মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২.৩ ডিগ্রি, গলে যাচ্ছে রাস্তার পিচ

চুয়াডাঙ্গায় তীব্র দাবদাহের পর আজ থেকে অতি তীব্র দাবদাহ শুরু হয়েছে। প্রচণ্ড রোদে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এ ছাড়া জেলা শহরে বিভিন্ন সড়কে রাস্তার পিচ গলে যেতে দেখা গেছে। তবে এতে যান চলাচলে কোনো বিঘ্ন ঘটবে না বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (সওজ) খন্দকার গোলাম মোস্তফা।

অপর দিকে অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে।

আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৮ শতাংশ। যা চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এপ্রিল মাসজুড়ে এমন তাপপ্রবাহ থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান।

চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী আগামী আরও কিছু দিন তীব্র দাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময় বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এমতাবস্থায় ফল বিভাগ, উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে চাষিদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১৯-২০ এপ্রিল সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ছাড়া ২০০৫ সালের ২ জুন ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০১২ সালের ৪ জুন ৪২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০০৪ সালের ১৩ মে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০০৯ সালের ২৭ এপ্রিল সর্বোচ্চ ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

এদিকে তীব্র দাবদাহে বেশি বিপাকে পড়েছেন কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। শহরের বেশ কিছু সড়কের পিচ গলে যেতে দেখা গেছে। প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাইরে না যেতে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরের অলিগলি, গ্রামগঞ্জে মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (সওজ) খন্দকার গোলাম মোস্তফা বলেন, তীব্র দাবদাহে রাস্তার পিচ গলে যেতে পারে। এতে যান চলাচলে কোনো বিঘ্ন ঘটবে না। আমাদের টিম সার্বক্ষণিক দেখাশোনা করছে। যেখানে পিচ গলে যাবে আমরা দ্রুত মেরামত করব।

চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, শনিবার দুপুর ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ থেকে জেলায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শক্রমে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তথ্য অফিসের সহায়তায় জেলার সব স্থানে মাইকিং করে জনসাধারণকে সতর্ক করা হচ্ছে। তারা যেন অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাহির না হয়। সন্ধ্যার পর শরবত, পানি ও ফলমুল বেশি বেশি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

সর্বাধিক পঠিত

চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২.৩ ডিগ্রি, গলে যাচ্ছে রাস্তার পিচ

প্রকাশিত সময় : ১০:৩৬:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় তীব্র দাবদাহের পর আজ থেকে অতি তীব্র দাবদাহ শুরু হয়েছে। প্রচণ্ড রোদে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এ ছাড়া জেলা শহরে বিভিন্ন সড়কে রাস্তার পিচ গলে যেতে দেখা গেছে। তবে এতে যান চলাচলে কোনো বিঘ্ন ঘটবে না বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (সওজ) খন্দকার গোলাম মোস্তফা।

অপর দিকে অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে।

আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৮ শতাংশ। যা চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এপ্রিল মাসজুড়ে এমন তাপপ্রবাহ থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান।

চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী আগামী আরও কিছু দিন তীব্র দাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময় বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এমতাবস্থায় ফল বিভাগ, উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে চাষিদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১৯-২০ এপ্রিল সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ছাড়া ২০০৫ সালের ২ জুন ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০১২ সালের ৪ জুন ৪২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০০৪ সালের ১৩ মে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০০৯ সালের ২৭ এপ্রিল সর্বোচ্চ ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

এদিকে তীব্র দাবদাহে বেশি বিপাকে পড়েছেন কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। শহরের বেশ কিছু সড়কের পিচ গলে যেতে দেখা গেছে। প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাইরে না যেতে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরের অলিগলি, গ্রামগঞ্জে মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (সওজ) খন্দকার গোলাম মোস্তফা বলেন, তীব্র দাবদাহে রাস্তার পিচ গলে যেতে পারে। এতে যান চলাচলে কোনো বিঘ্ন ঘটবে না। আমাদের টিম সার্বক্ষণিক দেখাশোনা করছে। যেখানে পিচ গলে যাবে আমরা দ্রুত মেরামত করব।

চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, শনিবার দুপুর ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ থেকে জেলায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শক্রমে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তথ্য অফিসের সহায়তায় জেলার সব স্থানে মাইকিং করে জনসাধারণকে সতর্ক করা হচ্ছে। তারা যেন অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাহির না হয়। সন্ধ্যার পর শরবত, পানি ও ফলমুল বেশি বেশি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে