শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুদ্ধবিরতির আলোচনায় ফিরতে সম্মতি নেতানিয়াহুর

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন করে আলোচনার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বলছে, নেতানিয়াহু মিশর এবং কাতারে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় প্রতিনিধিদল পাঠাতে সম্মত হয়েছেন। শুক্রবার (২৯ মার্চ) এ তথ্য দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সম্মতি এমন সময়ে এলো যখন আগেরদিনই ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের মানুষের কাছে জরুরি মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালত থেকে নির্দেশ এসেছে। তবে চলতি সপ্তাহে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে প্রস্তাব পাসের পরও এখন পর্যন্ত গাজায় হামলা বন্ধ করেনি ইসরায়েল। বরং সেখানকার হাসপাতালগুলোতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে দখলদার বাহিনী। গাজার পাশাপাশি লেবানন ও সিরিয়ার আলেপ্পোতেও হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল বাহিনী। নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলছে, গাজার যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি নিয়ে দোহা ও কায়রোয় আলোচনা চলবে। আগামী দিনগুলোতে আলোচনার দিকনির্দেশনাসহ বিষয়টি সামনে এগিয়ে নেয়া হবে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব পাসের পর থেকে কয়েক দিন ধরে ওই আলোচনা থমকে রয়েছে। এর আগে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার ঘনবসতিপূর্ণ রাফা শহরে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী ঢোকার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন নেতানিয়াহু। গাজায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হাতে জিম্মি থাকা ব্যক্তিদের মুক্ত করা প্রসঙ্গে তাঁদের স্বজনদের এ কথা জানান নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, ‘একমাত্র সামরিক চাপই তাঁদের মুক্তি নিশ্চিত করবে।’ এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আমরা গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চল ও খান ইউনিস জয় করেছি। এবার দক্ষিণের রাফায় স্থল অভিযান শুরু হচ্ছে।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

যুদ্ধবিরতির আলোচনায় ফিরতে সম্মতি নেতানিয়াহুর

প্রকাশিত সময় : ১০:২৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন করে আলোচনার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বলছে, নেতানিয়াহু মিশর এবং কাতারে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় প্রতিনিধিদল পাঠাতে সম্মত হয়েছেন। শুক্রবার (২৯ মার্চ) এ তথ্য দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সম্মতি এমন সময়ে এলো যখন আগেরদিনই ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের মানুষের কাছে জরুরি মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালত থেকে নির্দেশ এসেছে। তবে চলতি সপ্তাহে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে প্রস্তাব পাসের পরও এখন পর্যন্ত গাজায় হামলা বন্ধ করেনি ইসরায়েল। বরং সেখানকার হাসপাতালগুলোতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে দখলদার বাহিনী। গাজার পাশাপাশি লেবানন ও সিরিয়ার আলেপ্পোতেও হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল বাহিনী। নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলছে, গাজার যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি নিয়ে দোহা ও কায়রোয় আলোচনা চলবে। আগামী দিনগুলোতে আলোচনার দিকনির্দেশনাসহ বিষয়টি সামনে এগিয়ে নেয়া হবে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব পাসের পর থেকে কয়েক দিন ধরে ওই আলোচনা থমকে রয়েছে। এর আগে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার ঘনবসতিপূর্ণ রাফা শহরে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী ঢোকার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন নেতানিয়াহু। গাজায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হাতে জিম্মি থাকা ব্যক্তিদের মুক্ত করা প্রসঙ্গে তাঁদের স্বজনদের এ কথা জানান নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, ‘একমাত্র সামরিক চাপই তাঁদের মুক্তি নিশ্চিত করবে।’ এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আমরা গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চল ও খান ইউনিস জয় করেছি। এবার দক্ষিণের রাফায় স্থল অভিযান শুরু হচ্ছে।’