শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরানে হামলা চালাতে মরিয়া ইসরায়েল

ইরানে পাল্টা হামলা চালাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ইসরায়েল। যদিও এতে তার প্রধান মিত্রশক্তি আমেরিকার সায় নেই, তবুও ইরানের বরিুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে তেল আবিব। খবর বিবিসির।

রোববার (১৪ এপ্রিল) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের হামলার জবাব কীভাবে দেওয়া যায় তা এখনো বিবেচনা করে দেখছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তারা। এমনকি হামলার পরপরই জবাব দেয়ার পদ্ধতি নিয়ে কথা বলতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন ইসরায়েল সরকারের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে তাতে সাফ না করে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জানান, তেল আবিবের কোনো প্রকার হামলার সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ত করবে না ওয়াশিংটন।

যুদ্ধকালীন ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার সদস্য বেনি গ্যান্টজ জানান, সঠিক সময়ে বলে দেয়া হবে এ হামলার জন্য ইরানকে কতটা মূল্য দিতে হবে। যদিও ইরানের ছোড়া প্রায় সব ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন আকাশেই ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। এ হামলা ঠেকাতে সহায়তা করেছে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও জর্ডান।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি জানান, ইরান প্রায় ৩০০টি বিস্ফোরক ড্রোন, ক্রুজ এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। কিন্তু এর মধ্যে ৯৯ শতাংশই ইসরায়েল, মার্কিন, ব্রিটিশ, জর্ডান ও অন্যান্য মিত্র বাহিনীর আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা দ্বারা ধ্বংস করা হয়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইসরায়েল একই ধরনের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে একটি সিরিজ আক্রমণ করতে পারে। এ ক্ষেত্রে কেবল ইরানের সেই ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করা হবে যেখান থেকে ইরান ইসরায়েলের হামলা পরিচালনা করেছে। অথবা লক্ষ্যবস্তুর পরিমাণ আরও বাড়িয়ে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর ঘাঁটি, প্রশিক্ষণ শিবির এবং কমান্ড-এন্ড-কন্ট্রোল সেন্টারগুলোতেও হামলা পরিচালনা করতে পারে তেল আবিব।

এদিকে ইসরায়েলের পাল্টা আক্রমণের সম্ভাবনায় ইরানের সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি সতর্ক করে বলেছেন, ইসরায়েল যদি আবারও কোনো হুমকি তৈরি করে ইরানের প্রতিক্রিয়া রোববারের সামরিক পদক্ষেপের চেয়ে অনেক বড় হবে। তবে, ইরানি সামরিক কর্মকর্তারা পরবর্তীতে সংঘাত আরও না বাড়ানোর আহ্বানও জানিয়েছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

ইরানে হামলা চালাতে মরিয়া ইসরায়েল

প্রকাশিত সময় : ০৫:৪৬:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৪

ইরানে পাল্টা হামলা চালাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ইসরায়েল। যদিও এতে তার প্রধান মিত্রশক্তি আমেরিকার সায় নেই, তবুও ইরানের বরিুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে তেল আবিব। খবর বিবিসির।

রোববার (১৪ এপ্রিল) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের হামলার জবাব কীভাবে দেওয়া যায় তা এখনো বিবেচনা করে দেখছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তারা। এমনকি হামলার পরপরই জবাব দেয়ার পদ্ধতি নিয়ে কথা বলতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন ইসরায়েল সরকারের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে তাতে সাফ না করে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জানান, তেল আবিবের কোনো প্রকার হামলার সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ত করবে না ওয়াশিংটন।

যুদ্ধকালীন ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার সদস্য বেনি গ্যান্টজ জানান, সঠিক সময়ে বলে দেয়া হবে এ হামলার জন্য ইরানকে কতটা মূল্য দিতে হবে। যদিও ইরানের ছোড়া প্রায় সব ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন আকাশেই ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। এ হামলা ঠেকাতে সহায়তা করেছে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও জর্ডান।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি জানান, ইরান প্রায় ৩০০টি বিস্ফোরক ড্রোন, ক্রুজ এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। কিন্তু এর মধ্যে ৯৯ শতাংশই ইসরায়েল, মার্কিন, ব্রিটিশ, জর্ডান ও অন্যান্য মিত্র বাহিনীর আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা দ্বারা ধ্বংস করা হয়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইসরায়েল একই ধরনের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে একটি সিরিজ আক্রমণ করতে পারে। এ ক্ষেত্রে কেবল ইরানের সেই ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করা হবে যেখান থেকে ইরান ইসরায়েলের হামলা পরিচালনা করেছে। অথবা লক্ষ্যবস্তুর পরিমাণ আরও বাড়িয়ে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর ঘাঁটি, প্রশিক্ষণ শিবির এবং কমান্ড-এন্ড-কন্ট্রোল সেন্টারগুলোতেও হামলা পরিচালনা করতে পারে তেল আবিব।

এদিকে ইসরায়েলের পাল্টা আক্রমণের সম্ভাবনায় ইরানের সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি সতর্ক করে বলেছেন, ইসরায়েল যদি আবারও কোনো হুমকি তৈরি করে ইরানের প্রতিক্রিয়া রোববারের সামরিক পদক্ষেপের চেয়ে অনেক বড় হবে। তবে, ইরানি সামরিক কর্মকর্তারা পরবর্তীতে সংঘাত আরও না বাড়ানোর আহ্বানও জানিয়েছেন।