সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঈদের পরদিনও ঢাকা ছাড়ছে মানুষ

ঈদের পরের দিনও প্রিয়জনের কাছে যেতে রাজধানী ঢাকা ছাড়ছেন মানুষ। তবে সেটি ঈদের আগের অন্যান্য দিনের তুলনায় কিছুটা বেশি। সকাল থেকেই সায়েদাবাদ ও যাত্রাবাড়ীতে দূর পাল্লার বাস কাউন্টারগুলোতে ভিড় দেখা গেছে।যাত্রাবাড়ী-সায়েদাবাদ ও ধোলাইপাড় এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, বাগেরহাট, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও শরীয়তপুরের যাত্রীদের চাপ বেশি। তবে যাত্রীদের অভিযোগ এক থেকে দেড় ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও গাড়িতে উঠতে পাচ্ছেন না। ছোট ছেলে-মেয়ে এবং জিনিসপত্র সঙ্গে নিয়ে বাসায় ফিরে যাও মুশকিল।

সায়েদাবাদ জনপথের মোড় খুলনাগামী ইমাদ পরিবহনের কাউন্টারে দেখা গেছে যাত্রীদের ভিড়। কাউন্টার ম্যানেজার আব্দুল্লাহ বলেন, ঈদের ২০ দিন আগে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছি। চাঁদরাত পর্যন্ত সবাই চলে গেছেন। ঈদের পরদিনও যাত্রীর চাপ। মনে হচ্ছে ঈদের আগের চেয়ে পরই বেশি মানুষ বাড়ি যাচ্ছেন।

একই পরিবহনে খুলনাগামী বাসের অপেক্ষায় ছিলেন বেসরকারী চাকরিজীবী মাসুম হাসান। তিনি বলেন, ঈদের আগে অগ্রিম টিকিট কিনতে পারিনি। এখন কাউন্টার থেকে বলছে অপেক্ষা করতে হবে। প্রচণ্ড গরমে কতক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় কে জানে, ভাড়া দুই থেকে তিনশ টাকা বেশি চাচ্ছে।

গোল্ডেন লাইন পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার সালমান ও রিয়াজ বলেন, ভোর থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত আনুমানিক ২২ থেকে ২৩টি গাড়ি ছেড়ে গেছে।যাত্রীর চাপ বাড়ছেই। এখন পর্যন্ত ফিরতি গাড়ির তিন শতাধিক অগ্রিম টিকিট বিক্রি রয়েছে। গাড়ি কম যাত্রী বেশি।

পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদের আগে এবং চাঁদরাতেও এত ভিড় দেখা যায়নি। ভোরে যাত্রীর চাপ কম থাকলেও আলো বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়তে থাকে। বেড়েছে পরিবহন ভাড়াও। ঈদের আগের দিন যেসব গাড়ির ভাড়া তিন থেকে সাড়ে তিনশ টাকা ছিল এখন সেটি বেড়ে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা। গাড়ির হেলপাররা দরজার মুখে দাঁড়িয়ে বলছে যে যেখানেই নামেন ভাড়া ৫০০ টাকা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ঈদের পরদিনও ঢাকা ছাড়ছে মানুষ

প্রকাশিত সময় : ০৪:২৩:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০২৪

ঈদের পরের দিনও প্রিয়জনের কাছে যেতে রাজধানী ঢাকা ছাড়ছেন মানুষ। তবে সেটি ঈদের আগের অন্যান্য দিনের তুলনায় কিছুটা বেশি। সকাল থেকেই সায়েদাবাদ ও যাত্রাবাড়ীতে দূর পাল্লার বাস কাউন্টারগুলোতে ভিড় দেখা গেছে।যাত্রাবাড়ী-সায়েদাবাদ ও ধোলাইপাড় এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, বাগেরহাট, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও শরীয়তপুরের যাত্রীদের চাপ বেশি। তবে যাত্রীদের অভিযোগ এক থেকে দেড় ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও গাড়িতে উঠতে পাচ্ছেন না। ছোট ছেলে-মেয়ে এবং জিনিসপত্র সঙ্গে নিয়ে বাসায় ফিরে যাও মুশকিল।

সায়েদাবাদ জনপথের মোড় খুলনাগামী ইমাদ পরিবহনের কাউন্টারে দেখা গেছে যাত্রীদের ভিড়। কাউন্টার ম্যানেজার আব্দুল্লাহ বলেন, ঈদের ২০ দিন আগে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছি। চাঁদরাত পর্যন্ত সবাই চলে গেছেন। ঈদের পরদিনও যাত্রীর চাপ। মনে হচ্ছে ঈদের আগের চেয়ে পরই বেশি মানুষ বাড়ি যাচ্ছেন।

একই পরিবহনে খুলনাগামী বাসের অপেক্ষায় ছিলেন বেসরকারী চাকরিজীবী মাসুম হাসান। তিনি বলেন, ঈদের আগে অগ্রিম টিকিট কিনতে পারিনি। এখন কাউন্টার থেকে বলছে অপেক্ষা করতে হবে। প্রচণ্ড গরমে কতক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় কে জানে, ভাড়া দুই থেকে তিনশ টাকা বেশি চাচ্ছে।

গোল্ডেন লাইন পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার সালমান ও রিয়াজ বলেন, ভোর থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত আনুমানিক ২২ থেকে ২৩টি গাড়ি ছেড়ে গেছে।যাত্রীর চাপ বাড়ছেই। এখন পর্যন্ত ফিরতি গাড়ির তিন শতাধিক অগ্রিম টিকিট বিক্রি রয়েছে। গাড়ি কম যাত্রী বেশি।

পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদের আগে এবং চাঁদরাতেও এত ভিড় দেখা যায়নি। ভোরে যাত্রীর চাপ কম থাকলেও আলো বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়তে থাকে। বেড়েছে পরিবহন ভাড়াও। ঈদের আগের দিন যেসব গাড়ির ভাড়া তিন থেকে সাড়ে তিনশ টাকা ছিল এখন সেটি বেড়ে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা। গাড়ির হেলপাররা দরজার মুখে দাঁড়িয়ে বলছে যে যেখানেই নামেন ভাড়া ৫০০ টাকা।