পূজা ও কীর্তন শুরু হবে। বৈষ্ণব বিশ্বাসীদের মতে, এ দিন শ্রীকৃষ্ণ বৃন্দাবনে রাধিকা এবং তার সখীদের সঙ্গে আবির খেলেছিলেন। সেই ঘটনা থেকেই দোল খেলার উৎপত্তি। এ কারণে দোলযাত্রার দিন সনাতনে বিশ্বাসীরা রাধা-কৃষ্ণের বিগ্রহ আবিরে রাঙিয়ে দোলায় চড়িয়ে নগর কীর্তনে বের হন। এ সময় তারা রঙ খেলার আনন্দে মেতে ওঠেন। বিশ্বের অনেক দেশে উৎসবটি শ্রীকৃষ্ণের দোলযাত্রা নামে অধিক পরিচিত হলেও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, মাদ্রাজ, উড়িষ্যা প্রভৃতি স্থানে দোল উৎসব এবং উত্তর, পশ্চিম ও মধ্য ভারত ও নেপালে ‘হোলি’ নামে পরিচিত। কোনও কোনও স্থানে এটিকে বসন্ত উৎসবও বলা হয়। পুষ্পরেণু ছিটিয়ে রাধা-কৃষ্ণ দোল উৎসব করতেন। সময়ের বিবর্তনে পুষ্পরেণুর জায়গায় এসেছে ‘আবির’। রাজধানীতে বিশেষ করে পুরান ঢাকার শাঁখারি বাজারে হোলি খেলার প্রচলন রয়েছে। ‘হোলি’ বা ‘দোলযাত্রা’ উৎসব উপলক্ষে এদিন নগরবাসী একে অন্যকে বর্ণিল রঙে রাঙিয়ে মাতোয়ারা হন। আবির খেলার উচ্ছ্বাসে মাতেন তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে ছোট-বড় সবাই। হোলির রঙে রঙিন হয়ে এই আনন্দে শামিল হন সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ। তবে এবার রোজার মধ্যে এ উৎসবের আমেজ কিছুটা ভাটা পড়ার শঙ্কা আছে বলে অনেকে মনে করেন। এ দিকে এ উৎসবকে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকার শাঁখারি বাজারে অন্যরকম আমেজ বিরাজ করছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

হোলি উৎসব আজ, রঙের খেলায় মাতবে দেশ

প্রকাশিত সময় : ১১:২৩:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশেষ ধর্মীয় উৎসব দোল পূর্ণিমা। দিনটি হোলি উৎসব বা দোলযাত্রা নামেও বেশ পরিচিত। সোমবার (২৫ মার্চ) দোলযাত্রা ও গৌর পূর্ণিমা উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বিভিন্ন মন্দিরে পূজা, হোম যজ্ঞ, প্রসাদ বিতরণসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। সকাল থেকে শুরু হয়ে বিকাল পর্যন্ত এ উৎসব চলবে দেশব্যাপী। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পরস্পরকে আবির মাখিয়ে এ উৎসব উদযাপন করবে। মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে দোল উৎসব ও কীর্তনের আয়োজন করা হয়েছে। সকালে পূজা ও কীর্তন শুরু হবে। বৈষ্ণব বিশ্বাসীদের মতে, এ দিন শ্রীকৃষ্ণ বৃন্দাবনে রাধিকা এবং তার সখীদের সঙ্গে আবির খেলেছিলেন। সেই ঘটনা থেকেই দোল খেলার উৎপত্তি। এ কারণে দোলযাত্রার দিন সনাতনে বিশ্বাসীরা রাধা-কৃষ্ণের বিগ্রহ আবিরে রাঙিয়ে দোলায় চড়িয়ে নগর কীর্তনে বের হন। এ সময় তারা রঙ খেলার আনন্দে মেতে ওঠেন। বিশ্বের অনেক দেশে উৎসবটি শ্রীকৃষ্ণের দোলযাত্রা নামে অধিক পরিচিত হলেও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, মাদ্রাজ, উড়িষ্যা প্রভৃতি স্থানে দোল উৎসব এবং উত্তর, পশ্চিম ও মধ্য ভারত ও নেপালে ‘হোলি’ নামে পরিচিত। কোনও কোনও স্থানে এটিকে বসন্ত উৎসবও বলা হয়। পুষ্পরেণু ছিটিয়ে রাধা-কৃষ্ণ দোল উৎসব করতেন। সময়ের বিবর্তনে পুষ্পরেণুর জায়গায় এসেছে ‘আবির’। রাজধানীতে বিশেষ করে পুরান ঢাকার শাঁখারি বাজারে হোলি খেলার প্রচলন রয়েছে। ‘হোলি’ বা ‘দোলযাত্রা’ উৎসব উপলক্ষে এদিন নগরবাসী একে অন্যকে বর্ণিল রঙে রাঙিয়ে মাতোয়ারা হন। আবির খেলার উচ্ছ্বাসে মাতেন তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে ছোট-বড় সবাই। হোলির রঙে রঙিন হয়ে এই আনন্দে শামিল হন সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ। তবে এবার রোজার মধ্যে এ উৎসবের আমেজ কিছুটা ভাটা পড়ার শঙ্কা আছে বলে অনেকে মনে করেন। এ দিকে এ উৎসবকে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকার শাঁখারি বাজারে অন্যরকম আমেজ বিরাজ করছে।