শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এমভি আব্দুল্লাহ উদ্ধার: মুক্তিপণ নিয়ে তীরে উঠেই ৮ জলদস্যু গ্রেপ্তার

সোমালিয়ার উপকূল থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে ছেড়ে দিয়েছে জলদস্যুরা। শনিবার (১৩ এপ্রিল) সোমালিয়ার সময় দিবাগত রাত ১২টা ৮ মিনিটে দস্যুরা জাহাজটি ছেড়ে তীরের দিকে চলে যায়। তীরে পৌঁছানোর পর অন্তত আটজন জলদস্যুকে দেশটির পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। সোমালিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম গারো অনলাইনের প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই জলদস্যুদের সঙ্গে আল–শাবাব জঙ্গি গোষ্ঠীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।

পুন্টল্যান্ড পুলিশ ফোর্সের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা গারো অনলাইনকে জানিয়েছেন, তারা বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর ছিনতাই করা জলদস্যু দলের ৮ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে অভিযানে জলদস্যুদের দেয়া মুক্তিপণের টাকা উদ্ধার হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করা হয়নি।

এদিকে মুক্ত হয়ে আনন্দে আত্মহারা নাবিকেরা। মুক্ত হওয়ার পর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ফোন করে কথা বলেছেন অনেকে। এছাড়া জাতীয় পতাকা হাতে হাসিমুখে দেখা গেছে তাদের।

জানা গেছে, জলদস্যুদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ নিয়ে একটি উড়োজাহাজ বাংলাদেশ সময় শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে জিম্মি জাহাজের ওপর চক্কর দেয়। এসময় জাহাজের ওপরে ২৩ নাবিক অক্ষত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর বিমান থেকে ডলারভর্তি তিনটি ব্যাগ সাগরে ফেলা হয়। স্পিডবোট দিয়ে এসব ব্যাগ জলদস্যুরা কুড়িয়ে নেয়। জাহাজে উঠে দাবি অনুয়ায়ী মুক্তিপণ গুনে নেয় জলদস্যুরা। যদিও মুক্তিপণ কত এবং কীভাবে দেয়া হয়েছে সেটি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি জাহাজের মালিকপক্ষের কোনো কর্মকর্তা।

গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করে সোমালিয়ার দস্যুরা। জাহাজটি সোমালিয়ার গদভজিরান জেলার জেফল উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে রেখেছিল তারা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

এমভি আব্দুল্লাহ উদ্ধার: মুক্তিপণ নিয়ে তীরে উঠেই ৮ জলদস্যু গ্রেপ্তার

প্রকাশিত সময় : ১০:০৪:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৪

সোমালিয়ার উপকূল থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে ছেড়ে দিয়েছে জলদস্যুরা। শনিবার (১৩ এপ্রিল) সোমালিয়ার সময় দিবাগত রাত ১২টা ৮ মিনিটে দস্যুরা জাহাজটি ছেড়ে তীরের দিকে চলে যায়। তীরে পৌঁছানোর পর অন্তত আটজন জলদস্যুকে দেশটির পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। সোমালিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম গারো অনলাইনের প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই জলদস্যুদের সঙ্গে আল–শাবাব জঙ্গি গোষ্ঠীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।

পুন্টল্যান্ড পুলিশ ফোর্সের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা গারো অনলাইনকে জানিয়েছেন, তারা বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর ছিনতাই করা জলদস্যু দলের ৮ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে অভিযানে জলদস্যুদের দেয়া মুক্তিপণের টাকা উদ্ধার হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করা হয়নি।

এদিকে মুক্ত হয়ে আনন্দে আত্মহারা নাবিকেরা। মুক্ত হওয়ার পর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ফোন করে কথা বলেছেন অনেকে। এছাড়া জাতীয় পতাকা হাতে হাসিমুখে দেখা গেছে তাদের।

জানা গেছে, জলদস্যুদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ নিয়ে একটি উড়োজাহাজ বাংলাদেশ সময় শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে জিম্মি জাহাজের ওপর চক্কর দেয়। এসময় জাহাজের ওপরে ২৩ নাবিক অক্ষত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর বিমান থেকে ডলারভর্তি তিনটি ব্যাগ সাগরে ফেলা হয়। স্পিডবোট দিয়ে এসব ব্যাগ জলদস্যুরা কুড়িয়ে নেয়। জাহাজে উঠে দাবি অনুয়ায়ী মুক্তিপণ গুনে নেয় জলদস্যুরা। যদিও মুক্তিপণ কত এবং কীভাবে দেয়া হয়েছে সেটি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি জাহাজের মালিকপক্ষের কোনো কর্মকর্তা।

গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করে সোমালিয়ার দস্যুরা। জাহাজটি সোমালিয়ার গদভজিরান জেলার জেফল উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে রেখেছিল তারা।