যেকোনো সময় সরাসরি ইরান অথবা ইরানের হয়ে অন্য কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসরায়েলে হামলা চালাতে পারে। এই সম্ভাবনা প্রবল হচ্ছে। এমন অবস্থায় এবার ইসরায়েল ভ্রমণের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ইরানের হামলার আশঙ্কায় ইসরায়েলে তার কর্মীদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন দূতাবাস এক বিবৃতিতে বলেছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মীদের ‘সতর্কতার কারণে’ বৃহত্তর জেরুজালেম, তেল আবিব বা বেয়ের শেভা এলাকার বাইরে ভ্রমণ না করতে বলা হয়েছে। ১১ দিন আগে সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে ইসরায়েল হামলা চালিয়ে ১৩ জন নিহত হওয়ার পর ইরান প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব লর্ড ক্যামেরন তার ইরানি প্রতিপক্ষকে ফোন করে উত্তেজনা না বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। ইসরায়েল কনস্যুলেটে হামলার দায় স্বীকার করেনি তবে তারাই এর পিছনে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ব্লুমবার্গ জানিয়েছে- মার্কিন কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন যে, ইসরায়েলের মাটিতে সামরিক ও সরকারি লক্ষ্যবস্তুর বিরুদ্ধে ইরান অথবা বা তার প্রক্সিদের হামলা আসন্ন। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলি গোয়েন্দাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অজ্ঞাতনামা সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে গণমাধ্যমটি বলেছে, সম্ভাব্য হামলা ‘সম্ভবত উচ্চ-নির্ভুল ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে হামলা হতে পারে।’ যুক্তরাষ্ট্রের দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ হামলা পরবর্তী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হতে পারে। ইহুদি রাষ্ট্রের দক্ষিণ বা উত্তর অংশকে লক্ষ্যবস্তু করতে পারে ইরান। বিষয়টির সঙ্গে জানা আছে এমন একজন ব্যক্তিকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যমটি। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির একজন উপদেষ্টা বলেছেন, হামলার পরিকল্পনা সুপ্রিম লিডারের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং তিনি এখন এর রাজনৈতিক ঝুঁকির কথা ভেবে দেখছেন। বুধবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি দামেস্কে হামলার জন্য ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি পুর্নব্যক্ত করেন।